সাগরপথে আক্রমণ করবে চীন!
সাগরপথে আক্রমণ করবে চীন! - ছবি সংগৃহীত
শীতে জবুথবু লাদাখ। তাপমাত্রা নেমেছে হিমাঙ্কের নিচে। বরফের পুরু চাদরে ঢাকছে লাদাখের মাটি। এমন আবহে ভারত আশঙ্কা করছে, পাহাড়ি এলাকার বদলে সমুদ্রপথে হামলা চালাতে পারে চীন। সে কথা মাথায় রেখেই এবার সাগরপথে রণসজ্জা বাড়াচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী। ইতিমধ্যে ভারত মহাসাগরে রণতরী মোতায়েন করা হয়েছে। এমনকী, বিশেষ অ্যাম্ফিবিয়াস বাহিনী তৈরির পথে হাঁটছে ভারতীয় নৌবাহিনী।
১৫ জুন গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকেই লাদাখে রণসজ্জা কয়েকগুণ বেড়েছে। বাহিনী, ক্ষেপণাস্ত্র, ট্যাঙ্কার- সবই মজুত করা হয়েছে। কিন্তু শীতকালে তো পরিস্থিতি অন্য। লাদাখের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে হিমাঙ্কের নিচে। ঘনঘন তুষারপাত হচ্ছে। এমন আবহে পাহাড়ি পথে চীনের হামলা চালানো বেশ কঠিন। তাই তারা সমুদ্রপথে ভারতকে নিশানা করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ক্ষেত্রে চীনের দোসর হতে পারে পাকিস্তানও।
সে কথা মাথায় রেখেই আরো একটা অ্যাম্ফিবিয়াস ব্রিগেড (Amphibious Brigade) তৈরি ভাবনা চিন্তা করছে ভারতের নৌবাহিনী। বর্তমানে ভারতের অ্যাম্ফিবিয়াস ব্রিগেডর জওয়ানরা তিরুবন্তপুরম, আন্দামান-নিকোবরের বাহিনীর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে মোতায়েন রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অ্যাম্ফিবিয়াস বাহিনীর আরো একটি ব্রিগেড তৈরির তৎপরতা চলছে। যাদের তিরুবন্তপুরম এবং বিশাখাপত্তনমে মোতায়েন করা হবে। উল্লেখ্য, এই বাহিনী সমুদ্রপথে কাউন্টার অ্যাটাক চালাতে পারদর্শী।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে খবর, ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরের যোগাযোগের তিনটি রাস্তাতেই ভারতীয় নৌবাহিনীর দাপট রয়েছে। মালাক্কা প্রণালী, সুন্দা প্রণালী, সুয়েজ খাল এলাকায় কোনো হামলা হলে পাল্টা জবাব দিতে তৈরি ভারতীয় নৌবাহিনী। তাদের যুদ্ধবিমানগুলোতে রয়েছে ব্রাহ্মোস মিসাইল। যা যেকোনো চলমান টার্গেটে হামলা চালাতে প্রস্তুত। রয়েছে অ্যান্টি সাবমেরিন ট্যাঙ্কও। এমন আবহে আগামী সপ্তাহে শুরু হচ্ছে ভারত-আমেরিকা-জাপান-অস্ট্রেলিয়ায় নৌমহড়া।
মঙ্গলবার থেকে ভারত, আমেরিকা ও জাপানের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে ও আরব সাগরে নৌ মহড়ায় অংশ নিতে দেখা যাবে অস্ট্রেলিয়াকে। অর্থাৎ পুরো ‘কোয়াড’ বা ‘কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি ডায়লগ’—এর অংশ গ্রহণ হবে এই মহড়ায়।
উল্লেখ্য, ২০০৭-এ এই মহড়ায় অস্ট্রেলিয়া অংশ নিয়েছিল। সে বছর অংশ নেয় সিঙ্গাপুরও। কিন্তু তাতে ক্ষুব্ধ হয় চিন। তাদের ক্ষোভকে মর্যাদা দিয়ে ভারত এই মহড়ায় অস্ট্রেলিয়াকে অংশ নিতে দিত না। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়াও চীন অখুশি হবে এ রকম কোনো কাজ করত না। কিন্তু লাদাখের ঘটনা পুরো ছবিটাই বদলে দিয়েছে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
পাকিস্তানকে তৃতীয় এন্টি সাবমেরিন জাহাজ দেবে তুরস্ক
তুরস্কের তৃতীয় এন্টি সাবমেরিন শ্রেণির জাহাজ পাকিস্তানের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে। রোববার এটি ইসলামাবাদের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। শনিবার তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সেখানে বলা হয়, জাহাজটি পাকিস্তানের সীমানার মধ্যেই চলাচল করবে।
বিবৃতি অনুযায়ী, তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার করাচিতে এর অনুষ্ঠানে যোগদানের কথা রয়েছে। সেখানে বলা হয়, তুর্কি জাতীয় যুদ্ধজাহাজ মিলজেম প্রকল্পে পাকিস্তান ও তুরস্কে দু’টি করে রণতরী তৈরির কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাব থাকা সত্ত্বেও ২০২৩ সালে আরো একটি জাহাজ পাকিস্তানকে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।