আরো এগিয়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী : বাইডেন ১৩১, ট্রাম্প ৯২
আরো এগিয়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী : বাইডেন ১৩১, ট্রাম্প ৯২ - ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। দ্রুত পরিস্থিতি পাল্টে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে জো বাইডেন বেশ এগিয়ে গেছেন। তবে চূড়ান্ত ফলাফল পেতে আরো অনেক অপেক্ষা করতে হবে। আলজাজিরায় প্রকাশিত সর্বশেষ ফলাফল অনুযায়ী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন পেয়েছেন ১৩১টি ইলেক্টরাল ভোট। আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ৯২ ভোট।
মোট ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৫৩৮, জিততে হলে প্রয়োজন ২৭০টি ভোট।
বিবিসির খবরে বলা হয়, কিছু কিছু অঙ্গরাজ্যে ভোট শেষ, ভোটগ্রহণ চলছে পশ্চিমাঞ্চলে
রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প ইন্ডিয়ানা, কেন্টাকি এবং ওকলাহোমায় জয় পাবেন বলে পূর্বাভাস। এই রাজ্যগুলোয় মোট ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট ১১টি।
ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন ভারমন্টে জয় পাবেন বলে পূর্বাভাস, যেখানে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট ৩টি।
৭৪ বছরের ডোনাল্ড ট্রাম্প পরাজিত হলে তা হবে ১৯৯২ সালে জর্জ এইচডাব্লিউ বুশের পর প্রথম কোন প্রেসিডেন্টের পুনঃনির্বাচনে হার।
জাতীয় জরিপ বলছে, ৭৭ বছরের জো বাইডেন সুস্পষ্টভাবে এগিয়ে। যদিও প্রেসিডেন্ট হতে হলে মূল ব্যাটলগ্রাউন্ডগুলো জিতে আসতে হবে।
১০০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পড়ার ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে আমেরিকা।
মোট ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৫৩৮, জিততে হলে প্রয়োজন ২৭০টি ভোট
ভোট গণনা শেষ হতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে, তবে ভোটগ্রহণ শেষ হবার পর দ্রুত একটা ট্রেন্ড স্পষ্ট হতে পারে
ভোটাররা মার্কিন কংগ্রেসের নতুন সদস্য নির্বাচনের জন্যও ভোট দিচ্ছেন।
ভোটের সময় যেসব রাজ্যের ওপর নজর রাখতে হবে
নর্থ ক্যারোলাইনা- ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার কথা ছিল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। কিন্তু এখন তা ৪৫ মিনিট পিছিয়ে গেছে। সেখানে কেন্দ্রে পড়া ভোট গণনা থেকে একটা ধারণা পাওয়া যাবে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে এই রাজ্যে অল্প ভোটে জিতেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ফলাফল কোন দিকে যায় সেটা বলা কঠিন। ফলে এই রাজ্যে এবার ডোনাল্ড ট্রাম্প কিংবা জো বাইডেন - যিনি বিজয়ী হবেন, তার জন্য সেটা শুভ সূচনা হতে পারে।
ফ্লোরিডা-ভোটগ্রহণ শেষ হবে স্থানীয় সময় রাত আটটায়। এটি একটি ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্য। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই রাজ্যে দুই দলেরই জয় পরাজয়- দুটোই ঘটেছে। এবং এবারও সেরকম হতে পারে।
অ্যারিজোনা - ভোট কেন্দ্র বন্ধ হবে স্থানীয় সয় রাত ন'টায়। সেখানে পোস্টাল ভোটের গণনা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে এই রাজ্যে জয়লাভ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এবার সেখানে জনমত জরিপে জো বাইডেন সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন।
ওহাইও- চূড়ান্ত ফলাফল হয়তো ২৮ নভেম্বর ঘোষণা করা হতে পারে।ওহাইও শুধু ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্য নয়, কে প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন- এই রাজ্যের ফলাফল থেকে এর আগে তার ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে।
পেনসিলভেনিয়া - ভোট কেন্দ্র বন্ধ হবে রাত আটটায়। কে হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন তার রাস্তা তৈরিতে সাহায্য করবে এই রাজ্যের ফলাফল। এখানে জো বাইডেনের জন্ম। আবার একই সাথে ২০১৬ সালের নির্বাচনে এই রাজ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হয়েছিলেন।
উইসকনসিন এবং মিশিগান- ভোটগ্রহণ চলবে রাত নটা পর্যন্ত। আগের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন উইসকনসিন রাজ্যে অল্প ভোটে পরাজিত হন। তবে এবারের কিছু জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে জো বাইডেন এগিয়ে আছেন। কিন্তু লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি হবে বলেই মনে হচ্ছে।প্রতিবেশী মিশিগানও আরেকটি সুইং স্টেট। এই রাজ্যে জয় পাওয়া বাইডেন এবং ট্রাম্প –দুই শিবিরের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।
বিবিসির খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের ভোটগ্রহণ এখন শেষের দিকে। বেশ কয়েকটি রাজ্যের ভোটগ্রহণ শেষ হয়ে গেছে, অনেকগুলো রাজ্যে ভোটগ্রহণ শেষের দিকে।
এরই মধ্যে কয়েকটি রাজ্য থেকে ফলাফলের পূর্বাভাস আসতে শুরু করেছে।
ছয়টি অঙ্গরাজ্যে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এগুলো হচ্ছে জর্জিয়া, ইন্ডিয়ানা, কেন্টাকি, সাউথ ক্যারোলাইনা, ভারমন্ট ও ভার্জিনিয়া। এই রাজ্যগুলোর মোট ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা ৬০।
জো বাইডেন ডেলওয়ার, ম্যারিল্যান্ড, ম্যাসাচুসেটস, নিউ জার্সি আর ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ায় জয় পেয়েছেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
ভারমন্টেও জয় পেতে যাচ্ছেন বাইডেন। সেখানে তিনটি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে।
ওকলাহোমায় জয় পাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ও টেনেসিতে তিনি জয় পাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর বাইরে কেন্টাকিতে ট্রাম্পের জয়ের আভাস পাওয়া গেছে। এই রাজ্যে আটটি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। রিপাবলিকান প্রাধান্য এই অঙ্গরাজ্যটিতে জেরেমি কার্টার আর বিল ক্লিনটন ছাড়া গত কয়েক দশকে আর কোন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জয়ী হননি।
ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যেও ট্রাম্প জিতবেন বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন এখন জনমত জরিপে এগিয়ে আছেন - তবে কয়েকটি রাজ্যে ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে ব্যবধান খুবই সামান্য । ফলে এগুলো নির্বাচনের ফলাফলের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।
জয়ের ব্যাপারে আমরা ২০১৬ সালের চেয়েও আত্মবিশ্বাসী
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা জয়ের ব্যাপারে ২০১৬ সালের চেয়েও আত্মবিশ্বাসী। আর ফ্লোরিডা থেকেই তারা শুভ ইঙ্গিত পাচ্ছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন ম্যানেজার বিল স্টিফেনের উদ্ধৃতি দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ফ্লোরিডা আমাদের পক্ষে ভোট দিচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে। তবে এবার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের আগে নিশ্চিত হওয়া যাবে না কে জয়ী হতে যাচ্ছেন। প্রথম দিকে কেউ বিপুলভাবে এগিয়ে থাকলেও হঠাৎ করে ধারা পাল্টে যেতে পারে।
এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের ভেতরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনী কর্মকর্তারা একটা ‘ওয়ার রুম’ – বা ‘যুদ্ধকালীন নিয়ন্ত্রণ কক্ষে’র মত একটা কেন্দ্র বসিয়েছেন – যেখান থেকে নির্বাচনী পরিস্থিতির নিয়মিত খবর প্রেসিডেন্টকে জানানো হবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনের পুরো দিনটা হোয়াইট হাউসেই থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এই কক্ষের ওয়াইফাই, কম্পিউটার ইত্যাদি যন্ত্রপাতির খরচ ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার তহবিল থেকেই দেয়া হবে বলে সিএনএন জানিয়েছে।
এর আগে যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রাতটি হোয়াইট হাউসেই কাটিয়েছিলেন – তিনি হলেন জর্জ ডব্লিউ বুশ।
তখনও নির্বাচনী খবর পাবার জন্য হোয়াইট হাউসের একটি ঘরে কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিল। বুশ ওই ঘরের নাম দিয়েছিলেন ‘বাদুড়ের গুহা’, এবং মাঝে মাঝেই তিনি ভোটের ফলাফল জানতে ওই ঘরে ঢুকতেন।
ওয়াশিংটন থেকে বিবিসির টারা ম্যাককেলভি জানাচ্ছেন, হোয়াইট হাউসে একটি ‘নির্বাচনী রাতের পার্টি’ হবে এবং এ জন্য কয়েকশ' অতিথি আসবেন।
এটিও সেপ্টেম্বর মাসের রোজ গার্ডেন পার্টির মতোই একটি করোনাভাইরাস ছড়ানোর ‘সুপার স্প্রেডার’ পার্টি হয়ে ওঠে কিনা – তা নিয়ে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তবে সেখানে ঢোকার আগে অতিথিদের কোভিড টেস্ট করা হবে বলে জানা গেছে। বিবিসির সংবাদদাতা দেখেছেন – হোয়াইট হাউসে যারা যাচ্ছেন সবারই মুখে মাস্ক পরা।