মার্কিন নির্বাচনের জটিলতায় জার্মানি কেন উদ্বিগ্ন

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Nov 05, 2020 01:22 pm
মার্কিন নির্বাচনের জটিলতায় জার্মানি কেন উদ্বিগ্ন

মার্কিন নির্বাচনের জটিলতায় জার্মানি কেন উদ্বিগ্ন - ছবি সংগৃহীত

 

জার্মানির নেতারা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২০-তে ট্রাম্প নয়, তাদের পছন্দ বাইডেন। এখন এই ভোটের ফলাফল নিয়ে অনিশ্চয়তা ও বিরোধ দেখা দেয়ায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন তারা।

বুধবার ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, তিনিই জিতছেন। এরপরই জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যানাগ্রেট ক্রাম্প-ক্যারেনবাওয়ার বলেছেন, ''প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যা বলেছেন, তাতে মনে হচ্ছে, তিনি জিতে গেছেন। কিন্তু এই ধরনের মন্তব্যের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেয় বিস্ফোরক পরিস্থিতি ও সংকট দেখা দিতে পারে।''

ক্র্যাম্প-ক্যারেনবাওয়ার আবার চ্যান্সেলার ম্যার্কেলের দল সিডিইউ-এর প্রধান। তিনি সরকারি রেডিওতে বলেছেন, ''নির্বাচনের কোনো মীমাংসা এখনো হয়নি। ভোট গণনা চলছে। এখন থেকেই ফলাফলের বৈধতা নিয়ে লড়াই শুরু হয়ে গেছে।''

জার্মান ভাইস চ্যান্সেলার এবং অর্থমন্ত্রী ওলাফ শলৎস বলেছেন, ''জরুরি হলো, প্রতিটি ভোটের গণনা এবং সবশেষে ফলাফলের ঘোষণা।''

ট্রাম্পের জমানায় অ্যামেরিকার সঙ্গে জার্মানির সম্পর্ক নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, ''হোয়াইট হাউসে কোন প্রশাসন আছে, তার উপরই বন্ধুত্ব অনেকটা নির্ভর করে। তবে তাঁর মতে, ভোটে যাই ফল হোক না কেন, ইউরোপকে আত্মনির্ভর হতে হবে। ইউরোপকে নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষার কাজ শক্তিশালী করতে হবে।''

ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ''প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের উপর দুই দেশের সম্পর্কের কোনো হেরফের হবে না। ইউরোপের সঙ্গে অ্যামেরিকার বাণিজ্য সম্পর্কও বদলাবে না।। যিনিই জিতুন না কেন, ওয়াশিংটন তাদের সংঘাতের নীতি থেকে সরবে না।''

তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ''বেশ কিছু বছর ধরে ইউরোপের দেশগুলির সঙ্গে অ্যামেরিকা বন্ধুত্বপূর্ণ অংশীদারের মতো ব্যবহার করছে না। তাই ট্রাম্প থাকুন বা বাইডেন আসুন, মার্কিন নীতি বদলানোর সম্ভাবনা কম।''

যুক্তরাজ্য আশাবাদী

তবে যুক্তরাজ্য আশা ছাড়ছে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, ''আমি দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে চিন্তিত নই। নির্বাচনে যিনিই জিতুন না কেন, দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকবে।'' স্কাই নিউজকে তিনি বলেছেন, ''সুযোগ ও ঝুঁকির সামান্য কিছু হেরফের হতে পারে। কিন্তু বৃহত্তর পরিপ্রেক্ষিতে দেখলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের স্বার্থের বিষয়টা এতটাই বড় যে, সেখানে কোনো পরিবর্তন হওয়ার কথা নয়।''

সূত্র : ডয়চে ভেলে

ঐক্যের ডাক বাইডেনের

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে গেছেন, এমন দাবি করেননি, তবে তিনি জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ইলেক্টরাল ভোট পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। সেইসাথে তিনি ঐক্যের ডাকও দিয়েছেন। ৩ নভেম্বর ভোটগ্রহণ শেষে ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যে দেয়া বক্তব্যে বাইডেন এই আহ্বান জানান।
এই বক্তব্যের মাধ্যমে জো বাইডেনের লক্ষ্য ছিল নির্বাচন-পরবর্তী বিতর্কিত পরিবেশে নিজের উপস্থিতি জানান দেয়া।


তিনি বিজয় ঘোষণা করেননি, কিন্তু বলেছেন তিনি নিশ্চিত যে, যখন সকল ভোট গোনা হবে, তিনি প্রেসিডেন্ট হবেন। আর মিশিগান তার পক্ষে ঘোষিত হবার পর মনে হচ্ছে, জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭০টি ইলেক্টরাল ভোট তিনি পাবেন।

ট্রাম্প যে পাল্টা পদক্ষেপ বা চ্যালেঞ্জের কথা বলেছেন, সেটা বাইডেন আমলে নিয়েছেন, যদিও তিনি প্রেসিডেন্টের নাম উল্লেখ করেন নি। তিনি ক্ষমতা দখলের চেষ্টার প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ''জনগণকে কণ্ঠরোধ বা হুমকি দিয়ে নিশ্চুপ করা যাবে না।''

তবে তিনি বেশি সময় ব্যয় করেন ঐক্যর আহ্বান জানিয়ে। তার সাথে তিনি জুড়ে দেন দলীয় বিভেদ ভুলে জাতীকে ঐক্যবদ্ধ করার কথা, যেটা নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার মূলমন্ত্র ছিল। তিনি জানেন এটা অত্যন্ত কঠিন হবে, এমনকি তিনি যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

ডেমোক্র্যাট পার্টি একটি বিশাল বিজয় আশা করেছিল, যাতে বাইডেন ব্যাপক ম্যান্ডেট দাবী করতে পারেন। কিন্তু ফলাফল দেখিয়েছে এই বিভেদের শিকড় কত গভীর।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us