আরাফাতের মৃত্যু : নানা তত্ত্ব

গোলাপ মুনীর | Oct 18, 2020 02:17 pm
ইয়াসির আরাফাত

ইয়াসির আরাফাত - ছবি সংগৃহীত

 

ফিলিস্তিন মুক্তি আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যু সম্পর্কে অসংখ্য তত্ত্ব চালু রয়েছে। প্রথম দিকে ফিলিস্তিন কর্মকর্তারা আরাফাতের রেকর্ডপত্র স্থগিত রাখে। ২০০৪ সালে ফিলিস্তিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাবিল শাথ আরাফাতের ফরাসি চিকিৎসকের সাথে কথা বলার পর বলেছিলেন, ফরাসি চিকিৎকেরা আরাফাতের ওপর বিষ প্রয়োগের বিষয়টি পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও আরাফাতের নেতৃত্ব বিষয়ের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘দ্য প্রাইস অব কিংস’-এ নাবিল শাথ পরে বলেছেন, ‘আমার কোনো সন্দেহ নেই যে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ফ্রান্স বলেছে, তার দেহে যে ধরনের বিষাক্ত পদার্থ ছিল, তাদের টক্সিকোলজি টেবিলে পজিটিভ টেস্ট দেয়নি। সেখানে সাধারণ ভাষায় লেখা ছিল দিস ওয়াজ অ্যা পয়জন দেট উই হ্যাভ নট ইন আওয়ার ল্যাবরেটরিজ’।

আঠারো বছর ধরে নিয়োজিত থাকা আরাফাতের ব্যক্তিগত চিকিৎসক আল-কুর্দি বলেছেন, এমনকি সামান্য ঠাণ্ডা লাগলেও সাথে সাথে আরাফাত আমাকে ডাকতেন।... কিন্তু তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সত্যি সত্যিই অবনতির দিকে যাওয়ার পর থেকে তারা আমাকে আর মোটেও ডাকেননি। আর আরাফাতের স্ত্রী আল-কুর্দিকে অনুমতি দেননি প্যারিসের হাসপাতালে তাকে দেখতে যাওয়ার জন্য। এমনকি পরবর্তী সময়ে আরফাতের মৃত্যুর পরও তার লাশের পাশে যেতেও তাকে দেয়া হয়নি। আল-কুর্দি আরো উল্লেখ করেন, আরাফাতের বিধবা স্ত্রী লাশের ময়নাতদন্ত করতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। তার মতে, ময়নাতদন্ত হলে অনেক প্রশ্নেরই উত্তর মিলত।

২০০৫ সালে পাওয়া মেডিক্যাল রেকর্ড থেকে জানা যায়, ৭৫ বছর বয়সী আরাফাতের চিকিৎসকেরা তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে একমত হতে পারেননি। এরা শুধু বলেছেন, আরাফাত স্ট্রোক করে মারা যান, তবে স্ট্রোকের কারণ ছিল অজানা। এসব রেকর্ড বিশ্লেষণ করে অভিমত দেয়া হয়, তিনি মারা যান বিষক্রিয়া, এইডস অথবা কোনো ধরনের সংক্রমণে। ২০১২ সালে প্রকাশ করা নতুন রেকর্ড মতে, ফরাসি চিকিৎসকেরা প্রথমে আরাফাতকে ডায়াগনসিস করে গ্যাসট্রোএন্টারিটিজ দিয়ে।

পয়জনিং

আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৪ সালে ফিলিস্তিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাবিল শাথ আরাফাতের ফরাসি চিকিৎসকদের সাথে কথা বলার পর বলেছিলেন, এসব চিকিৎসক বিষ প্রয়োগের বিষয়টি পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন। ২০০৫ সালে পাওয়া আরাফাতের মেডিক্যাল রেকর্ড উদ্ধৃত করে নিউ ইয়র্ক টাইমস দাবি করে, আরাফাত বিষ প্রয়োগে মারা গেছেন এমন কোনো সম্ভাবনা একেবারেই নেই। তা সত্ত্বেও আল-কুর্দি আরাফাতের সন্দেহজনক মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি করেছেন। তিনি বলেননি,‘অ্যানি ডক্টর উইল টেল ইউ দেট দিজ আর দ্য সিম্পটমস অব পয়জনিং’। সাবেক নেসেট সদস্য, শান্তকামী সক্রিয়বাদী ও ইয়াসির আরাফাতের ব্যক্তিগত বন্ধু ইউরি অ্যাভনারি আরাফাতের মৃত্যুর সময় দাবি করেন, আরাফাতের ওপর বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। সম্প্রতি তিনি এ দাবির পুনরোল্লেখ করেছেন। আরেকজন ইসরাইলি বর্ষীয়ান চিকিৎসক ইসরাইলের ‘হারেট্জ’ পত্রিকায় লেখা প্রকাশ করে আরাফাতের মৃত্যু সম্পর্কে মন্তব্য করেন, ‘ইট ওয়াজ অ্যা ক্লাসিক কেস অব ফুড পয়জনিং’। এ লেখায় বলা হয়, সম্ভবত তিনি অসুস্থ বোধ করার ৪ ঘণ্টা আগে খাওয়া খাবারের সাথে এই বিষ ছিল। হতে পারে এই বিষে ছিল না স্ট্যান্ডার্ড ব্যাকটেরিয়াল পয়জনিং, ছিল ৎরপরহ। এই রিসিন খুবই শক্তিশালী বিষ। সামান্য পরিমাণ এই বিষ একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রাণ সংহার করতে পারে। একই সপ্তাহে ডেইলি হারেট্জ-এ প্রকাশিত এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, নিউ ইয়র্ক টাইমসে আলাদাভাবে প্রকাশিত এক রিপোর্টে আরাফাতের মেডিক্যাল ফাইল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, আরাফাত ফুড পয়জনিংয়ে মারা গেছেন, এমন সম্ভাবনা খুবই কম।

থ্যালিয়াম পয়জনিং

২০০৯ সালে আরাফাতের সাবেক উপদেষ্টা আবু শরিফ অভিযোগ করেন, ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোশাদ’ আরাফাতের ওপর এক ডোজ মারাত্মক থ্যালিয়াম বিষ প্রয়োগ করে। যদিও আরাফাতের প্রতিদিনের ওষুধ প্রয়োগে এ থ্যালিয়াম বিরল রাসায়নিকের প্রভাব চিহ্নিত করা খুবই কঠিন। আবু শরিফ আরো দাবি করেন, ইসরাইলি প্রতিরক্ষাবাহিনী একটি ফিলিস্তিনি অ্যাম্বুলেন্সের চালককে আটক করেছিল। এই অ্যাম্বুলেন্স সার্চ করার সময় কমপক্ষে ৩০ মিনিট এরা আরাফাতের মেডিকেশন পরিচালনা করে। আবু শরিফের মতে, তখন ইসরাইলিরা ওষুধের বদলে বিষ প্রয়োগ করে। আবু শরিফ তার লেখা বই ‘আরাফাত অ্যান্ড দ্য ড্রিম অব ফ্যালেস্টাইন : অ্যান ইনসাইডার্স অ্যাকাউন্ট’-এ তিনি লিখেছেন : ‘আই ওয়াজ পজিটিভ দে ওয়্যার পয়জনিং হিজ ফুড অন অ্যা ডেইলি বেসিস অ্যান্ড ডুইং ইট রাইট আন্ডার আওয়ার ভেরি আইজ’।

২০১১ সালে আবু শরিফ অভিযোগ তোলেন, যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ক’জন ফরেনসিক টক্সিকোলজি এক্সপার্ট পরিচালিত তদন্তে জানা যায়, আরাফাতের ওপর প্রয়োগ করা বিষ ছিল থ্যালিয়াম। আবু শরিফের মতে, ইউরোপীয় টক্সিকোলজি এক্সপার্টেরা থ্যালিয়াম সম্পর্কে সুপরিচিত ছিলেন না। শুধু ফরেনসিক টক্সিকোলজি এক্সপার্টেরাই থ্যালিয়াম চিহ্নিত করতে পারতেন। তা সত্ত্বেও আবু শরিফ এসব এক্সপার্ট ও এই গবেষণা পরিচালনাকারী কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেননি। আবু শরিফের অভিযোগের সূত্রে ২০০৯ সালে বেথেলহেমে অনুষ্ঠিত ফাতাহ কনভেনশনে একটি প্রস্তাবের ওপর ভোটের মাধ্যমে ইয়াসির আরাফাতের ওপর বিষ প্রয়োগের জন্য ইসরাইলকে অভিযুক্ত করা হয়। জেরুসালেম পোস্টের এক সম্পাদকীয়তে আবু শরিফের অভিযোগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এই সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয় ‘কেউ প্রশ্ন তোলেননি, কী করে আবু শরিফ এই তথ্য জানতে পারলেন’। আরাফাতের ভাইপো ও ফাতাহর জনৈক নেতা বলেছিলেন, তদন্তে জানা গেছেতার ওপর বিষ প্রয়োগের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে, তবে এর কোনো প্রমাণ নেই।

এইডস

২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে আরাফাতের রেকর্ডের ওপর ভিত্তি করে জনৈক ইসরাইলি এইডস বিশেষজ্ঞ দাবি করেন, আরাফাত এইডসের সব ধরনের সিম্পটমের বাহক ছিলেন। অপর দিকে নিউ ইয়র্ক টাইমসের দাবি, আরাফাত এইডসে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন, এমন সম্ভাবনা একদম নেই এবং জন লফটাস এবিসি রেডিওতে রিপোর্ট করেন, আরাফাত এইডসের শিকার হয়ে মারা যান। লফটাসের অভিমত, সিআইএ আরাফাতের অবস্থা সম্পর্র্কে জানত এবং তাকে হত্যা না করার ব্যাপারে ইসরাইলকে সম্মত করাতে পেরেছিল। সিআইএ বলেছিল, তার অবধারিত মৃত্যু পর্যন্ত ইসরাইল যেন অপেক্ষা করে। কেননা সমকামিতাসংশ্লিষ্ট রোগে শেষ পর্যন্ত তিনি কাবু হবেন; কিন্তু বেশ কয়েকটি আমেরিকান প্রকাশনা আরাফাতের এইডস-সংশ্লিষ্টতা উড়িয়ে দেয় এবং বলে ইসরাইলের একজন সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ বলেছেন, আরাফাত এইডসের শিকার হয়েছিলেন, এমন খবরে জনমনে ব্যাপক সন্দেহ দেখা দেয়; কিন্তু রেকর্ডপত্র দেখে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, এমন কোনো সম্ভাবনাই খুঁজে পাওয়া যায়নি। একই লেখায় দাবি করা হয়, আরাফাতকে বিষ প্রয়োগ করে মারা হয়েছে, এমন সম্ভবনা খুবই কম। আরো বলা হয়, আরাফাত মারা গেছেন সংক্রমণসৃষ্ট স্ট্রোকে। ২০১২ সালে সুহা আরাফাতের দেয়া তথ্যপ্রমাণের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত তদন্তে দেখা যায়, এমন কোনো প্রমাণ নেই যে, আরাফাত এইডসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

হাইটেক লেজার : ২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কায় নিয়োজিত প্যালেস্টিনিয়ান অ্যাম্বাসেডর আত্তালা কুইবা দাবি তোলেন, হাইটেক লেজার ব্যবহার করে আরাফাতকে হত্যা করেছেন দুই ইসরাইলি। এই দুই ইসরাইলি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন; কিন্তু ধস্তাধস্তির পর ফিলিস্তিনি নিরাপত্তাকর্মীর কাছে তারা পরাস্ত হন। কুইবা আরো অভিযোগ করেন, ১৬টি দেশ আরাফাতের রক্ত পরীক্ষা করেছে। এর মাধ্যমে ধরা পড়ে যে, হাইটেকের মাধ্যমে আরাফাতের ওপর বিষ প্রয়োগ করা হয়।

গ্যাস্ট্রোএনটারিটিজ

২০১২ সালে প্রকাশ করা হয় কিছু নতুন মেডিক্যাল রেকর্ড। এসব রেকর্ডে দেখা যায়, প্রথম দিকে আরব চিকিৎসকেরা আরাফাতের ভাইরাল গ্যাস্ট্রোএনটারিটিজ ডায়াগনাইজ করেন। তাকে বিমানে করে ফ্রান্সে নেয়ার আগে এসব চিকিৎসক পশ্চিমতীরে আরাফাতকে দেখাশোনা করতেন। তখন তার অবস্থারও উন্নতি হয়েছিল, এমনকি তিনি রমজানের রোজা রাখাও শুরু করেন। এর পরও তার বমি বমি ভাব ও ডায়েরিয়া অব্যাহত ছিল।

আরাফাত দুর্বল হয়ে যেতে শুরু করেন। তার ব্লাড প্লেটিলেট (রক্তের মধ্যকার অতি ক্ষুদ্র পর্দাবিশেষ, অণুচক্রিকা) সংখ্যাও কমে যেতে শুরু করে। ২৮ অক্টোবর তার মেডিক্যাল টিম তাকে বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরদিন সকালে তাকে পাঠানো হয় ফ্রান্সে।

ইসরাইলি বিশেষজ্ঞ ড. জোসেফ জিমারম্যান রামাল্লাহ মেডিক্যাল ফাইল পর্যালোচনা করে দেখেন। এর পর তিনি বলেন, আরাফাতের প্রথম দিকের সিম্পটমগুলো গ্যাস্ট্রোএনটারিটিজের বৈশিষ্ট্যের সাথে সাঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। আর তিনি বিশ্বাস করেন না, এ ধরনের ভাইরাল ইনফেকশনে কারো মৃত্যু হতে পারে। তিনি এ-ও বলেন, তার ওপর বিষ প্রয়োগ করার সম্ভাবনাও তিনি দেখছেন না। এমনকি তিনি মনে করেন, পলোনিয়াম-২১০-এর মতো তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিকিরণের সম্ভাবনাও এখানে ধরা পড়েনি। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, আরাফাতের ব্লাড প্লেটিলেট হঠাৎ করে নিচে নেমে যায় এবং তা নিচেই থেকে যায়। এর ফলে আরাফাতের লিভার আর কাজ করছিল না। এর কারণ হতে পারে ভাইরাল ইনফেকশন, বিষ প্রয়োগ নয়।

প্লেটিলেট ডিজঅর্ডার : আরাফাতের চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ফরাসি চিকিৎসকদের তৈরী এক রিপোর্টে বলা হয়, প্লেটিলেট ডিজঅর্ডারে আরাফাতের মৃত্যু হয়েছে। প্লেটিলেট ডিজঅর্ডারের কারণ ছিল অজানা। তবে বিষ প্রয়োগের বিষয়টি তিনি উড়িয়ে দেননি।
স্বাভাবিক কারণ : ব্যারি এম রুবিন ছিলেন আমেরিকান বংশোদ্ভূত ইসরাইলি। তিনি পরিচিত সন্ত্রাস ও মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ের একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে। তিনি বহুবার দেখা করেছেন ইয়াসির আরাফাতের সাথে। তিনি উল্লেখ করেন, আরাফাতের বয়স ছিল ৭৫ বছর। সে তুলনায় তার ওজন ছিল বেশি। খেতেন অস্বাস্থ্যকর খাবার। কাজ করতেন দীর্ঘ সময়। নিজের ভালো যত নিতেন না। তার অভিযোগ, তার ভালো চিকিৎসকও ছিল না।

পলোনিয়াম বিষ প্রয়োগের সন্দেহ

ইসরাইলি রেডিওর মতে, সাবেক ফিলিস্তিনি গোয়েন্দা কর্মকর্তা অ্যাটর্নি ফাহমি শাবানা বলেছেন, আরাফাতের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী তার মৃত্যুর জন্য দায়ী এবং তাকে মারা হয়েছে পলোনিয়াম বিষ প্রয়োগ করে। ফাহমি ২০০৪ সালে ফরাসি হাসপাতালে আরাফাতের মৃত্যু সম্পর্কিত তদন্তে অংশ নেন। আরাফাতের মৃত্যুর আরো কয়েক মাস পর তিনি এ-ও বলেছিলেন, এই একই চক্র গাজার সামরিক গোয়েন্দাপ্রধান জেনালের মুসা আরাফাতকে খুন করে। তিনি ছিলেন পিএলও নেতার আত্মীয়। আরাফাতের ক্ষমতার ধারেকাছে কারো আসা ঠেকানোর জন্য কাজটি করা হয়। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস আরাফাতের মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত আবার চালুর আদেশ দেন।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us