পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে এবার ভয়াবহ ভিটি-৪ ট্যাঙ্ক
ভিটি-৪ ট্যাঙ্ক - ছবি : সংগৃহীত
গত এপ্রিলে চীনা রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় দুটি ‘কাস্টমাইজড’ ভিটি-৪ মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্ক ‘অজ্ঞাত বিদেশী ক্রেতার’ কাছে পরিবহনের কথা প্রকাশ করেছিল।
প্রতিরক্ষা পর্যবেক্ষকরা এতে ধারণা করেছিলেন যে ওই ক্রেতা হলো পাকিস্তান। পাকিস্তানি ডিফেন্স বিশ্লেষণ ওয়েবসাইট কোযা জানিয়েছে যে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ৮৫৯ মিলিয়ন ডলারে অন্তত ১৭৬টি ভিটি-৪ ট্যাঙ্কের ক্রয়াদেশ দিয়েছে। ভিটি-৪ পরিচিত এমবিটি-৩০০ নামে।
মঙ্গলবার পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক মহড়ায় ভিটি-৪ প্রদর্শন করে। পাকিস্তান সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া মঙ্গলবার ঝিলামের কাছে মহড়ায় ভিটি-৪ প্রত্যক্ষ করেন।
ভিটি-৪ ইতোমধ্যেই থাইল্যান্ড ও নাইজেরিয়ায় বিক্রি করা হয়েছে। গ্লোবাল টাইমস জানায়, এই ট্যাঙ্কের ফ্রন্ট ডিজাইন ফিচার হলো একটি নতুন এক্সপ্লোসিভ রিঅ্যাকটিভ আর্মার। এই ট্যাঙ্ক শত্রুর গোলাবর্ষণের মুখেও টিকে থাকতে সক্ষম। এটি রুশ সেনাবাহিনী উৎসের টি-৯০ ট্যাঙ্কের সমমানের। ভারতীয় সেনাবাহিনীর টি-৯০ ট্যাঙ্কের মতো ভিটি-৪-এর আছে ১২৫ এমএম কামান। এটিও প্রচলিত ট্যাঙ্কের মতো গুলিবর্ষণের পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করতে পারে। মঙ্গলবার ভিটি-৪ ট্যাঙ্কের মহড়ায় দেখা যায়, এটির টারেটে রিমোট উইপন সিস্টেমে সজ্জিত। এর মানে হলো, এটি দূর নিয়ন্ত্রিত এবং পদাতিক বাহিনী ও অন্যান্য হালকা টার্গেটের বিরুদ্ধে সফল।
মার্কিন কংগ্রেস গবেষণা সার্ভিসের ২০১৭ সালের জানুয়ারির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এমবিটি-৩০০০ তৈরী করা হয়েছে রফতানির জন্য এবং এটির বেশ উন্নতি সাধন করেছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আইএসপিআর জানিয়েছে, ভিটি-৪ বিশ্বের যেকোনো আধুনিক ট্যাঙ্কের সাথে পাল্লা দিতে সক্ষম। এতে আধুনিক আর্মার প্রটেকশন, ম্যানুভারবিলিটি, ফায়ার পাওয়ার ক্যাপাবিলিটি, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে।
আইএসপিআর ভিটি-৪কে পাকিস্তানের নিজস্বভাবে তৈরী আল-খালিদ-১-এর সাথে পাকিস্তান আর্মড কোরের আরেকটি সংযোজন হিসেবে অভিহিত করে।
দি উইক/এসএএম
সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে টেনে আনা উচিত নয় : পাক সেনাপ্রধান
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
সাফ কথা জানিয়ে দিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়া। পার্লামেন্টের নেতাদের তিনি বলে দিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর রেষারেষিতে সেনাবাহিনীকে টেনে নেয়া উচিত নয়। দেশের কোনোরকম রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত নয় সেনাবাহিনী। তবে প্রয়োজন হলে বেসামরিক সরকারের পাশে দাঁড়াবে তারা। গত সপ্তাহে পার্লামেন্টের নেতাদের সঙ্গে তার এক বৈঠকে এমন আলোচনা হয়েছে।
অন্য বিভিন্ন ইস্যুর সঙ্গে গিলগিট-বাল্টিস্তানের প্রশাসনিক বিষয় ও ন্যাশনাল একাউন্টেবলিটি ব্যুরোর (এনএবি) ভূমিকা নিয়ে সেনাপ্রধান কমর জাভেদ বাজওয়া এবং ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফায়েজ হামিদের সঙ্গে সাক্ষাতে মিলিত হন পার্লামেন্টারি নেতারা। সূত্রের মতে, এতে উপস্থিত ছিলেন পিএমএলএনের শাহবাজ শরীফ, খাজা আসিফ ও আহসান ইকবাল।
অন্য দিকে পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, শেরি রেহমান প্রমুখ। সূত্র বলেছেন, গিলগিট-বাল্টিস্তানকে নতুন প্রদেশ ঘোষণার জন্য বৈঠকে একমত হয়েছেন সবাই। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমদ সোমবার একটি বেসরকারি নিউজ চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এই বৈঠকের কথা নিশ্চিত করেছেন।