ম্যাচ হেরে যা বললেন হতাশ কোহলি
কোহলি - ছবি : সংগৃহীত
আইপিএলে আরসিবি নিজের অবস্থানে ফিরে এসেছে। কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে কোহলির দলের কদর্য হারকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এভাবেই ব্যাখ্যা করছেন নেটাগরিকরা।
প্রথম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে ত্রয়োদশ আইপিএলে অভিযান শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ৯৭ রানে বিরাট ব্যবধানে হারতে হয়েছে কোহলির দলকে।
বৃহস্পতিবারের ম্যাচে পাঞ্জাব অধিনায়ক কেএল রাহুলের অপরাজিত ১৩২ রানের সৌজন্যে পাঞ্জাবের ছুঁড়ে দেওয়া ২০৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে মাত্র ১০৯ রানে শেষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ইনিংস।
ম্যাচে পঞ্জাব অধিনায়ক রাহুল যেখানে তার বিধ্বংসী ইনিংসে একাই গুঁড়িয়ে দিলেন বিপক্ষকে, সেখানে আরসিবি শিবিরে ‘খলনায়ক’ কোহলি। রাহুলের জোড়া ক্যাচ মিসের পর ব্যাট হাতে অবদান মাত্র ১।
উল্লেখ্য, ব্যাট হাতে ইনিংসের ১৭ এবং ১৮তম ওভারে ৮৩ এবং ৮৯ রানে এদিন দু’বার কোহলির হাতে জীবন ফিরে পান কেএল রাহুল। স্লগ ওভারে যা বড়সড় বিপদ ডেকে আনে আরসিবির জন্য।
আইপিএলের দ্বিতীয় শতরানই কেবল পূরণ করা নয়, শেষ ৪ ওভারে করুণ নায়ারের সঙ্গে জুটি বেঁধে স্কোরবোর্ডে ৭৪ রান যোগ করে আরসিবি’কে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে দেন পাঞ্জাব অধিনায়ক।
এরপর রান তাড়া করতে নেমে তাসের ঘরের মতো গুটিয়ে যায় আরসিবি ইনিংস। সবমিলিয়ে ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণীতে কোহলি বলেন, ‘আমার বোলাররা বল হাতে মাঝের ওভারগুলোতে যথেষ্ট সপ্রতিভ ছিল। সামনে দাঁড়িয়ে এই হারের দায় আমাকেই নিতে হবে।’
একইসঙ্গে আরসিবি অধিনায়ক জানান তার ক্যাচ নষ্টের জন্য দলের অতিরিক্ত ৩০-৪০ রান খরচ হয়েছে।
কোহলির কথায়, ‘আমরা যদি ওদের ১৮০ রানের মধ্যে বেঁধে রাখতে পারতাম তাহলে ব্যাটিংয়ে শুরু থেকে এতোটা চাপ আসত না। এমন একেকটা দিন আসে যেদিন কোনও কিছু পরিকল্পনামাফিক হয় না। এগুলো মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। আমাদের এই ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
যেমনটা আমি বললাম ওই দুটি সুযোগের ক্ষেত্রে আমার সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেয়া উচিৎ ছিল, এমনকি পরে ব্যাট হাতেও। আমাদের উচিৎ ছিল চাপকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া। কিন্তু আমরা পারিনি।’
এদিন রাহুলের ৬৯ বলে ১৩২ রানের অপরাজিত ইনিংস সাজানো ছিল ১৪টি চার এবং ৭টি ছয়ে। ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আইপিএলে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস গড়ার পাশাপাশি রাহুলের এদিনের ইনিংস আইপিএলে অধিনায়ক হিসেবেও সর্বোচ্চ। তাছাড়া সচিন তেন্ডুলকরের আট বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে দ্রুততম ভারতীয় হিসেবে এদিন কোটিপতি লিগে ২০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন কর্ণাটকের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব : ২০ ওভারে ২০৬/৩ (রাহুল ১৩২*, আগারওয়াল ২৬, পুরান ১৭, ম্যাক্সওয়েল ৫, নায়ার ১৫*; উমেশ ৩-০-৩৫-০, স্টেইন ৪-০-৫৭-০, সাইনি ৪-০-৩৭-০, চেহেল ৪-০-২৫-১, সুন্দর ২-০-১৩-০, দুবে ৩-০-৩৩-২)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর : ১৭ ওভারে ১০৯ (প্যাডিকেল ১, ফিঞ্চ ২০, ফিলিপি ০, কোহলি ১, ডি ভিলিয়ার্স ২৮, সুন্দর ৩০, দুবে ১২, উমেশ ০, সাইনি ৬, স্টেইন ১*, চেহেল ১; কটরেল ৩-০-১৭-২, শামি ৩-০-১৪-১, বিষ্ণুই ৪-০-৩২-৩, অশ্বিন ৩-০-২১-৩, নিশাম ২-০-১৩-০, ম্যাক্সওয়েল ২-০-১০-১)
ফল : পাঞ্জাব ৯৭ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ : লোকেশ রাহুল