কী হচ্ছে ওয়াইট হাউসের ভেতরে?
কী হচ্ছে ওয়াইট হাউসের ভেতরে? - ছবি : সংগৃহীত
চার বছর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন যে নির্বাচনে ‘কারচুপি’ করা হয়েছে। তিনি এখন একই অভিযোগ তুলছেন। তার নির্বাচনী কর্মকর্তারা ভোট জালিয়াতির কথা বলছেন এবং একটি বিবৃতি দিয়েছেন : ‘’তারা আমাদের কাছ থেকে নির্বাচন চুরি করতে পারে’’ – তবে তারা বলেননি এই অভিযোগ কিসের ভিত্তিতে করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্টের দফতর ওয়েস্ট উয়িং-এ, অফিস ঘরগুলো বেশ নীরব। ওয়াইট হাউস উপ প্রেস সচিব ব্রায়ান মর্গেনস্টার্ন দিন-রাত কাজ করে চলছেন (আমাকে বললেন, তিনি রাতের উচ্ছিষ্ট মুরগি ফ্রাই দিয়ে সকালের নাস্তা করেছেন) এবং কী হয় তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন। ‘’পরিস্থিতি বেশ ঘোলাটে,’’ তিনি বলেন, ‘’আমরা সবাই স্রোতের সাথে চলছি।‘’
এখানে মনে হচ্ছে না কেউ চলে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অফিস ডেস্কগুলোতে চিঠি-পত্রের স্তূপ পরে আছে আর ওয়াইট হাউসের লোগো যুক্ত কাগজের কফি কাপ ছড়িয়ে আছে। পেছনে সিএনএন চলছে একটি টেলিভিশন স্ক্রিনে, তাদের ঘোষণা : ‘’জয়ের প্রান্তে বাইডেন।‘’
অন্তত এই অফিসে কেউ ওই রিপোর্ট আমলে নিচ্ছে না। তারা নিজেদের মধ্যে গল্প করছেন, টেলিফোন কলের উত্তর দিচ্ছেন আর আরেটি দীর্ঘ রাতের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।
বিদেশি হস্তক্ষেপের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি : যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার নিরাপত্তা প্রধান
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সাইবার বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন যে ভোট গণনায় বিদেশি কোনো পক্ষ হস্তক্ষেপ করেছে, এমন কোনো প্রমাণ সরকারের কাছে নেই।
এক বিবৃতিতে ক্রিস্টোফার ক্রেবস তুলে ধরেন যে ‘কোনো বিদেশি পক্ষ আমেরিকানদের ভোট দেয়া থেকে বিরত রাখতে পেরেছে অথবা ভোটের গণনায় পরিবর্তন করতে পেরেছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই।’
২০১৬ সালের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনের বিপক্ষে নির্বাচনের ফল প্রভাবিত করার চেষ্টার পেছনে রাশিয়ার ভূমিকা ছিল বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
ক্রেবস বলেছেন, “ভোট গণনার প্রক্রিয়া চলাকালীন বা চূড়ান্ত ফলাফল আসার আগে বিদেশি কোনো পক্ষ যেন প্রভাব খাটাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে নজরদারি অব্যাহত রাখবো আমরা।"
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শিবির এখন পর্যন্ত কারচুপির অভিযোগ করার পাশাপাশি একাধিক রাজ্যে ভোট গণনার ক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপ নিলেও এখন পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
মামলার জন্য ট্রাম্প সমর্থকরা লক্ষ লক্ষ ডলার চাঁদা তুলছেন
ভোটের ফলাফলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলিতে যখন গণনার কাজ চলছে সেই সময়ে ট্রাম্প নির্বাচনী দল তাদের মামলা চালানো খরচ তোলার জন্য প্রচারকার্য চালাচ্ছে।
নানা ধরনের আবেদন পাঠিয়ে ট্রাম্প সমর্থকদের সয়লাব করে দেয়া হচ্ছে যেখানে বলা হয়েছে নির্বাচনের ফল যাতে ‘চুরি’ করতে না পারে সেজন্য ‘বামপন্থীদের ঠেকিয়ে দিন।‘
মামলার ব্যয়ের জন্য শুধুমাত্র আজকের দিনেই তারা ৮০ লক্ষ ডলার চাঁদা তুলেছেন বলে টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএসকে জানিয়েছেন ‘ট্রাম্প ভিক্টরি’ নামের একটি গ্রুপের অর্থ বিষয়ক চেয়ারম্যান।
সূত্র : বিবিসি