ভারত সীমান্তে মেঠো পথ নির্মাণ নেপাল সেনাবাহিনীর
ভারত সীমান্তে মেঠো পথ নির্মাণ নেপাল সেনাবাহিনীর - ছবি : সংগৃহীত
নেপাল সেনাবাহিনী ধরচুলা-চানগ্রু মেঠো পথের দৈর্ঘ্য আরো ৫৫০ মিটার বাড়িয়েছে। নেপালের দুটি প্রত্যন্ত গ্রাম- তিনকার (তিব্বত সীমান্তের কাছে) ও চানগ্রু (ভারত সীমান্তের কাছে) এখন একে অপরের সাথে ও ধরচুলা সদরদফতরের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। দুই বছর আগে গ্রাম দুটিকে সংযোগকারী রাস্তাটি বিধ্বস্ত হয়েছিল। ফলে গ্রামবাসীরা ধরচুলা ও সিতাপুলের (উত্তরাখন্ড) মাধ্যমে যোগাযোগ করত। নেপাল সেনাবাহিনী মাত্র চার মাসে রাস্তাটি নির্মাণ সম্পন্ন করেছে।
তিনকার ও চানগ্রু গ্রামের লোকজন নভেম্বর থেকে এপ্রিলে নিম্নতর উপত্যকায় নেমে আসে আর, মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় চলে যায়। চানগ্রুতে ৯০টি পরিবার বাস করে, তিনকারে করে ৬০টি। তারা এই পথের ওপর নির্ভরশীল।
এই পথটির দৈর্ঘ্য ৮৫ কিলোমিটার। দুই বছর আগে ভূমিধসের কারণে রাস্তাটি অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছিল। ফলে গ্রামবাসীদের যোগাযোগের জন্য ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করতে হতো। আবার করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ভারত ও নেপালেল মধ্যকার এন্ট্রি পয়েন্টগুলো ২৩ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে ওই গ্রামের বাসিন্দারা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
গত মে মাসে নেপাল নতুন মানচিত্র প্রকাশ করলে ভারত ও নেপালের মধ্যে সীমান্ত ইস্যুতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই মানচিত্রে ভারতের দাবি করা কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পিয়ানধুরাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সূত্র জানিয়েছে, গত মে মাসে নেপাল কর্তৃপক্ষ পিথোরাগর জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করে এসব গ্রামের অধিবাসীদের চলাচলের সুযোগ দিতে। তবে নেপালের জন্য এটি ছিল নাজুক পরিস্থিতি।
চার মাস আগে এই বৈরী এলাকায় রাস্তা নির্মাণের দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে অর্পণ করে নেপাল সরকার। উল্লেখ্য, কালি নদীর ওপর কিছু নির্মাণ করা খুবই কঠিন কাজ। সেনাবাহিনী চার মাসের মধ্যে ৫৫০ মিটার লম্বা ও ২ মিটার চওড়া রাস্তাটি নির্মাণ করে ফেলে। এ জন্য ব্যয় হয়েছে ১.০৮ কোটি রুপি। কাজটি করার জন্য নিয়োজিত ছিল ৬০ জন সেনা সদস্য ও ৪৫ জন শ্রমিক। কাজের সময় এক সৈনিক প্রাণ হারান।
নেপাল সেনাবাহিনী চানগ্রু ও তিনকারে সীমান্ত চৌকি চালু করেছে। তবে রাস্তা ও মেঠো পথের অভাবে সেনাবাহিনীর সদস্যদেরকে আকাশপথে রেশন ও সরঞ্জাম পরিবহন করতে হচ্ছিল। ভারতের সাথে উত্তেজনার পর নেপাল তার রোড নেটওয়ার্ক ও সেইসাথে বিমান কানেকটিভিটি জোরদার করার চেষ্টা করছে।
সূত্র : টিএনএন
রাশিয়া থেকে ফাইটার জেট আনছে ভারত
দ্য প্রিন্ট
চলতি বছরের শেষেই রাশিয়া থেকে ১১০টিরও বেশি ফাইটার জেট আনছে ভারত। দেশটির বিমানবাহিনীর ফাইটার জেটের সংখ্যা ক্রমেই কমতে থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বছরের শেষের দিকে রাশিয়া থেকে ১১৬টি অত্যাধুনিক ফাইটার জেট আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
২১টি মিগ ২৯ আনা হবে। সূত্রের খবর, ১৯৮০ সালে এই মিগ বিমানগুলোর কাঠামো তৈরি হয়েছিল; কিন্তু কখনো ব্যবহার করা হয়নি। কাঠামো পুরনো হলেও এর যন্ত্রপাতি অত্যাধুনিক হবে বলে জানানো হয়েছে। মিগ ছাড়াও ১২টি এসইউ-৩০ এমকেআই আনা হবে। আরো আনা হতে পারে ৮৩টি তেজস মার্ক ১এ।
এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান আর কে এস বাদোরিয়া। তিনি বলেন, যেখানে বিমানবাহিনীর ৪০ স্কোয়াড্রন ফাইটার থাকার কথা, সেখানে ৩০ স্কোয়াড্রন ফাইটার রয়েছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই বাতিল হয়ে যাওয়া মিগ চালান।
এ দিকে পূর্ব লাদাখে আরো ৬০ হাজার সেনা জওয়ান মোতায়েন করেছে ভারত। সেই সাথে মোতায়েন করা হয়েছে ভীষ্ম ট্যাংক, অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার, সুখোই ফাইটার জেট, চিনুক ও রুদ্র হেলিকপ্টার।