পেনসিলভানিয়ায় বাইডেনের সুখবর
পেনসিলভানিয়ায় বাইডেনের সুখবর - ছবি সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পেনসিলভানিয়া থেকে সুখবর পেলেন ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন। ফলে তিনি জয়ের ব্যাপারে আরেকটু স্বস্তিদায়ক অবস্থানে ফিরতে পেরেছেন।
আর তা এসেছে, পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নরের ভোট গণনা বন্ধ করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পে আহ্বানে কান না দিয়ে। ভোট গণনা বন্ধ করতে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির প্রচারণা দলের আহ্বান উপেক্ষা করে পেনসিলভানিয়ার গভর্নর টম উলফ জানিয়েছেন, তার রাজ্যে ভোট গণনা চলবে।
এর আগে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, পেনসিলভানিয়ায় ভোট ছিনতাইয়ের চেষ্টা করছে ডেমোক্র্যাটরা।
ট্রাম্পের প্রচারণা দলের ডেপুটি ব্যবস্থাপক জাস্টিন ক্লার্ক বলেন, ডেমোক্র্যাটরা রিপাবলিকান ভোট বঞ্চিত করে সেগুলো কমিয়ে দেখানোর পরিকল্পনা করছে। তবে সেখানে ভোট জালিয়াতি কিংবা অনিয়মের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
পেনসিলভানিয়ার ডেমোক্র্যাট দলীয় গভর্নর টম উল্ফ বলেন,‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটানোর এমন চেষ্টা লজ্জাজনক।’
তিনি আরো বলেন,‘প্রত্যেক পেনসিলভানিয়াবাসীর ভোটের অধিকার রক্ষায় আমি লড়ে যাবো। প্রতিটি ভোট যাতে গণনা করা হয় তার জন্য আমার সাধ্যের সবটুকু চেষ্টা করবো।’
পেনসিলভানিয়ায় কমে আসছে ভোটের ব্যবধান
এদিকে সবশেষ গণনা বলছে, পেনসিলভানিয়া রাজ্যে যেখানে ট্রাম্প বেশি ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন সেখানে কমে আসছে ব্যবধান।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত মোট ভোটের ৯০ শতাংশ ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এক লাখ ৬৪ হাজার ৪১৪ ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ বাইডেনের তুলনায় ট্রাম্পের ভোটের ব্যবধান ছিল তিন লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৯টি।
সিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী পোস্টাল ভোট এই মোড় অনেকটা ঘুরিয়ে দিয়েছে। পেনসিলভানিয়া রাজ্যের ৩১ লাখ পোস্টাল ভোটের মধ্যে ৬৩%পড়েছে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে।
২০টি ইলেক্টরাল কলেজের ভোট থাকায় পেনসিলভানিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী রাজ্য। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দিয়ে দোদুল্যমান রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশের আগে এটি টানা ছয় বার ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
সূত্র : বিবিসি
মিশিগান জিতে জয়ের খুব কাছাকাছি বাইডেন
ম্যাজিক ফিগার থেকে আর মাত্র ছয় ভোট দূরে দাঁড়িয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বাজিমাত করার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন তিনি।
তবে লড়াই এত সহজ ছিল না। বুধবার সকাল থেকে ভোট গণনা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বোঝা গিয়েছিল, কেউ কাউকে সহজে জমি ছাড়ছেন না। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দুপুরের মধ্যেই জিতে নিয়েছিলেন ফ্লোরিডা এবং টেক্সাস। টেক্সাসের ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ৩৮। ফ্লোরিডার ২৯। বস্তুত, টেক্সাস জেতার পরে এক সময় মনে হচ্ছিল, ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া আর কেবল সময়ের অপেক্ষা।
বাইডেনও অবশ্য সকাল থেকেই জেতার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন। সুইং স্টেট দখল করেছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে ক্লিন সুইপ করেছেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় ৫৫টি ইলেকটোরাল ভোট। এই রাজ্য কার দিকে যাচ্ছে, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে। তবে শেষ বেলায় মিশিগান জয় করে বাইডেন জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছেন। ট্রাম্প এখনো দাঁড়িয়ে আছেন ২১৪টি ভোটে। বাইডেন পৌঁছে গিয়েছেন ২৬৪ ভোটে। আর ছয়টি ভোট পেলেই প্রেসিডেন্টের সিংহাসনে বসতে পারবেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী।