ইঞ্জিনে ত্রুটি, আবারো ব্যর্থ হলো ভারতের নির্ভয়
নির্ভয় - ছবি : সংগৃহীত
সোমবার আবারো ব্যর্থ হলো ভারতের নিজস্ব তৈরি ১০০০ কিলোমিটার পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নির্ভয়ের পরীক্ষা। কারিগরি ত্রুটির কারণে পরীক্ষাটি ব্যর্থ হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
পাহাড়ি এলাকার উপর দিয়ে উড়ে গিয়ে টার্গেটে হামলা করতে সক্ষম মাঝারি পাল্লার সাবসনিক ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইল ‘নির্ভয়’ হলো আমেরিকার টোমাহক ও রাশিয়ার ক্লাব এসএস-এন-২৭ ক্রুজ মিসাইলের ভারতীয় সংস্করণ।
প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানীরা জানান, ইঞ্জিনে ত্রুটির কারণে নিক্ষেপের ৮ মিনিটের মধ্যে এটি ধ্বংস হয়ে যায়। তারা আর কিছু বলেননি।
এই ক্ষেপণাস্ত্রে রাশিয়ার স্যাটুরান ৫০এমটি টার্বোফ্যান ইঞ্জিন ব্যবহার করা হচ্ছে। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) ২০০৭ সাল থেকে নির্ভয় তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছে।
ডিআরডিও’র এক সিনিয়র বিজ্ঞানী বলেন, এটা স্টেলথি মিসাইল, যা বিভিন্ন ধরনের ওয়্যারহেড বহন করতে পারবে এবং ঘুরেফিরে একাধিক টার্গেটে আঘাত হানতে সক্ষম হবে।
এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, নির্ভয় সফল হলে এটি টোমাহকের মতো কোন ব্যালিস্টিক প্যারাবোলা অনুসরণ করবে না। এটি যেকোনো ধরনের ভূমির উপর দিয়ে গিয়ে টার্গেটে আঘাত হানতে পারবে। প্রচলিত রাডারে এগুলো ধরা পড়বে না। তাই এগুলো অনেক প্রাণঘাতি হবে এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর এটা দরকার।
১,৫০০ কেজি ওজনের নির্ভয় ৬ মিটার লম্বা এবং এর গতি ০.৭ ম্যাচ। এটা ৩০০ কেজি পর্যন্ত প্রচলিত ও পারমাণবিক ওয়্যারহেড বহন করতে পারবে।
এটি দুই ধাপের মিসাইল। প্রথম ধাপে সলিড-ফুয়েল রকেট ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে টার্বোফ্যান ইঞ্জিন কাজ করে।
ইন্টারনাল নেভিগেশন সিস্টেম হিসেবে এতে দেশীয়ভাবে উদ্ভাবিত রিং লেজার জাইরোস্কোপ, জিপিএস-এনাবল্ড গাইডেন্স সিস্টেম ও রাশিয়ান সিকার সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে।
গত জুলাইয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তিন বাহিনীর জন্য ৩০০ নির্ভয় ক্ষেপনাস্ত্র কেনার উদ্যোগ নেয়।
এর আগেও কয়েকবার এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ব্যর্থ হয়েছে। বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার আগে আরো অন্তত ২০টি পরীক্ষা চালাতে হবে বলে ডিআরডিও’র আরেক বিজ্ঞানী জানিয়েছেন। এতে তিন থেকে পাঁচ বছর লাগতে পারে।
রাষ্ট্রায়ত্ত ভারত ডিনামিক্স লি. এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। এর প্রতিটির দাম পড়বে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন ডলার।
সূত্র : ডিফেন্স নিউজ
রাশিয়া থেকে ফাইটার জেট আনছে ভারত
দ্য প্রিন্ট
চলতি বছরের শেষেই রাশিয়া থেকে ১১০টিরও বেশি ফাইটার জেট আনছে ভারত। দেশটির বিমানবাহিনীর ফাইটার জেটের সংখ্যা ক্রমেই কমতে থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বছরের শেষের দিকে রাশিয়া থেকে ১১৬টি অত্যাধুনিক ফাইটার জেট আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
২১টি মিগ ২৯ আনা হবে। সূত্রের খবর, ১৯৮০ সালে এই মিগ বিমানগুলোর কাঠামো তৈরি হয়েছিল; কিন্তু কখনো ব্যবহার করা হয়নি। কাঠামো পুরনো হলেও এর যন্ত্রপাতি অত্যাধুনিক হবে বলে জানানো হয়েছে। মিগ ছাড়াও ১২টি এসইউ-৩০ এমকেআই আনা হবে। আরো আনা হতে পারে ৮৩টি তেজস মার্ক ১এ।
এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান আর কে এস বাদোরিয়া। তিনি বলেন, যেখানে বিমানবাহিনীর ৪০ স্কোয়াড্রন ফাইটার থাকার কথা, সেখানে ৩০ স্কোয়াড্রন ফাইটার রয়েছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই বাতিল হয়ে যাওয়া মিগ চালান।
এ দিকে পূর্ব লাদাখে আরো ৬০ হাজার সেনা জওয়ান মোতায়েন করেছে ভারত। সেই সাথে মোতায়েন করা হয়েছে ভীষ্ম ট্যাংক, অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার, সুখোই ফাইটার জেট, চিনুক ও রুদ্র হেলিকপ্টার।