আরো এগিয়ে গেলেন বাইডেন
আরো এগিয়ে গেলেন বাইডেন - ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আরো এগিয়ে গেলেন ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন। তিনি এখন ২০৯টি ইলেক্টরেট ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। আর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ১১২ ভোট।
যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার যেতেন, সেক্ষেত্রে তিনি হবেন চতুর্থ এমন রাষ্ট্রপতি যিনি কিনা পরপর দুবার ক্ষমতায় থাকছেন। তবে বর্তমানে চলছে ভোটগণনা। তার ফলাফল বলছে অন্য কথা।
আপাতত পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় জিতছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। উল্লেখ্য, এই প্রদেশে ডেমোক্র্যাটিক ঘাঁটি ততটা শক্তিশালী নয়, কারণ ১৯৯৬ সালে শেষবার পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জয়ী হয়েছিল। তাই ধারণাই ছিল যে এই প্রদেশে ট্রাম্প জিতবেন, হচ্ছেও তাই।
সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, কেন্টাকি-তে এগিয়ে রয়েছেন অধুনা রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে ভার্মন্টে এগিয়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন। অন্যদিকে দক্ষিণ ক্যারোলিনাতে আবার এগিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন কানেক্টিকাট, ডেলাওয়্যার, ইলিনয়, মেরিল্যান্ড, ম্যাসাচুসেটস, নিউ জার্সি এবং রোড আইল্যান্ডে এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে ট্রাম্প এগিয়ে আলাবামা, মিসিসিপি, ওকলাহোমা এবং টেনেসিতে।
শেষ খবরে আবার জানা গিয়েছে, আরকানসাসে জয়ের দিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে এবারের মার্কিন নির্বাচন যে কাঁটায় কাঁটায় টক্কর চলছে তা বলাই যায়।
ফ্লোরিডার দিকে সবার চোখ কেন?
বিবিসির খবরে বলা হয়, হোয়াইট হাউজে যাওয়ার দৌড়ে ব্যাটেলগ্রাউন্ড বলে পরিচিত এখানকার অনেকগুলো অঙ্গরাজ্যের ভোট অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
নির্বাচনে জিততে হলে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফ্লোরিডা এবং জর্জিয়ায় জিততেই হবে। ফ্লোরিডায় ইলেকটোরাল কলেজের ভোট রয়েছে ২৯টি।
এই দুটি রাজ্যে জয় পাওয়াটা জো বাইডেনের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ফ্লোরিডা থেকে এখন পর্যন্ত যে ফলাফলের আভাস আসছে - তাকে 'মিশ্র' বলা যায়।
বাইডেন যদি এ দুটি রাজ্যের অন্তত একটিতে জিততে পারেন, তাহলে হয়তো বেশ আগেভাগেই তার প্রেসিডেন্ট হওয়া নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে।
অন্যদিকে যদি ট্রাম্প এ দুটি রাজ্য নিজের হাতে রাখতে পারেন - তাহলে পর্যবেক্ষকদের নজর ঘুরে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং মধ্য-পশ্চিমের শিল্পকারখানা-সমৃদ্ধ রাজ্যগুলোর দিকে।
তবে এসব পূর্বাভাস তখনি দেয়া হয়, যখন কে বিজয়ী হতে যাচ্ছে, সেই সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়। বিশেষ করে মাস জুড়ে চলা ভোট গ্রহণ, নির্বাচনের দিনের বুথ ফেরত জরিপ এবং কিছুটা জমা পড়া ভোট গণনার ফলাফলের ভিত্তিতে।
অনেক বেশি আগাম ভোট পড়ার কারণে অনেক রাজ্যে ভোট গণনা শেষ হতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি সময় লাগতে পারে।
বাংলাদেশে এখন দিন হলেও যুক্তরাষ্ট্রে এখন রাত। নির্বাচনী রাতে এখনো বড় ধরণের কিছু ঘটেনি বা বড় কোনো খবর আসেনি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, কিছু কিছু অঙ্গরাজ্যে ভোট শেষ, ভোটগ্রহণ চলছে পশ্চিমাঞ্চলে
রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প ইন্ডিয়ানা, কেন্টাকি এবং ওকলাহোমায় জয় পাবেন বলে পূর্বাভাস। এই রাজ্যগুলোয় মোট ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট ১১টি।
ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন ভারমন্টে জয় পাবেন বলে পূর্বাভাস, যেখানে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট ৩টি।
৭৪ বছরের ডোনাল্ড ট্রাম্প পরাজিত হলে তা হবে ১৯৯২ সালে জর্জ এইচডাব্লিউ বুশের পর প্রথম কোন প্রেসিডেন্টের পুনঃনির্বাচনে হার।
জাতীয় জরিপ বলছে, ৭৭ বছরের জো বাইডেন সুস্পষ্টভাবে এগিয়ে। যদিও প্রেসিডেন্ট হতে হলে মূল ব্যাটলগ্রাউন্ডগুলো জিতে আসতে হবে।
১০০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পড়ার ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে আমেরিকা।
মোট ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৫৩৮, জিততে হলে প্রয়োজন ২৭০টি ভোট
ভোট গণনা শেষ হতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে, তবে ভোটগ্রহণ শেষ হবার পর দ্রুত একটা ট্রেন্ড স্পষ্ট হতে পারে।