মালয়েশিয়ার সাবাহ স্টেট নিয়ে ফিলিপাইনের রাজনীতি
মালয়েশিয়ার সাবাহ স্টেট নিয়ে ফিলিপাইনের রাজনীতি - ছবি সংগৃহীত
মালয়েশিয়ার সাবাহ স্টেট নিয়ে রাজনৈতিক মঞ্চ উত্তপ্ত করেছে ফিলিপাইন। গত ছয় দশক ধরে দুই দেশের মধ্যে সাবাহ-বিরোধ চলছে। সম্প্রতি ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতার্তের মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সাবাহ ফিলিপাইনের’। ‘আমরা চাই মালয়েশিয়ার সাথে যেন কোনো হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সৃষ্টি না হয়।’
৩০০ বছর আগে সুলু স্টেটের সুলতান, সাবাহ, সাবাহ দ্বীপপুঞ্জ ও দক্ষিণ ফিলিপাইন শাসন করেছেন। ১৮৭৮ সালে সুলতান ব্রিটিশদের এলাকাটি ছেড়ে দেন। ফিলিপাইন দাবি করে, উত্তর বোর্নিও চার্টার্ড কোম্পানি জায়গাটি লিজ নেয়, পুরো জায়গা ছেড়ে দেয়নি। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর বোর্নিও স্টেট ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণে যায় এবং ১৯৬৩ সালে মালয়েশিয়ান ফেডারেশনের সাথে যুক্ত হয়। সুলু ফিলিপাইনের সাথে যুক্ত হয়। সুলু সালতানাত শতবর্ষ আগে ফিকে হয়ে গেছে এবং মালয়েশিয়া থেকে সাবাহর কারণে সামান্য কিছু অর্থকড়ি পেত। সর্বশেষ ২০১৩ সালে মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনের মধ্যে সাবাহ-বিরোধ তুঙ্গে ওঠে। তখন কয়েক শ’ ফিলিপিনোপন্থী এবং সুলু সাম্রাজ্যের বংশধর সাবাহর সার্বভৌমত্ব দাবি করে। জামাল কিরামের অনুসারীদের সাথে মালয়েশিয়া পুলিশের হাতাহাতি হয়, এতে ডজনখানেক বিক্ষোভকারী নিহত হয়। কিরাম ২০১৩ সালের অক্টোবরে মারা যান। এ মুহূর্তে সাবাহ নিজেই সদ্যসমাপ্ত মালয়েশিয়ার নির্বাচন নিয়ে নির্বাচনী মাঠ উত্তপ্ত করে রেখেছে। বিরোধী দল বলছে এখানকার ভোটেই পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে ও ক্ষমতা নিতে পারবে। উল্লেখ্য, মাহাথির ক্ষমতা ত্যাগের পর মালয়েশিয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে এবং দল ভাঙাগড়া ও নেতাদের দলবদলের পালা চলছে।
সাবাহ মালয়েশিয়ার একটি স্টেট। এটার বৈধ মালিক কে তা নির্ধারণের জন্য উভয় দেশ বিরোধীয় বিষয় জাতিসঙ্ঘে নিয়ে যায়। ফলে বিরোধ এখন আরো উত্তপ্ত আকার নিয়েছে। গত বছর মালয়েশিয়া বিরোধীয় বিষয় জাতিসঙ্ঘে পেশ করে। ফিলিপাইন সেক্রেটারি জেনারেলের কাছে নোট ভারবালের মাধ্যমে গত মার্চে এই আবেদনের বিরোধিতা করে। নোটে আরো বলা হয়, মালয়েশিয়া কখনো সাবাহর ওপর ফিলিপাইনের কর্তৃত্ব স্বীকার করেনি।’ ‘আন্তর্জাতিক আইনে ফিলিপাইনের দাবির কোনো ভিত্তি নেই।’ উভয় দেশ কালাইয়ান দ্বীপেরও দাবি পেশ করে। এ দ্বীপটি স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জের একটি অংশ, এই দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, ভিয়েতনাম, চীন ও তাইওয়ান আরেক বিরোধে জড়িত। বিষয়টি দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুর সাথে জড়িয়ে পড়ে।
সাবাহর পার্শ্ববর্তী মিন্দানাওতে নির্বাচন নিয়ে ফিলিপাইন প্রশাসন দুশ্চিন্তায়। খোদ ফিলিপাইনেও ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এসব বিষয় ভূ-রাজনীতির ওপর এখন আসর করছে। সব পক্ষ বিরোধীয় বিষয়ের ফসল নিজ দলের পক্ষে আনতে চায়। মালয়েশিয়ারও একই অবস্থা। উল্লেখ্য, ফিলিপাইনের দক্ষিণের এলাকায়, মিন্দানাও ও সাবাহর সংখ্যাগরিষ্ঠ অধিবাসী মুসলমান।
২০১৯ সালের জুনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির বিন মোহাম্মদ ফিলিপাইন সফরে যান। তখনো সাবাহ স্টেট নিয়ে সংবাদপত্রে কথা ওঠে। ২০১৬ সালে দুতার্তে নির্বাচিত হলে তিনি তেলসমৃদ্ধ সাবাহ নিয়ে সরকারের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই বছর নভেম্বরে নাজিব রাজাক ও দুতার্তে দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার করার জন্য এ বিষয়টি নিয়ে আগুনে ঘি না ঢালার সিদ্ধান্ত নেন। এ দু’টি দেশের সম্পর্ক, সাবাহ সমস্যা, আরো কিছু জটিল সমস্যা যেমন- দক্ষিণ ফিলিপাইন ও পূর্ব মালয়েশিয়া যেখানে সারাওয়াক রয়েছে, সেসব বিষয় নিয়েও বিরোধ রয়েছে। ব্রুনাই সুলতান থেকে ব্রিটিশরা ঊনবিংশ শতাব্দীতে সাবাহ ও সারাওয়াক এলাকা লাভ করে। ওই সময় আরো প্রকাশ পায় যে, ব্রুনাই সুলতান সাবাহর উত্তর-পূর্ব অংশ সুলুর সুলতানকে হস্তান্তর করেছিলেন। তিনি ফিলিপাইনের দক্ষিণাংশের শাসক ছিলেন। ১৯৬৩ সালে মালয়েশিয়া সাবাহ স্টেটের ওপর নিজের দাবি পেশ করে, ফলে ফিলিপাইনের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন ম্যানিলা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে যেখানে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সাবাহ বিরোধ নিষ্পত্তি করার কথা বলা হয়েছে। ১৯৬০ সালের শেষের দিকে মালয়েশিয়া দক্ষিণ ফিলিপাইনে বিদ্রোহীদের গোপনে মদদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই গোষ্ঠী হলো মরো ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট, নেতা নূর মিসৌরি। এদের প্রধান অফিস সাবাহতে। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে নূর মিসৌরি প্রচুর অপারেশন চালায়।
২০০১ সালে মাহাথির নূর মিসৌরিকে গ্রেফতার করে জানান, ফিলিপাইনের বিদ্রোহীদের কোনো সহায়তা নয়। এরপর দক্ষিণ ফিলিপাইনে শান্তি ও প্রগতির জন্য মালয়েশিয়া উদ্যোগ নেয়। তিনি মনে করতেন, এ উদ্যোগ সাবাহর ওপর ম্যানিলার দাবি পরিত্যাগ করতে ভূমিকা রাখবে। ২০১৯ সালে ম্যানিলা মরোদের জন্য দক্ষিণে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ বানানোর উদ্দেশ্যে মুসলমানদের মিন্দানাওতে বাংসামরো অর্গানিক ল অনুমোদন করে। ফেডারেল সরকার গঠন না করলে ফিলিপাইন সরকারের সাথে আবারো যুদ্ধে নামবে বলে নূর মিসৌরি ঘোষণা দেন। দুতার্তে বলেছেন, মিসৌরি ফিরে এলে তার সাথে বসে নতুন কোনো চুক্তির বিষয়ে কথা বলবেন। তবে এ পদক্ষেপের মূল প্রতিবন্ধক ফিলিপাইনের সিনেট। সিনেটকে দুতার্তে বিরোধীদের আখড়া বলা হয়, তবে ২০১৯ সালে মধ্য নির্বাচনের পর দুতার্তের ক্ষমতা আরো সংহত হয়, তিনি উভয়কক্ষের নিয়ন্ত্রণ লাভে সমর্থ হন। ফেডারেল সরকার গঠনে দলের ভেতর ও বাইরে নেতৃবর্গ, গোষ্ঠী নেতারা সমর্থন দেন। এসবের মধ্যে সুলু সুলতানের উত্তরাধিকারীরাও রয়েছেন, যারা সাবাহ দাবি করে আসছেন, তাদের সাথে আবার নূর মিসৌরিরও গভীর যোগাযোগ রয়েছে।
১৯১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র সুলু সালতানাতের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে। এরপর ২০১০ সালে সালতানাত সরকারিভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা দেয়। দক্ষিণ ফিলিপাইনের মারাবি অবরোধের আবু সাইফ গোষ্ঠীও সাবাহতে তৎপরতা চালায়। এর মধ্যে সুলুর সুলতান তৃতীয় জামালুল করিম ২৩৫ জন বিদ্রোহী নিয়ে ২০১৩ সালে লাহাদ দাতু আক্রমণ করেন এবং নিজকে সুলতান ঘোষণা দেন। দুই সপ্তাহের আক্রমণে ৭০ জন নিহত হন। সাবাহ ও সারাওয়াক মালয়েশিয়া থেকে পৃথক করার আলোচনা বেগবান হয়। ফেডারেল মর্যাদা প্রদানের বিষয়টি পরিবর্তন করার চেষ্টা করেও সংবিধান পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি। সাবাহর অধিবাসীরা ১৯৬৩ সালে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার বলে মালয়েশিয়া ফেডারেশনে যোগ দেয়। সেই থেকে সাবাহ মালয়েশিয়ার একটি অন্যতম স্টেট। সাবাহ সমস্যা স্থানীয় আরো একটি বড় সমস্যার সাথে জড়িত, সেটি দক্ষিণ চীন সাগর সমস্যা।
গত সপ্তাহে সাবাহর স্টেট নির্বাচন সম্পন্ন করেছে মালয়েশিয়া। নির্বাচন বানচাল করতে ফিলিপাইন কমান্ডো পাঠাতে পারে এমন শঙ্কা থেকে মালয়েশিয়ার সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী সেখানে অবস্থান নেয় ও নিরাপত্তা কার্যক্রম জোরদার করে।
যুদ্ধের পরিবর্তে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কিছু সুরাহা করা যায় কি না- এ বিষয়টি নিয়ে রাজনীতিবিদ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো তৎপর বলে মিডিয়ায় বিস্তর সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে। এর একটি হলো আসিয়ান, যেখানে দু’টি দেশই সদস্য। আঞ্চলিক বিরোধ ও নিরাপত্তা নিরসনে আসিয়ান একটি আঞ্চলিক সংগঠন হিসেবে ভালো ভূমিকা নিতে পারে। বেশির ভাগ আসিয়ান সদস্য দেশ মনে করে এটি দ্বিপক্ষীয় ইস্যু। দ্বিপক্ষীয় ইস্যু নিয়ে আলোচনা ও ব্যবস্থা নিতে আসিয়ান আগ্রহী নয়। সিঙ্গাপুরের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ইনস্টিটিউট বলেছে, বিরোধ নিরসনে আসিয়ানের কাছে বিশেষায়িত কোনো কৌশল নেই। আসিয়ানের কোনো ফয়সালা মনঃপূত না হলে কোনো পক্ষই শুনবে না।
জাতিসঙ্ঘ ও আন্তর্জাতিক আদালত বিবাদে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিতে পারে। ইন্টারন্যশনাল কোর্ট অব জাস্টিস এর আগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কণ্টকময় সমস্যা নিরসন করেছে, যেমন- থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে বিরাজিত ‘প্রেহ ভিহার টেম্পেল’ এবং সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার ‘পেদ্রা ব্রাঙ্কা দ্বীপ’ বিরোধ। সাবাহ সমস্যা চলতি বছরের আগস্টে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। বলা হচ্ছে, ফিলিপাইনের আমেরিকান দূতাবাস এক টুইট বার্তায় দ্বীপটি মালয়েশিয়ার বলাতে ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র সচিব থিওডরো লকসিন টুইট জবাবে সাবাহ ফিলিপাইনের অংশ বলে জানান। মালয়েশিয়া এই বছর সেপ্টেম্বরে প্রায় ৫০০০ ফিলিপিনোকে কোভিড-১৯ এর কারণে সাবাহ থেকে ফিলিপাইনে পাঠিয়ে দেয়। তবে ফিলিপাইন এ বিষয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করেনি। এ ছাড়াও ৪০০ ‘আনডকুমেন্টেড’ ফিলিপিনোকে সাবাহ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে গত সপ্তাহে।
উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০২২ সালে ফিলিপাইনে সাধারণ নির্বাচন। অনেক আগ থেকেই প্রেসিডেন্ট দুতার্তে প্রস্তুতি নিচ্ছেন মর্মে প্রতিভাত হচ্ছে। দক্ষিণ ফিলিপাইনের দ্বীপাঞ্চলে সাবধানে পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এরই মধ্যে বাংসামরো অর্গানিক ল পাস করে তিনি বেশির ভাগ মরোদের সমর্থন পেয়েছেন। তবে নূর মিসৌরি ও আবু সায়েফের দল এখনো সমর্থন দেয়নি। এরই মধ্যে দুতার্তে মালয়েশিয়ার সাবাহ কার্ড টেবিলে ছুড়েছেন।
ফিলিপাইনের অবস্থান সামরিক দিক দিয়ে সুবিধাজনক। যুক্তরাষ্ট্র বা চীন, দক্ষিণ চীন সাগরে কোনো যুদ্ধের ঝুঁকি নিলে ফিলিপাইনকে দূরে রেখে সুবিধা করতে পারবে বলে মনে হয় না। ফিলিপাইনের সেবু আইল্যান্ডও যুদ্ধ জাহাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান। চীন, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ায় ট্রেড রুটের জন্যও ফিলিপাইনকে বাদ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। চীন সাগরে স্পার্টলি আইল্যান্ড গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত এলাকা, যদি চীন সেখানে নামে যুক্তরাষ্ট্র তাৎক্ষণিক দ্বীপে অবতরণ করবে, এমনই প্রস্তুতি। তাই বলা হয়, ফিলিপাইন সামরিক দিক দিয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
একটি চুক্তির অধীনে আমেরিকার সেনাবাহিনীর ফিলিপাইনে পরিভ্রমণ করার কথা। দুতার্তে ২০১৬ সালে ‘বাই বাই আমেরিকা’ বলে চুক্তি বাতিল করেছিলেন। তখন রয়টার্স খবর পরিবেশন করে যে, ‘হারিয়ে গেছে আমেরিকা, এগিয়ে আসছে চীন’। ২০১৬ থেকে ২০১৯ চীনের সাথে ফিলিপাইনের কোনো বড় ধরনের গোলযোগ হয়নি। এ সময়ের মাঝে চীনারা দক্ষিণ চীন সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে সামরিক কৌশলগত অবস্থান মজবুত করেছে। ফিলিপাইনের স্কারবরো শোল মাছের মহারাজ্য। সামুদ্রিক শহরটি ফিলিপাইনের ধরা হলেও এখন চীন সেটি পাহারা দিচ্ছে। দুতার্তে দম্ভ করে বলেছিলেন, ‘চীন আক্রমণ করলে আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে আমন্ত্রণ জানাব।’ তার পরও ইদানীং ফিলিপাইন চীনের সাথে সমুদ্রের হিস্যা নিয়ে বিতণ্ডা করতে ইচ্ছুক নয়, আবার যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও সুসম্পর্ক রক্ষা করতে চায়। সাবাহ বিরোধে সমর্থন লাভের জন্য দুতার্তে কোনো পক্ষকে শত্রু বানাতে চাচ্ছেন না। এ দিক দিয়ে মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক কৌশলে উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু নেই। কিন্তু দু’টি পরাশক্তিকে পাশ কাটিয়ে সাবাহ লাভ করা দুতার্তের জন্য কোনো সহজ কাজ নয়।
ফিলিপাইন সাবাহ দাবি করায় মালয়েশিয়ার সাবেক পর্যটন মন্ত্রী ও পার্টি বারিসন সাবাহ নেতা দাতুক মোহাম্মাদিন কেতাপি বলেছেন, মালয়েশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী তো কীটপতঙ্গের সাথেই যুদ্ধ করতে পারে। ব্যাস, খোদ নিরাপত্তা বাহিনী বিষয়টি এখন তদন্ত করছে আর তাকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ঘোষণা দিয়েছেন।
আনোয়ার ইব্রাহিম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘সাবাহ মালয়েশিয়ার একটি অংশ। সাবাহনরাই ১৯৬৩ সালে সিদ্ধান্ত নিয়ে মালয়েশিয়ার সাথে যোগ দিয়েছিলেন। এখন মালয়েশিয়ানরা একজোট, যেকোনো মূল্যে মালয়েশিয়া দেশের প্রতিটি ইঞ্চি জমি রক্ষা করবে।’
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও গ্রন্থাকার