কাতারে এফ-৩৫ বিক্রি : ইসরাইল ভয় পাচ্ছে!
এফ-৩৫ - ছবি : সংগৃহীত
ইসরাইল কাতারের কাছে অত্যাধুনিক মার্কিন এফ-৩৫ জঙ্গি বিমান বিক্রির বিরোধিতা করবে বলে জানিয়েছেন ইসরাইলের গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রী এলি কোহেন।
রোববার তিনি বলেন, এ অঞ্চলে ইসরাইলের সামরিক আধিপত্য ধরে রাখতে এই জঙ্গি বিমান বিক্রির ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর রেডিওতে কাতার ওয়াশিংটনের কাছ থেকে এফ-৩৫ স্টিলথ বিমান ক্রয়ের বিষয়ে যে প্রস্তাব করেছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে দেশটির গোয়েন্দা প্রধান এলি কোহেন এ মন্তব্য করেন বলে সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
ইসরাইল এ যুদ্ধ বিমান ক্রয়-বিক্রয়ের বিরোধিতা করবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে কোহেন বলেন, ইসরাইল অবশ্যই এর বিরোধিতা করবে। এ অঞ্চলে আমাদের নিরাপত্তা ও সামরিক আধিপত্য বজায় রাখা আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কারণ, আমাদের এ অঞ্চল এখনো সুইজারল্যান্ডের মতো নিরপেক্ষ হয়ে যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত আব্রাহাম অ্যাকোর্ড নামে পরিচিত সম্পর্ক স্বাভাবিকরণ চুক্তির আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতকে এফ-৩৫ সরবারহের বিষয়ে মার্কিন সম্মতির পর কাতার এ বিমানটি ক্রয়ে আগ্রহ দেখায়। খুব কম দেশের কাছেই এই অত্যাধুনিক জঙ্গি বিমান রয়েছে।
সূত্র : ইয়েনি শাফাক
নির্বাচিত হলে ইরানকে পরমাণু চুক্তিতে বাধ্য করবেন ট্রাম্প
পার্সটুডে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি যদি আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় আসতে পারেন তাহলে আমেরিকার সাথে নতুন করে পরমাণু চুক্তি করতে বাধ্য হবে ইরান। গত শুক্রবার আমেরিকার রক্ষণশীল রেডিও সঞ্চালক রাশ লিম্বার সাথে দুই ঘণ্টাব্যাপী ফোনলাপে ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব কথা বলেন। তিনি জোরালোভাবে বলেন, ‘যদি আমি আবার নির্বাচিত হতে পারি তাহলে এক মাসের মধ্যে ইরানের সাথে একটি বড় চুক্তি হবে।’
অবশ্য, এ সময় তিনি ইরানের বিরুদ্ধে একটি হুমকিও দেন। তিনি বলেন, যদি ইরান আমেরিকার বিরুদ্ধে কোনো কিছু করে তাহলে তাকে এক হাজার গুণ মূল্য দিতে হবে। ট্রাম্প বলেন, ‘ইরান জানে এবং বিষয়টি লক্ষ্য করেছে যে, যদি তারা আমাদের সাথে খারাপ কিছু করে তাহলে আমরা তাদের সাথে এমন কিছু করব যা তারা কখনও ভাবেনি।’ এর আগে গত আগস্ট মাসে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ‘ইরান আমেরিকার কাছে আসতে বাধ্য হবে এবং তিনি পুনর্বাচিত হওয়ার এক মাসের মধ্যে নতুন পরমাণু চুক্তি সই করবে।’
ওই বক্তব্যের জবাবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছিলেন, ‘ইরান কারো সাথে কোনো ব্যাপারে আলোচনা করতে দ্বিধা করে না; কিন্তু চুক্তি হয়ে যাওয়া বিষয় নিয়ে ইরান আলোচনা করবে না।’ তেহরান বারবার বলছে, তারা কেবল ২০১৫ সালে শুরু হওয়া পরমাণু সমঝোতার কাঠামোর ভেতরে থেকেই আমেরিকার সাথে আলোচনা করতে পারে।