ভ্যাকসিন কি আসলেই করোনা নির্মূল করতে পারছে?

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Oct 11, 2020 03:10 pm
ভ্যাকসিন

ভ্যাকসিন - ছবি সংগৃহীত

 

ইউরোপে দ্বিতীয়বারের জন্য শুরু হয়েছে করোনা প্রকোপ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখনো তথৈবচ অবস্থা। ভারতেও পরিস্থিতি আগের মতো না হলেও ৭০ হাজারের গন্ডি পেরিয়েছে দৈনিক আক্রান্ত সংখ্যা। পশ্চিমবঙ্গে পূজার আগেই হু হু করে বাড়ছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা। মাস্ক পরে সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে ঠিকই কিন্তু এখন ভ্যাকসিনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব।

কবে সকলের জন্য উপলব্ধ হবে করোনা প্রতিরোধী টিকা? প্রথম সারির ভ্যাকসিনগুলো সবক’টিই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে। ফাইজার এবং মডার্না এই মাসেই তাদের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ধাপে কতটা কার্যকর হল ভ্যাকসিন সেই সকল রিপোর্ট প্রকাশ করবে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন সাধারন মানুষের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছতে সময় লাগবে আগামী বছরের মার্চ- এপ্রিল। যদিও মডার্না চাইছে এই বছরের শেষের দিকে তাদের ভ্যাকসিন বাজারে আনতে। ব্লুমবার্গে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে ফাইজার সংস্থাও এই মাসে তাদের ভ্যাকসিন বাজারে আনার জন্য মার্কিন সংস্থা এফডিএ-এর কাছে অনুমোদন চেয়েছে।

ভারতে অবশ্য এখন তিনটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে। এর মধ্যে দুটি রয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ে আর অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন রয়েছে শেষ ধাপে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক অবশ্য জানিয়েছে ২০২১ এর জানুয়ারি থেকে দেশের মানুষ এই ভ্যাকসিন পেতে পারেন।

মডার্না করোনা ভ্যাকসিন

এই মুহুর্তে শেষ ধাপের (phase-3) ক্লিনিকাল ট্রায়ালে রয়েছে মার্কিন বায়োটেকনলজি সংস্থা মডার্নার mRNA-1273 করোনা ভ্যাকসিন। নভেম্বরের ২৫ তারিখের পর জরুরীকালীন ভিত্তিতে বাজারে এই ভ্যাকসিন আনার কথা বলা হয়েছে। ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকদের উপর তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক কাজ চালিয়েছে এই সংস্থা। তাদের তরফে জানান হয়েছে, এই টিকার সুরক্ষা এবং কার্যকারীতার সমস্ত তথ্য রয়েছে। ফোর্বস পত্রিকাকে মডার্নার সিইও স্টেফানি ব্যানসেল বলেন, “২৫ নভেম্বরের মধ্যে জরুরিকালীন অনুমোদনের জন্য ফাইলটিতে এফডিএ-তে পাঠানোর আগে সমস্ত তথ্য আমাদের হাতে থাকবে।”

এখন পর্যন্ত যে রিপোর্ট পাওয়া গেছে সেখানে মডার্নার mRNA-1273 ভ্যাকসিন ৫৫ বছরের উর্ধ্বে যাদের বয়স তাঁদের দেহে শক্তিশালী রোগ-প্রতিরোধ তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছে। এই ভ্যাকসিনটি মূলত ব্লাডেই ইনজেক্ট করা হয়। দেখা গিয়েছে ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সারস-কোভ ২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে চটজলদি অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছে।

ফাইজার করোনা ভ্যাকসিন

জার্মান সংস্থা বায়োএনটেকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে করোনা টিকা প্রস্তুত করছে ফাইজার। এই ভ্যাকসিনটি আদতে modRNA প্রকৃতির। যার বৈজ্ঞানিক নাম- নিউক্লিওসাইড মডিফায়েড মেসেঞ্জার আরএনএ। অর্থাৎ কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সংস্থা। যেহেতু ভাইরাসটি আরএনএ প্রকৃতির তাই মডিফায়েড মেসেঞ্জার আরএনএ দিয়েই ভাইরাল আরএনএ-এর বিরুদ্ধে লড়াই চালাবে এই ভ্যাকসিন। এখন পর্যন্ত মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে এই ভ্যাকসিন। ক্লিনিকাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে এই ভ্যাকসিন। মূলত দুটি টিকার একসঙ্গেই ট্রায়াল চলছে। একটি- BNT162b1 এবং অপরটি- BNT162b2। সফলতায় দ্বিতীয়টির হার সামান্য হলেও বেশি। অন্তত রিপোর্ট তাই বলছে।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন

সম্প্রতি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাওয়ায় বন্ধ হয়েছিল এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল। ভারতেও স্থগিত করা হয়েছিল ক্লিনিকাল ট্রায়াল। তবে ফের ছাড়পত্র পেয়েছে এই টিকা। জানা গিয়েছে চন্ডিগরে যাদের দেহে এই টিকার ট্রায়াল চলছিল তাদের সকলের দেহেই রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে এই ভ্যাকসিন। দুটি টিকা উৎপাদন করেছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা। একটি চ্যাডক্স এবং আরেকটি ভারতের জন্য কোভিশিল্ড।

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us