একযোগে বিমান ও নৌ হামলা : ধ্বংস করা হলো ভারতীয় জাহাজ
একযোগে বিমান ও নৌ হামলা : ধ্বংস করা হলো ভারতীয় জাহাজ - ছবি : সংগৃহীত
ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পূর্ব লাদাখে চীনের সাথে চলমান সামরিক সঙ্ঘাতের মধ্যেই ‘লাইভ’ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের অপারেশনাল প্রস্তুতি যাচাই অব্যাহত রেখেছে। এদিকে তারা আবার যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে আগামী সপ্তাহে মালাবার নৌমহড়াও করতে যাচ্ছে।
শুক্রবার নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর টার্গেট প্রাকটিসের অংশ হিসেবে বঙ্গোপসাগরে একটি বাতিল মাইন সুইপিং রণতরীকে ৪০০ কিলোমিটার দূর থেকে ধ্বংস করা হয়।
প্রথমে পিনপয়েন্ট নির্ভুলতার সাথে গাইডেড মিসাইল কোরভেট আইএনএস কোরা একটি ইউরান খ-৩৫ সাবসোনিক অ্যান্টিশিপ ক্ষেপণাস্ত্র বাতিল জাহাজটিকে আঘাত করে। তারপর সুখোই-৩০এমকেআইই জঙ্গিবিমান পাঞ্জাব বিমান ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে মধ্য আকাশে আবার জ্বালানি নিয়ে টার্গেট করা ওই জাহাজে একটি ব্রাহ্ম সুপারসনিক ক্রুইজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। উভয়টিই নিখুঁতভাবে আঘাত হানে। টার্গেট ধ্বংস করা ছিল লাইভ ট্রেনিংয়ের অংশ।
বিশেষ করে সুখোই মিশনটি ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। এতে পাঞ্জাব থেকে বঙ্গোপসার পর্যন্ত ক্রস-কান্ট্রি অপরাশেন সম্পৃক্ত ছিল। বিমানটি মধ্য আকাশে নতুন করে জ্বালানি না নিয়েই প্রায় ১৫ শ’ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছিল। ভারত এই মহড়ায় তার ৪৫০ কিলোমিটার পাল্লার ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে।
এদিকে ভারতীয় নৌবাহিনী ৩-৬ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে অনুষ্ঠেয় ২৪তম মালাবার মহড়ার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এবারই ১৩ বছর পর প্রথমবারের মতো কোয়াডভুক্ত সব দেশ এতে অংশ নিচ্ছে। এটিকে চীনের প্রতি কোয়াডের বিশেষ বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মালাবার মহড়ায় ভারত তার ডেস্ট্রোয়ার আইএনএস রনবিজয়, স্টিলথ ফ্রিগেট আইএনএস শিভালিক, অফশোর টহল নৌযান আইএনএস সুকন্যা, ফ্লিট সাপোর্ট শিপ আইএনএস শক্তি ও সাবমেরিন আইএনএস সিন্ধুরাজকে মোতায়েন করবে।
যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান যথাক্রমে গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রোয়ার ইউএসএস জন এস ম্যাককেইন, দূরপাল্লার ফ্রিগেট এইচএমএএস ব্যলারাট ও ডেস্ট্রোয়ার জেএস ওনামি মোতায়েন করবে। মহড়ায় দূর পাল্লার সামুদ্রিক টহল বিমান ও হেলিকপ্টারও এতে অংশ নেবে।
সূত্র : টিএনএন
এবার জম্মু-কাশ্মিরে জমি কিনতে পারবেন ভারতীয়রা
হিন্দুস্তান টাইমস
জম্মু-কাশ্মিরে ভারতীয়দের জমি কেনার অধিকার দিলো নরেন্দ্র মোদি সরকার। সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মিরে জমি কেনা-বেচার আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ফলে এখন থেকে সেখানে যেকোনো ভারতীয়ই জমি কিনতে পারবেন। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মিরের বাসিন্দারা। এমনকি উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মিরকে ‘বেচার ব্যবস্থা’ করছে। কিন্তু এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপি বলছে, এতে জম্মু-কাশ্মিরে উন্নয়নের জোয়ার আসবে।
গত বছরের আগস্টে ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়া হয়। এই পদক্ষেপের আগ পর্যন্ত শুধু জম্মু-কাশ্মিরে স্থানীয় বাসিন্দারাই সেখানে স্থাবর সম্পত্তি কিনতে পারতেন। বুধবার ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে বেশ কয়েকটি আইনে পরিবর্তন আনার ফলে এখন ভারতীয়রাও সেখানে জমি কেনার অধিকার পাচ্ছে। স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে লেনদেনের ক্ষেত্রে ‘জম্মু-কাশ্মির উন্নয়ন’ আইনের ১৭ নম্বর ধারা প্রযোজ্য। সেই ধারায় ‘স্থায়ী বাসিন্দা’ শব্দটি বাদ দেয়া হয়েছে।