মাস্ক পরায় এসব ভুল করলেই বিপদ!
মাস্ক পরায় এসব ভুল করলেই বিপদ! - ছবি : সংগৃহীত
করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো মাস্ক পরা। করোনা এড়ানোর জন্য, মাস্ক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হিসেবে বিবেচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সরকার, চিকিৎসক-গবেষক প্রত্যেকেই বারবার করে বলছেন মাস্ক পরার কথা। বিশেষ করে, বাইরে বেরোনোর সময় বা কারুর সঙ্গে কথা বলা সময় মাস্ক অবশ্যই পরার কথা বলা হচ্ছে। তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই সঠিক নিয়ম মেনে মাস্ক ব্যবহার করছেন না, এর ফলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। এই কারণেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে বলতে চেয়েছেন যে, মাস্ক পরার সময় মানুষ কী ধরনের ভুল করছে। আসুন জেনে নেয়া যাক সে সম্পর্কে।
ঢিলেঢালা মাস্ক
মাস্ক পরার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে মাস্কটি যেন আপনার মুখের সঙ্গে চেপে বসে থাকে, যাতে ওপর-নিচ বা কোনোভাবে ভাইরাস আপনার নাক ও মুখে প্রবেশ করতে না পারে। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেককেই দেখা যাচ্ছে ঢিলেঢালা মাস্ক ব্যবহার করতে। মাস্ক দিয়ে নাক-মুখ দুই ঢেকে রাখুন অনেককেই দেখা যাচ্ছে মাস্ক নাকের নিচে অর্থাৎ শুধুমাত্র মুখ ঢেকে রাখতে, আবার অনেকে শুধু নাক ঢেকে রাখছে এবং তাদের মুখ খোলা থাকছে। যদি মাস্ক দিয়ে সঠিকভাবে নাক-মুখ না ঢাকা হয়, তবে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকে।
উল্টো করে মাস্ক পরা
মাস্কের একটা দিকে পিন জাতীয় জিনিস থাকে, যা নাকে সঠিকভাবে ফিট করার জন্য লাগানো থাকে। যখন মাস্ক পরবেন, তখন পিনের দিকটি অবশ্যই উপরের দিকে হওয়া উচিত।
বারবার মাস্ক ছোঁয়া
বারবার মাস্ক ছোঁয়া একদমই উচিত নয়, এতে করে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মাস্কের বাইরের অংশটি দূষিত হিসেবে মাথায় রাখুন এবং এটি পরা অবস্থায় বারবার স্পর্শ করবেন না। তবে যদি আপনার মাস্কে হাত দিতেই হয়, তাহলে অবশ্যই হাত স্যানিটাইজ করুন।
ময়লা বা ভেজা মাস্ক ব্যবহার করবেন না
একবার মাস্ক ব্যবহার করার পরে সেটি স্যানিটাইজ করা বা ধুয়ে নেয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আপনি যদি কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করেন, তবে সেটি পানি এবং সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। কখনোই ময়লা বা ভেজা মাস্ক ব্যবহার করবেন না।
সূত্র : বোল্ডস্কাই
২৮ দিন
করোনাভাইরাস ২৮ দিন পর্যন্ত ব্যাংক নোট, মোবাইল ফোনের স্ক্রিন এবং স্টেইনলেস স্টিলের মতো পৃষ্ঠগুলোতে থাকতে পারে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল সায়েন্স এজেন্সির এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। গবেষণায় বলা হয়েছে যে, এসব পৃষ্ঠে সার্স-কোভ-২ আগের ধারণার চাইতেও অনেক বেশি সময় বেঁচে থাকতে পারে।
এই পরীক্ষাটি চালানো হয়েছিল অন্ধকারে। এর আগে জানা গেছে ইউভি লাইট দিয়ে এই ভাইরাস নির্মূল করা যায়।
বাস্তব জীবনে পৃষ্ঠ থেকে মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয় কিনা, সেটা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
করোনাভাইরাস বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সংক্রমণ হয় লোকজনের কাশি, হাঁচি বা আলাপ করার মাধ্যমে।
আবার যেসব কণা বাতাসে ভেসে বেড়ায় সেখান থেকেও ছড়াতে পারে কোভিড-১৯, এমন প্রমাণও পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এর তথ্য অনুযায়ী ধাতব পদার্থ ও প্লাস্টিকের মতো বস্তু থেকে কোভিড-১৯ ছড়াতে পারে। যদিও এটা সচরাচর হয় না।