জালিয়াতি রুখতে আর্মি অব ট্রাম্প!

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Oct 14, 2020 04:34 pm
ট্রাম্প

ট্রাম্প - ছবি : সংগৃহীত

 

চোখ দুটি সার্চলাইটের মতো অনবরত ঘুরছে। তীক্ষ্ণ দৃষ্টি এড়িয়ে যাওয়ার জো নেই। হাতে মোবাইল। ক্যামেরার ‘ক্লিক’ বাটনে আলতো করে রাখা আঙুল। দরকার পড়লেই ছবি, ভিডিও। নিমেষে।

পেনসিলভেনিয়া, ফ্লোরিডা, উইসকনসিনের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ‘ব্যাটেলগ্রাউন্ড’ স্টেটে কাজে নেমে পড়েছে ‘আর্মি অব ট্রাম্প’। লক্ষ্য একটাই—মেইল-ইন-ব্যালটে কারচুপি রোখা। তাই চলছে নজরদারি। প্রতি মুহূর্তে।

প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের শুরু থেকেই মেল-ইন-ব্যালট নিয়ে বেসুর ট্রাম্প। ভিত্তিহীন অভিযোগ থেকে কারচুপির আশঙ্কা, দুশ্চিন্তা অন্তহীন। বিদায়ী প্রেসিডেন্টের দাবিতে তাল দিচ্ছেন রিপাবলিকানরাও। রুখতেই হবে জালিয়াতি। তাই নজরদারি চালাতে তৈরি করা হয়েছে এই ‘আর্মি অব ট্রাম্প’। কী কাজ এই বাহিনীর? রিপাবলিকান শিবিরের কথায়, এই নির্বাচনে ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেটগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোভিড আতঙ্কে সেখানে মেইল-ইন-ব্যালটে ভোট দেয়ার প্রবণতা বেশি। এই ভোট প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম হচ্ছে কি না, তা খুঁটিয়ে দেখার ভার রয়েছে ‘আর্মি অব ট্রাম্প’-এর কাঁধে। কোথাও কোনো অনিয়ম দেখলেই তার ছবি ও ভিডিও তুলে রাখবে এই দলের স্বেচ্ছাসেবকরা। নির্বাচনী ফল সংক্রান্ত জটিলতা হলে এই সমস্ত তথ্যপ্রমাণ সামনে আনা হবে। তবে এখন পর্যন্ত কতজন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি রিপাবলিকান শিবির।

ট্রাম্পের এই বাহিনী যে পুরোদমে কাজ করছে, সে কথাও জানাতে ভোলেননি রিপাবলিকান ভোট ম্যানেজাররা। ইতিমধ্যে বেশ কিছু সন্দেহজনক ঘটনার ছবি এবং ভিডিও পাঠিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। যার মধ্যে একটি ফিলাডেলফিয়ায় তোলা। আগাম ভোটের জন্য তৈরি সেখানকার একটি ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি ট্রাম্পের এক নির্বাচনী প্রচার পর্যবেক্ষককে। এনিয়ে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প শিবির। ফিলাডেলফিয়া শহরের প্রশাসনিক কর্তারা অবশ্য তাতে আমল দিতে নারাজ।

তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্প ও বিডেন, উভয় প্রার্থীর প্রচার-পর্যবেক্ষকদের নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে যেতে দেয়া হবে। কিন্তু আগাম নয়। তাতে অবশ্য দমানো যায়নি রিপাবলিকানদের। তারা জানিয়েছে, মেইল-ইন-ব্যালটের প্রতিটি ধাপের উপর নজর রাখা হবে। একই ব্যক্তি যাতে একাধিক ব্যালট জমা না দিতে পারে, তার জন্য বাক্সগুলোর উপর ক্যামেরা লাগানোর পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। কিছু প্রদেশে ভোটার নিজে না এসে অন্য কাউকে দিয়ে ব্যাটল নির্ধারিত বাক্সে ফেলতে পারেন। তবে পেনসিলভেনিয়াসহ কিছু প্রদেশে এই নিয়ম কার্যকর নয়।

পেনসিলভেনিয়ার বাক কাউন্টির রিপাবলিকান প্রধান প্যাট ডিওন বলেন, ‘দেশজুড়ে ট্রাম্প বাহিনীর বহু স্বেচ্ছাসেবক, অ্যাটর্নি মেইল-ইন-ব্যালটের উপর নজর রাখবেন। থাকবে প্রচুর সংখক ক্যামেরাও। সব মিলিয়ে গোটা ব্যাপারটা অত্যন্ত জটিল আকার নিতে চলেছে।’

বাবার সুরেই মেইল-ইন-ব্যালটে কারচুপির আশঙ্কা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র। তার দাবি, ডেমোক্র্যাটরা হাজার হাজার ভুয়ো ব্যালট জমা দেয়ার চেষ্টা করছে।

ডেমোক্র্যাটরা অবশ্য বাবা-ছেলের দাবি মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, মনগড়া একটা বিষয় নিয়ে ট্রাম্প শিবির অযথা পানিঘোলা করছে। মেল-ইন-ব্যালট নিয়ে অবশ্য বিশেষ চিন্তা নেই বাইডেন শিবিরে। কারণ একটাই—এই পর্বে রিপাবলিকানদের তুলনায় ঢের এগিয়ে ডেমোক্র্যাটরা। ফ্লোরিডায় ভোটের ক্ষেত্রে রিপাবলিকানরা বরাবরই মেল-ইন-ব্যালটের দিকে তাকিয়ে থাকে। সেখানে এবার তাদের প্রায় ১৭ লাখ সমর্থক মেইল-ইন-ব্যালটে ভোট দেয়ার আবেদন করেছেন। তুলনায় ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের আবেদনের সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৩ নভেম্বর ভোটের আগেই ট্রাম্পের চেয়ে ঢের এগিয়ে থাকবেন বাইডেন। অঙ্ক স্পষ্ট। তাই নজরদারি ছাড়া গতি নেই বিদায়ী প্রেসিডেন্টের। ট্রাম্পকার্ড হয়তো লুকিয়ে মেইল-ইন-ব্যালটেই।

সূত্র : বর্তমান


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us