পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব কী?

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Oct 06, 2020 04:00 pm
পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের মূল কারণ কী?

পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের মূল কারণ কী? - ছবি সংগৃহীত

 

পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব কী? সহজ কথায় বলা যায়, পুরুষদের বন্ধ্যাত্বে মূল কারণ : বীর্যে শুক্রাণুর পরিমাণ কম হওয়া।

ব্রিটিশ স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান এনএইচএসের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, যে দম্পতিদের সন্তান হয় না, তাদের এক-তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এর কারণ হচ্ছে - স্বামীর শুক্রাণুর মান নিম্ন ও সংখ্যা কম হওয়া।

চিকিৎসকদের মতে, প্রতি মিলিলিটারে শুক্রাণুর সংখ্যা ১৫ মিলিয়ন বা দেড় কোটির কম হলেই প্রাকৃতিকভাবে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে।

সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক গাইডলাইন অনুযায়ী প্রতি মিলিলিটারে ১৫ মিলিয়নের বেশি শুক্রাণু থাকলেই তাকে স্বাভাবিক বলা হয়।

যে দম্পতিরা সন্তান চাইছেন তাদের এক বছর চেষ্টার পরও গর্ভসঞ্চার না হলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে বলা হয়।

কী কী কারণে শুক্রাণুর পরিমাণ কমে যেতে পারে?
বিজ্ঞানীরা এর একাধিক কারণ চিহ্নিত করেছেন । তবে, এটাও মনে রাখতে হবে যে অনেক রোগীর ক্ষেত্রে শুক্রাণুর সংখ্যা কম হবার কারণ স্পষ্ট বোঝা যায় না।

ক্রিস হিউজ পুরুষের বন্ধ্যাত্বের ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে একটি প্রামাণ্য চিত্র তৈরি করেছেন।

এতে তিনি একটি পানশালায় বসে তারই বন্ধুদের প্রশ্ন করেছেন যে তাদের মতে কী কী শুক্রাণুর সংখ্যা ও স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

বন্ধুরা জবাবে উল্লেখ করেছেন বেশ কিছু কারণ - যেমন তাপমাত্রা, মাদক সেবন এবং অতিরিক্ত চাপা অন্তর্বাস পরার কথা।

এর কোনোটাই ভুল নয়।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, বায়ুদূষণ থেকে শুরু করে জীবনযাপন পদ্ধতি পর্যন্ত অনেক কিছুই শুক্রাণুর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

বিজ্ঞানীরা সাধারণভাবে যে কারণগুলোর কথা উল্লেখ করেন এর মধ্যে প্রধান ক'টি এখানে উল্লেখ করা হলো।

. পুরুষের দেহে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, বা কম হরমোন উৎপাদন।

. ক্লাইনফেল্টার সিনড্রোম নামে এক ধরণের জেনেটিক সমস্যা।

. কোনো কোনো শিশুর জন্মের সময় অন্ডকোষ দেহের ভেতরেই রয়ে যায়। এটিও শুক্রাণুর সমস্যা ঘটাতে পারে।

. দেহের যে নালীগুলো অন্ডকোষ থেকে শুক্রাণু বহন করে নিয়ে যায় তা জন্ম থেকে অনুপস্থিত থাকা, বা কোন রোগ বা আঘাতজনিত কারণে নালীগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া।

. যৌনাঙ্গের কোনো সংক্রমণ যেমন ক্ল্যামাইডিয়া, গনোরিয়া, বা প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের প্রদাহ।

. অন্ডকোষের শিরা বড় হয়ে যাওয়া বা ভ্যারিকোসিলস।

. অন্ডকোষে কোনো অস্ত্রোপচার বা হার্নিয়ার অপারেশন।

. অতিরিক্ত মদ্যপান, ধূমপান, গাঁজা এবং কোকেনের মতো মাদক সেবন।

. অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া বা স্থূলতা।

. কিছু কিছু ওষুধ, যেমন টেস্টোস্টেরন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি, দীর্ঘকাল ধরে এ্যানাবোলিক স্টেরয়েড ব্যবহার, কেমোথেরাপির মতো ক্যান্সারের ওষুধ, কিছু কিছু এ্যান্টিবায়োটিক বা বিষণ্ণতা কাটানোর ওষুধও শুক্রাণুর মান ও সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us