তালেবানের সাথে নমনীয় হবে আফগান সরকারি দল
আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ - ছবি : সংগৃহীত
আফগানিস্তানের সিনিয়র নেতৃত্ব দোহার তাদের দলকে তালেবানের সাথে আলোচনায় নমনীয় হতে বলেছে। দেশের সঙ্ঘাত অবসানের সুযোগটি গ্রহণ করার জন্য এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশনের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ জানিয়েছেন।
তিনি পররাষ্ট্র নীতি গবেষণা গ্রুপ ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ইসলামাবাদে বক্তৃতাকালে বলেন, আমি ও প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি আমাদের দলকে আপস করার জন্য ধৈর্যশীল হতে বলেছি, সুযোগটি হাতছাড়া না করতে বলেছি, সময় অপচয় না করতে বলেছি।
শান্তিপ্রক্রিয়া ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার জন্য তিন দিনের পাকিস্তান সফরে গিয়ে আবদুল্লাহ তার দেশের ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদী বলেও জানান।
তিনি দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেন, নতুন শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের সম্ভাবনা দেখা যাওয়ার সময় আমি পাকিস্তান সফর করছি।
এই সফর দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘ দিনের বৈরিতার অবসান ঘটিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার সম্ভাবনাকে প্রতিফলিত করছে। কয়েক বছর ধরেই উভয পক্ষ একে অপরের মাটিতে সন্ত্রাসী হামলার জন্য দায়ী করে আসছিল।
আফগানিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ দিন ধরে বলে আসছিল যে তালেবান নেতৃত্ব পাকিস্তানেই বসবাস করে আসছে। তারা তালেবানকে আলোচনার টেবিলে আনার জন্য পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিল।
তালেবানের সাথে আলোচনায় এখন অগ্রগতি হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় ২৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান শান্তিচুক্তি সই করে। আর এখন দোহায় তালেবানের সাথে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিদলের আলোচনা চলছে। এই প্রেক্ষাপটে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্কেরও উন্নতি হচ্ছে।
আলোচনার ব্যবস্থা করার জন্য পাকিস্তানকে ধন্যবাদ দেন আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত শুক্রবার আফগান প্রেসিডেন্ট গানিকে ফোন করেছিলেন। তিনি বলেন, দোহার আলোচনা সফল হওয়ার জন্য সহিংসতা হ্রাস খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি বলেন, তার দেশ এখন আফগানিস্তানের সাথে প্রভু নয়, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায়।
তিনি বলেন, আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি পাকিস্তানের সমর্থন রয়েছে।
কোরেশি ও আবদুল্লাহ উভয়েই আঞ্চলিক বাণিজ্য ও উন্নয়নের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগানোর ওপর জোর দেন। উভয়ে বলেন, পাকিস্তানের সাথে শান্তি ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আফগানিস্তানের জন্য কল্যাণকর হবে।
আবদুল্লাহ বলেন, আফগানিস্তান হবে শান্তির দেশ। তিনি বলেন, তার দেশ বদলে গেছে। এটি আর ১৯৯০-এর দশকে তালেবান শাসনের মতো দেশে পরিণত হবে না।
তিনি বলেন, আজকের আফগানিস্তান একটি তরুণ, বৈচিত্র্যময়, কানেক্টেড দেশ। তারা ঐক্য ও বৈচিত্র্য নিয়ে নিজেদের ভবিষ্যতের সরকার গঠন করতে চায়।
সূত্র : ভোয়া