কতটা কার্যকর ভারতের লেসার-নিয়ন্ত্রিত ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র!
কতটা কার্যকর ভারতের লেসার-নিয়ন্ত্রিত ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র! - ছবি : সংগৃহীত
ভারতের ডিফেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গ্যানাইজেশন (ডিআরডিও) লেসার-নিয়ন্ত্রিত ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র (এটিজিএম) পরীক্ষা করেছে।
পরীক্ষাটি হয় আহমদনগরের কেকে রেঞ্চ, আর্মার্ড কোরস সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে। এখানে এমবিটি অর্জুন ট্যাঙ্ক থেকে এটিজিএম নিক্ষেপ করা হয়।
এক বিবৃতিতে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি তিন কিলোমিটার দূরে স্থাপিত টার্গেটে আঘাত হানে।
ভারতের আর্মামেন্ট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্টাবলিশমেন্ট (এআরডিই) এটি তৈরী করেছে হাই এনার্জি ম্যাটারিয়ালস রিসার্চ ল্যাবরেটরি (এইচইএমআরএল), পুনে ও ইনস্ট্রমেন্টস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্টাবলিশমেন্ট (আইআরডিই) দেরাদুনের সহায়তায়।
এসব ক্ষেপণাস্ত্র অনেক নির্ভুলভাবে টার্গেটে আঘাত হানতে পারে।
এসব ক্ষেপণাস্ত্র নানা ধরনের প্লাটফর্ম ব্যবহার করে নিক্ষেপ করা যায়। বর্তমানে এমবিটি অর্জুন ট্যাঙ্কের মাধ্যমে এর কারিগরি মূল্যায়ন চলছে।
ডিআরডিও সম্প্রতি স্থানীয়ভাবে অভয় নামের আরেক ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের ফ্লাইট পরীক্ষা করেছে।
এই পরীক্ষাটি সম্পন্ন হয় উড়িশা রাজ্যের বালাসোরের ইনটেরিম টেস্ট রেঞ্চে।
চীনের সাথে সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ভারত সম্প্রতি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও অস্ত্র ক্রয়ের দিকে বেশ নজর দিয়েছে।
ভারত সরকার সম্প্রতি সেনাবাহিনীর জন্য পিনাক ক্ষেপণাস্ত্র কেনার জন্য ২৫.৮ বিলিয়ন রুপির (৩৫৩.৬৩ মিলিয়ন ডলার) চুক্তি করেছে।
আর্মি টেকনলজি
তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের সামরিক মহড়া
বিবিসি
তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার সফরের মধ্যেই স্বায়ত্তশাসিত এ দ্বীপটির কাছে সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। বেইজিং-ওয়াশিংটন ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই শুক্রবার থেকে তাইওয়ান প্রণালীর কাছে এ ‘লাইভ ফায়ার এক্সারসাইজ’ শুরু হয়েছে বলে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
চীন তাইওয়ানকে নিজেদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ বলেই বিবেচনা করে আসছে। তাইপে স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা করলে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগেরও হুমকি দিয়ে রেখেছে তারা। অন্য দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক কোনো সম্পর্ক না থাকলেও তাইপের সুরক্ষায় সহায়তা দিতে তাদের আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে ওয়াশিংটন তাইওয়ানের সাথে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করার দিকে মনোযোগ বাড়িয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের আনাগোনাও বাড়ছে।
শুক্রবার স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটির প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি কেইথ ক্রাচের বৈঠক হওয়ার কথা। তিন দিনের সফরে ক্রাচ বৃহস্পতিবার তাইপেতে নেমেছেন। তিনিই গত কয়েক দশকের মধ্যে তাইওয়ান সফরে যাওয়া মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
মার্কিন এই দূতের তাইওয়ান সফর নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও শুক্রবার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রেন গুকায়াং যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের বিরুদ্ধে ‘অশুভ আঁতাত এবং ঘন ঘন ঝামেলা সৃষ্টির’ অভিযোগ এনেছেন।
‘তাইওয়ানকে ব্যবহার করে চীনকে নিয়ন্ত্রণ’ আর ‘বিদেশীদের ওপর ভর করে নিজেদের গড়ে তোলা’Ñ এ ধরনের ভাবনাকে ‘দিবাস্বপ্ন’ বলেও অ্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। রেন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘যারা আগুন নিয়ে খেলবে, তারা জ্বলে যাবে’ ‘মূল ভূখণ্ডের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষায় চীন যে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে তা বৈধ ও প্রয়োজনীয়’- বলেছেন এ মুখপাত্র।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে রেন গুওকিয়াং চীনকে নিয়ন্ত্রণে তাইওয়ানকে ব্যবহার অথবা নিজেদের গড়ে তোলার জন্য বিদেশীদের ওপর নির্ভরতাকে অবাস্তব ভাবনা বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, যারা আগুন নিয়ে খেলবেন, তারা জ্বলে যাবেন। সামরিক মহড়ার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি রেন। তাইওয়ান প্রণালীতে এ মহড়ায় চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড অংশ নিয়েছে।
মহড়ার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য না দিলেও রেন বলেছেন, চীনা মূল ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় এই মহড়া প্রয়োজনীয় এবং বৈধ। এর আগে গত সপ্তাহে তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় বৃহৎ পরিসরে দুই দিনের মহড়া পরিচালনা করে চীনা সামরিক বাহিনী। ওয়াশিংটন বলছে, তাইওয়ানের সাবেক প্রয়াত প্রেসিডেন্ট লি টেং-হুইয়ের মৃত্যু বার্ষিকীর এক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সেখানে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি কেইথ ক্রাচ।