ইসলামের বিরুদ্ধে ফ্রান্স : ৪ কারণ
স্ত্রীর সাথে ফরাসি প্রেসিডেন্ট - ছবি সংগৃহীত
ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে বিভিন্ন ভবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা:-এর বিতর্কিত ১২টি ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় চলছে। মুসলিমরা মনে করেন, মহানবী সা:-কে অবমাননা করে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে ফরাসি সরকার। এতে করে ইসলাম ধর্ম ও মুসলিম জাতির সাথে পাশ্চাত্যের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর হিংসা-বিদ্বেষ আবারো স্পষ্ট হয়েছে। সম্প্রতি ফ্রান্সের একটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের মহানবী সা:-এর ব্যঙ্গচিত্র দেখান ইসলামবিদ্বেষী স্যামুয়েল পার্টি নামের এক শিক্ষক। এরপর আবদুল্লাখ আনজোরভ নামের বিক্ষুব্ধ এক চেচেন যুবক তাকে গলা কেটে হত্যা করে। এই যুবককে পুলিশ গুলি করে মেরে ফেলে। ঘটনাটি বাকস্বাধীনতার ওপর আঘাত উল্লেখ করে রাষ্ট্রীয়ভাবে মুহাম্মদ সা:-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রচার করে ফরাসি সরকার। ওই ঘটনা নিয়ে ফ্রান্সে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। চালানো হচ্ছে ইসলাম ও মুসলিমবিরোধী প্রচারণা।
প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন যে, ‘ফ্রান্স কার্টুন প্রত্যাহার করবে না বরং এ ধরনের কার্টুন প্রকাশ অব্যাহত থাকবে।’ ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ তিনি লালন করবেন এবং কট্টরপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই করে যাবেন। এর আগে তিনি মুসলমানদের বিরুদ্ধে ‘সোসাইটি পরিবর্তন’-এর অভিযোগ আনেন। ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং কট্টরপন্থী ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পক্ষে মন্তব্য করায় ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ‘মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ করানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। তিনি বলেন, ‘একজন রাষ্ট্রনায়ককে এর চেয়ে বেশি কী বলা যায়, যিনি বিশ্বাসের স্বাধীনতার বিষয়টি বোঝেন না এবং তার দেশে বসবাসরত ভিন্ন বিশ্বাসের লাখ লাখ মানুষের সাথে এই ব্যবহার করেন?’
ম্যাক্রোঁ ইসলাম ও মহানবী সা:-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন ছাপানোর পক্ষে সাফাই গাওয়ার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার বিরুদ্ধে ইসলামভীতি ছড়ানোর অভিযোগ করেন। ইউরোপিয়ান নেতা ভেবেচিন্তে নিজ দেশ ও বিশ্বের মুসলিমদের উসকানি দিয়েছেন অভিযোগ করে ইমরান বলেন, ‘ম্যাক্রোঁ চরমপন্থা দূর ও এটিকে ছাড় দেয়া অস্বীকার করতে পারতেন, অথচ তিনি আরো মেরুকরণ এবং প্রান্তিকীকরণ করলেন, যা অনিবার্যভাবে চরমপন্থার দিকে নিয়ে যায়। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, যেসব সন্ত্রাসী মুসলিম, শ্বেত শ্রেষ্ঠত্ববাদী বা নাৎসি আদর্শের হয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায়, তাদের পরিবর্তে তিনি ইসলাম আতঙ্কে উৎসাহ দেয়া বেছে নিয়েছেন।’
ওআইসি এক বিবৃতিতে নবী মুহাম্মদ সা:-এর অবমাননা, মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে ক্রমাগত আঘাতের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, রাজনৈতিক স্বার্থে ফ্রান্সের নাগরিক ও ইসলামকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর ঘৃণ্য চেষ্টা করছেন কিছু ফরাসি কর্মকর্তা। বাকস্বাধীনতার নামে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।
ফ্রান্সে বর্তমানে সাড়ে ৬ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৬০ লাখ মুসলিম। এর মধ্যে ১০ লাখ অরিজিনাল ফরাসি বংশোদ্ভূত। ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে রয়েছে তিন হাজার মসজিদ। পাঁচ শ’র বেশি শুধু প্যারিস শহরে। প্রায় দুই হাজার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল ও মসজিদকেন্দ্রিক মাদরাসা রয়েছে। দেশটিতে ইসলাম বিকাশমান ধর্ম। প্রতিনিয়ত মানুষ ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে শান্তির অন্বেষায়। শীর্ষ ব্যবসায়ীদের মধ্যে মুসলমানের সংখ্যাও আনুপাতিক হারে কম নয়। জাতীয়তাবাদী ও ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শে বিশ্বাসী ফ্রান্স হিজাব নিষিদ্ধ করেছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে মুহাম্মদ সা:-এর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি ফ্রান্স সরকার ৬৮টি মসজিদ ও মাদরাসা বন্ধ করে দিয়েছে। আরো অসংখ্য মসজিদ-মাদরাসা বন্ধের তালিকায় আছে। এই আচরণ চরম ইসলামবিদ্বেষের পরিচয় বহন করে।
বিভিন্ন দেশের ক্ষুব্ধ মুসলমানরা বিক্ষোভ মিছিল, গণজমায়েত, মানববন্ধন করে যাচ্ছে। ফরাসি পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে। কুয়েত, জর্দান, কাতার, তুরস্কসহ কয়েকটি দেশ ফরাসি পণ্য বয়কট করতে শুরু করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফরাসি জনপ্র্রিয় কোম্পানির তালিকা তৈরি করে সেগুলো বর্জনের ডাক দেয়া হয়। এই বর্জনের ডাকে ব্যাপক সাড়া পড়ে বিশ্বব্যাপী। বিভিন্ন দেশের মার্কেট ও শপিংমল থেকে ফ্রান্সের পণ্য সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। গোটা মুসলিম বিশ^জুড়ে রয়েছে ফরাসি পণ্যের বাজার। দেশটি প্রতি বছর আলজেরিয়ায় ১৪০ কোটি এবং মরক্কোতে ৭০০ মিলিয়ন ইউরোর কৃষিপণ্য রফতানি করে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও তুরস্কে রয়েছে জ্বালানি প্রতিষ্ঠান টোটাল-এর পেট্রোকেমিক্যাল এবং পেট্রোলিয়াম পণ্যের বিশাল বাজার রয়েছে।
সৌদি আরব ও উপসাগরীয় বেশ কয়েকটি দেশে জ্বালানি অনুসন্ধান, উৎপাদন এবং পরিশোধনে টোটালের বিশাল বিনিয়োগ রয়েছে। ফরাসি পণ্য বয়কটের ডাক যদি কড়াকড়িভাবে প্রতিপালিত হয় তাহলে ফ্রান্সের অর্থনীতি নিশ্চিতভাবে ঝুঁকিতে পড়বে (নয়া দিগন্ত, ২০ অক্টোবর, ২০)।
ফ্রান্সের সাময়িকী ‘শার্লি এবদো’-তে কিছুদিন পরপর রাসূলুল্লাহ সা:-কে অবমাননা করে কার্টুন ছাপানো হয়। এ কারণে ফরাসি মুসলমানরা ক্ষুব্ধ। অথচ সরকার বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ নিষিদ্ধ করেছে। এর আগেও গত ২০১১ ও ২০১৫ সালে মহানবী সা:-কে কটাক্ষ করে কার্টুন ছেপেছিল ওই পত্রিকা।
বিশ্লেষকদের মতে, ফ্রান্স সরকার দ্বিমুখী নীতি অনুসরণ করছে। তারা রাসূলের অবমাননাকে বাকস্বাধীনতা বললেও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করছে। বলছে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ বাক-স্বাধীনতা, অন্যদিকে মেয়েদের বোরকা পরা নিষিদ্ধ করেছে। এ দ্বিমুখীনীতি শান্তি, সৌহার্দ্য ও সহাবস্থানের পথে অন্তরায়।
আল্লাহ না করুন কোনো কুলাঙ্গার যদি আল্লাহর নবী হজরত মূসা (আ.), হযরত ঈসা (আ.), হযরত মরিয়ম (আ.), তাওরাত ও বাইবেলকে উপজীব্য করে বিদ্রূপাত্মক ও কটাক্ষপূর্ণ কোনো চলচ্চিত্র বা ব্যঙ্গচিত্র তৈরি করে ইউটিউবে ছেড়ে দেয়, তখন কী হবে অবস্থা? ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’র থিউরি তখন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?
সাম্প্রতিক সময়ে ফ্রান্সে জাতীয়তাবাদী চেতনা, সম্প্রদায়গত বিভেদ, সঙ্কীর্ণ মনোবৃত্তি, দলীয় উগ্র দৃষ্টিভঙ্গি, বিশ্বজনীন চিন্তার ঘাটতি, পরমতের প্রতি অশ্রদ্ধা ক্রমবর্দ্ধমান হারে বাড়ছে। এগুলো অসহিষ্ণুতার অন্যতম কারণ। অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতির সাথে, হিংসা, বিদ্বেষ, জনপ্রিয়তা ও অর্থ-বিত্তের সম্পর্ক জড়িত। পরমতের প্রতি অসম্মানের এ ভয়াবহ ব্যাধি পরিবার, সমাজ, রাজনীতি, রাষ্ট্র ও ধর্মীয় পরিম-লে বিকশিত হচ্ছে। উগ্রতা ও অসহিষ্ণুতার চর্চা বিকশিত হওয়ার সুযোগ পেলে মানুষকে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বৈরিতায় বৃত্তবন্দী করে ফেলে। পৃথিবী বাসযোগ্যতা হারায়।
ইসলাম তার ঊষালগ্ন থেকেই বৈরী শক্তির ষড়যন্ত্রের শিকার। এক শ্রেণীর হীন, মানসিকতাসম্পন্ন লোক সব কালে সব যুগে ইসলাম, কুরআন ও হাদিসের খুঁত বের করে বিষোদগার করতে আনন্দ পায়। মহামানব হজরত মুহাম্মদ সা: ও তাঁর মর্যাদাবান সাহাবায়ে কেরামদের প্রতি কটাক্ষ ও বিদ্রূপাত্মক কার্টুন অঙ্কন তাদের মজ্জাগত বৈশিষ্ট্য। সাম্প্রতিক সময়ে আরো দু’টি উপসর্গ যোগ হয়েছে; একটি পবিত্র কুরআনে অগ্নি সংযোগ এবং মহানবী সা:-কে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক সিনেমা তৈরি। অন্য কোনো ধর্ম তাদের টার্গেট নয়, টার্গেট কেবল ইসলাম। এর পেছনে চারটি কারণ স্পষ্ট।
প্রথমত, ইসলাম বিকাশমান ধর্ম। ইসলাম সারা পৃথিবীতে বিস্তৃতি লাভ করছে ক্রমশ; এমনকি ইউরোপ, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন জনপদ ইসলামের আলোকধারায় উদ্ভাসিত হয়ে উঠছে। ইসলামের অগ্রযাত্রায় হতাশ হয়ে ওই চক্রের হোতারা সাম্প্রদায়িকতা উসকে দিচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, অমুসলমানদের মনে ইসলাম ও মুসলমান সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করা, যাতে তারা এ ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট না হয়। ইসলামের নামে বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে মুমিনদের ইবাদত, কৃষ্টি, জীবনাচার ও প্রচারকর্মে শৈথিল্য আনা।
তৃতীয়ত, মুসলমানরা গভীর ঘুমে অচেতন, না কি জাগ্রত অতন্দ্র প্রহরী তা পরখ করা এবং ঈমানের শক্তিমত্তা যাচাই করা।
চতুর্থত, প্রতিটি ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে। ইসলাম ধর্মাবমাননার প্রতিক্রিয়াস্বরূপ সংক্ষুব্ধ মুসলমানগণ যদি দেশে দেশে সহিংস পন্থার আশ্রয় নেয়, তা হলে তাদের দমনের নামে ন্যাটোবাহিনী হামলে পড়বে ওই সব দেশে। সুযোগ নেবে জাতীয় সম্পদ লুণ্ঠনের, যেভাবে ইরাকে করা হয়েছে। ষড়ন্ত্রকারীরা একা নয়; পেছনে আছে তাদের স্বধর্মী ও সমগোত্রীয়দের এক শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বিশ্বের বহুল পরিচিত ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়া, ফেসবুক ও গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিন।
ধর্ম ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব নিয়ে উপহাস ও কটাক্ষ করার জন্য ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’র বুলিকে ঢাল করা হয়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অনিয়ন্ত্রিত হতে পারে না। আমরা মনে করি, মতপ্রকাশের স্বাধীনতারও সুনির্দিষ্ট শর্ত ও নীতিমালা থাকা চাই। ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’র নামে অন্য ধর্ম ও ধর্ম প্রচারকের প্রতি ঘৃণা ছড়ানো অব্যাহত থাকলে চলমান আন্তঃধর্ম সংলাপ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে এবং অসম্ভব হয়ে উঠবে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার মহৎ উদ্যোগ। হিংসা কেবল হিংসাই ডেকে আনে, শত্রুর সংখ্যা বাড়ায়। ভুলে গেলে চলবে না, নিবর্তন, চক্রান্ত, উচ্ছেদ, হত্যা, ধর্ষণ, ধর্মাবমাননা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ইত্যাদি কারণে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ইসলাম ধর্মকে হেয় করার কাজে চক্রান্তকারীদের আশকারা দেয়ার পরিণতি আগামীতে বুমেরাং হতে পারে।
গোটা পৃথিবীর ৭৫০ কোটি মানুষ বিশেষ কোনো ধর্মের অনুসারী হবে, এটা অসম্ভব। নানা ধর্মের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানই পৃথিবীর বৈচিত্র্য। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী ও সমাজবদ্ধ জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি, সহিষ্ণুতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে অবিলম্বে ধর্মাবমাননার ধারা বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় পৃথিবীর পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে উঠবে। আমরা এ ব্যাপারে সব ধর্মের সচেতন মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ফ্রান্স শতশত বছর ধরে আফ্রিকায় উপনিবেশ গড়ে তোলে। সংগ্রাম ও লড়াইয়ে মাধ্যমে বহুদেশ স্বাধীন হলেও পরে চুক্তির মাধ্যমে তাদের সম্পদ লুণ্ঠন অব্যাহত রেখেছে ফ্রান্স। ফ্রান্সের নেতাদের মধ্যে সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতা ও ক্রুসেডের প্রতিশোধস্পৃহার প্রাবল্য লক্ষণীয়। ইসলামবিদ্বেষ ও নবী অবমাননার পথ থেকে ফ্রান্সকে ফিরে আসতে হবে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য অব্যাহত রাখলে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা, রাষ্ট্রীয় সংহতি ও বিশ্ববাণিজ্য ব্যাহত হবে।
মহানবী সা:-এর অসম্মান মুসলমানরা বরদাশত করে না। ২০১৫ সালে তাঁর কার্টুন প্রকাশের পর ফরাসি ব্যঙ্গ-পত্রিকা শার্লি এবদোর ১২ জন স্টাফ এক হামলায় মারা গিয়েছিল। ইউরোপের মাটিতে ইসলাম ও মুসলমানের শিকড় গভীরে। সাথে আছে পৃথিবীর ২ শ’ কোটি মুসলমান। সুতরাং ফ্রান্সের লাগাম টেনে ধরার দায়িত্ব পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষের।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক