এবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে শীতে যুদ্ধের সরঞ্জাম কিনছে ভারত
এবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে শীতে যুদ্ধের সরঞ্জাম কিনছে ভারত - ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ভারত জরুরিভিত্তিতে উচ্চ এলাকায় যুদ্ধ করার সরঞ্জাম ক্রয় করছে। চীনের সাথে উত্তেজনা প্রশমনের আলোচনায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ার প্রেক্ষাপটে ভারত শীতকালীন মোতায়েনের উদ্যোগ নেয়ার প্রেক্ষাপটে তা করছে বলে বিষয়টি জানেন, এমন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে তিনি মিডিয়ার সাথে কথা বলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নন বলে নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
ভারতীয় সেনাবাহিনী একটি চুক্তি ব্যবহার করে এসব কেনাকাটা করছে। ওই চুক্তির বলে দুই সেনাবাহিনী জ্বালানি ও রণতরী, বিমানের খুচরা যন্ত্রাংশ কেনাসহ লজিস্টিক সহযোগিতা করতে পারবে।
দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্যই ২০১৬ সালে সই হওয়া লজিস্টিকস এক্সচেঞ্জ মেমোরেন্ডাম এগ্রিমেন্ট সই হয়েছিল।
ভারত ও চীনের মধ্যে লাদাখে উত্তেজনা বাড়ার ফলে উভয় দেশই সীমান্তে হাজার হাজার সৈন্য, ট্যাঙ্ক, ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। তারা জঙ্গিবিমানও প্রস্তুত অবস্থায় রেখেছে।
তাড়াহুড়া করে শীত সরঞ্জাম কেনায় মনে হচ্ছে, পরিস্থিতি শীতকালেও একই রকম থাকবে।
সৈন্যরা ৪,৫০০ মিটার উঁচুতে মুখোমুখি রয়েছে। সেখানে তাপমাত্রা মাইনাস ৩০ ডিগ্রিতেও নেমে যায়।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও তার চীনা প্রতিপক্ষ ওয়াং ইয়ি সেপ্টেম্বরে দুই দেশের মধ্যকার সীমান্তজুড়ে উত্তেজনা হ্রাস করতে রাজি হয়েছিলেন।
ভারত এখন পর্যন্ত উচ্চ এলাকায় তার প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য সরঞ্জাম প্রধানত ইউরোপ বা চীন থেকে কিনে আসছিল।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদাধিকারী এস কে সাইনি জরুরি কেনাকানা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার জন্য ইউএস আর্মি প্যাসিফিক কমান্ড পরিদর্শনে যাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী উচ্চ এলাকায় যুদ্ধের জন্য কেনাকাটার খবর প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে তার শীর্ষস্থানীয় এক জেনারেলের যুক্তরাষ্ট্র সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
নয়া দিল্লিতে মার্কিন দূতাবাসের এক মুখপাত্র এ ব্যাপারে মন্তব্য পেয়ে পাঠানো টেক্সট ম্যাসেজের কোনো জবাব দেননি
সূত্র : ব্লুমবার্গ
লাদাখ নিয়ে চীনের মন্তব্য করার অধিকার নেই : ভারত
হিন্দুস্তান টাইমস
লাদাখ নিয়ে চীনের মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য করার কোনো অধিকার নেই চীনের। সোমবার ভারত সীমান্তে ৪৪টি নতুন সেতু উদ্বোধন করে। সেতু স্থাপনের প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার চীন দাবি করে, ভারত অবৈধভাবে লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করেছে। তারা এর স্বীকৃতি দেয় না। ওই অঞ্চলে ভারতের অবকাঠামো স্থাপনেরও বিরোধিতা করেছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, অরুণাচল প্রদেশ নিয়েও আমাদের অবস্থান আগে একাধিকবার জানিয়ে দেয়া হয়েছে। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সোমবার (১২ অক্টোবর) সীমান্ত এলাকায় ভারী যান চলাচলের উপযোগী নতুন ৪৪টি সেতু উদ্বোধন করেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সীমান্তে চীন ও পাকিস্তান গোলযোগ তৈরি করছে উল্লেখ করে এদিন প্রতিবেশী দুই দেশের প্রতি হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেন তিনি।
নতুন সেতুগুলোর অবস্থান জম্মু-কাশ্মির, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখ- ও পাঞ্জাব সীমান্তে। লাদাখেই তৈরি হয়েছে সাতটি সেতু। অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, আমরা সীমান্তে বিশেষ নজর দিচ্ছি। চীনের সাথে সমঝোতা হলেই সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫-এ ধারার বিলোপ ঘটায় এনডিএ সরকার।