চীনের পার্টনার শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা
রাজাপাকসা - ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেইও চীনের সাথে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে ‘কঠিন’ সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য শ্রীলঙ্কার প্রতি আহ্বান জানাবেন। এই সম্পর্কে কারণে দ্বীপদেশটি অব্যাহতভাবে স্বৈরতান্ত্রিক দেশে পরিণত হচ্ছে- এমন সমালোচনার মধ্যে বৃহস্পতিবার তিনি এই মন্তব্য করলেন।
পম্পেইও চীনের পরিবেষ্ঠনের ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করার পরিকল্পনা করছেন। আগামী সপ্তাহে ভারত, মালদ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়ার পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা সফর করবেন এই পরিকল্পনা নিয়েই।
শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসাকে বিপুল ক্ষমতা প্রদান করার কয়েক দিনের মধ্যে এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রেসিডেন্টের হাতে এত ক্ষমতা প্রদানকে বিরোধী দল স্বৈরতান্ত্রিক শাসন হিসেবে অভিহিত করছে।
শ্রীলঙ্কার এই লোকরঞ্জক নেতা চীনের কাছ থেকে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থন পাচ্ছেন। তার ভাই মহিন্দা রাজাপাকসা যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন তিনি চীনের কাছ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঋণ পেয়েছিলেন। ওই অর্থে বাস্তবায়ন করা অনেক প্রকল্প শ্বেতহস্তি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন কূটনীতিক ডিন টম্পসন বলেছেন, শ্রীলঙ্কার মানবাধিকার, সমন্বয়, গণতন্ত্রের প্রতি দায়বদ্ধতার মতো প্রশ্নগুলো উত্থাপন করবেন পম্পেইও।
তিনি বলেন, আমরা আরো ইতিবাচকভাবে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই।
তিনি চীনের কথা পরিষ্কারভাবে ইঙ্গিত করে বলেন, বৈষম্য ও অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার বদলে স্বচ্ছ, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিকল্প প্রস্তাব করছি আমরা।
তিনি বলেন, আমরা আমরা দীর্ঘ মেয়াদি সমৃদ্ধির জন্য অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য কঠিন, তবে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য শ্রীলঙ্কার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
রাজাপাকসা হুমকি দিয়েছেন, কলম্বোকে যুদ্ধাপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা হলে শ্রীলঙ্কা জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার পরিষদ থেকে বের হয়ে যাবে। ২০০৯ সালে শেষ হওয়া তামিল টাইগারদের বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধে ৪০ হাজার বেসামরিক নাগরিকসহ যুদ্ধের সময়কার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র এই জাতিসঙ্ঘ সংস্থা থেকে বের হয়ে যায়।
ইভানজেলিক্যাল খ্রিস্টান পম্পেইও গত বছর ইস্টার সানডে হামলার প্রেক্ষাপটে শ্রীলঙ্কার প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশের জন্য দেশটি সফর করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরে তা বাতিল করেন। ওই হামলাটি ইসলামপন্থীরা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
পম্পেইও ২০০৪ সালে কলিন পাওয়েলের পর প্রথম মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মালদ্বীপ সফর করতে যাচ্ছেন।মালদ্বীপের সাথে চীনের সম্পর্ক নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বন্ধুভাবাপান্ন আঞ্চলিক শক্তি ভারতের উদ্বেগ রয়েছে।
আফগানিস্তানে মার্কিন সৈন্যদের ভবিষ্যত নিয়ে মিশ্র বার্তা পাঠিয়ে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন
ট্রাম্প প্রশাসন বুধবার আফগানিস্তানে মার্কিন সৈন্যদের ভবিষ্যত নিয়ে সাংঘর্ষিক বার্তা পাঠানো অব্যাহত রেখেছে।
ন্যাটোতে নিযুক্তি মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, দেশটিতে আরো সৈন্য হ্রাসের মতো অবস্থা এখনো সৃষ্টি হয়নি।অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আবারো বলেছেন, আগামী বসন্তের মধ্যে ব্যাপকভাবে সৈন্য হ্রাস নিয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরী করছে প্রশাসন।
আফগান বাহিনীর বিরুদ্ধে তালেবানের সহিংসতার মাত্রা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশের প্রেক্ষাপটে সম্ভাব্য প্রত্যাহার নিয়ে এই মন্তব্য এলো।
সূত্র : এএফপি