চীনের সাথে উত্তেজনা : আরো রাফাল দরকার ভারতের

ঋষিকেশ কুমার | Oct 16, 2020 08:55 am
রাফাল

রাফাল - ছবি : সংগৃহীত

 

রাফাল জঙ্গিবিমান প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করার জন্য ভারতীয় বিমান বাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তারা ফ্রান্সে পৌঁছেছেন। আসন্ন শীতে চীনের সাথে সম্ভাব্য সঙ্ঘাতের শঙ্কায় সামরিক শক্তি বাড়ানোর চেষ্টায় তারা এই সফর করছেন। নয়া দিল্লির আমলারা নিশ্চিত করেছেন যে রাফাল জঙ্গি বিমানের দ্বিতীয় ব্যাচের সরবরাহের তারিখ শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে।
ভারত প্রথম ব্যাচে ফ্রান্সের কাছ থেকে ৫টি রাফাল জঙ্গি বিমান পেয়েছে। এসব বিমান ইতোমধ্যেই চীন সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে।

চলতি মাসের প্রথম দিকে ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রধান আর কে এস ভাদুরিয়া বলেছিলেন, চলতি মাসের শেষ দিকে বা আগামী মাসের প্রথম দিকে আরো ৩-৪টি বিমান ভারতে আসতে পারে।
তিনি বলেছিলেন, প্রতি ৩-৪ মাস পরপর তা হতে থাকবে। তিনি অদূর ভবিষ্যতে আরো রাফাল জঙ্গি বিমান কেনার বিষয়টি বিবেচনাধীন থাকার ইঙ্গিতও দেন।

অক্টোবরের শুরুতে মিডিয়ায় বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আরো রাফাল বা মাল্টি-রোল জঙ্গিবিমান কেনা নির্ভর করবে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার ওপর। এটাই আমাদের এখনকার পরিকল্পনা। আমরা আরএফআই (রিকোয়েস্ট ফর ইনফরমেশন) সাড়া পেয়েছি। ফলে পুরো বিষয়টিই আলোচনাধীন রয়েছে, বিতর্ক হচ্ছে। এই পরিস্থিতি ও ছবি পরিষ্কার হয়ে গেলে আমরা এগিয়ে যাওয়ার পন্থা চূড়ান্ত করব, আপনাদেরকে জানাব।

তিনি আরো বলেন, ৩৬টি রাফাল জঙ্গি বিমানের পুরো ব্যাচ ২০২৩ সালের মধ্যে কার্যক্রম চালানোর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে।

সীমান্ত অচলাবস্থা দীর্ঘস্থায়ী
পূর্ব লাদাখে দুই দেশের সীমান্তে অচলাবস্থা নিরসনে ৫ মাস ধরে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার প্রেক্ষাপটে চীন-সম্পর্কিত ইস্যুগুলোর জন্য গঠিত ভারত সরকারের শীর্ষ নীতিনির্ধারণী সংস্থা চায়না স্টাডি গ্রুপ অচলাবস্থা নিরসনে বেইজিংয়ের দেয়া প্রস্তাব ভেবে দেখছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি।

চীন ওই প্রস্তাবে সীমান্ত এলাকা থেকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর সাজোয়া ইউনিটগুলো প্রত্যাহারের কথা বলেছে। ১২ অক্টোবর সামরিক কমান্ডার পর্যায়ে সপ্তম দফার বৈঠকে চীন এই প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবের বিস্তারিত প্রকাশ না করে নয়া দিল্লির কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী দফার আলোচনার সময় প্রস্তাবের জবাব আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়া হবে।
সপ্তম রাউন্ডের বৈঠক হয় লাদাখের চুশালায়।

ওই সভার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইস্যু করা যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, উভয়পক্ষ সামরিক ও কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে সংলাপ ও যোগাযোগ রক্ষা করে যেতে একমত হয়েছে।
কিন্তু তা সত্ত্বেও উভয় সেনাবাহিনীই তাদের সৈন্যদের জন্য শীতকালীন সরবরাহ দিচ্ছে হিমালয়ের প্রচণ্ড শীতের মধ্যেই টিকে থাকার জন্য। ভারতীয় সেনাবাহিনী আর্কটিক তাঁবু স্থাপন করেছে। একেকটি তাঁবুতে তিন থেকে পাঁচ জন সৈন্য অবস্থান করতে পারে।

সূত্র জানায়, চীনা লিবারেশন আর্মিকে সীমান্তে মোকাবেলা করার জন্য ভারত পূর্ব লাদাখে আরো ৩৫ থেকে ৫০ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে।

সূত্র : স্পুটনিক

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us