বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক মহড়া পাকিস্তান-ইরান-চীন-রাশিয়ার
বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক মহড়া পাকিস্তান-ইরান-চীন-রাশিয়ার - ছবি : সংগৃহীত
প্রায় ৮০ হাজার সেনার অংশগ্রহণে সোমবার রাশিয়ায় বড় আকারের একটি একটি সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে। কাভকাজ-২০২০ (ককেসাস-২০২০) মহড়াটি হলো চলতি বছর বার্ষিক কমব্যাট প্রশিক্ষণের চূড়ান্ত পর্যায়।
এই মহড়ার প্রধান কার্যক্রমগুলো উত্তর ককেসাসে অনুষ্ঠিত হবে বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। কৃষ্ণ সাগর ও কাস্পিয়ান হ্রদেও কিছু অনুশীলন হবে। এটা হলো রাশিয়ার সাউদার্ন মিলিটারি ডিস্ট্রিক্ট-এর অংশ।
পাকিস্তান, চীন, মিয়ানমার, আর্মেনিয়া ও বেলারুশের ১,০০০ সেনা রুশ সেনাদের সঙ্গে যৌথ প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছে। আর নৌমহড়ায় অংশ নেবে ইরানি যুদ্ধজাহাজ। আজারবাইজান, কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ইরান ও শ্রীলঙ্কা থেকে সামরিক প্রতিনিধিরা পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকছেন।
এই মহড়ায় অংশ নেবে ২৫০টি ট্যাঙ্ক, ৪৫০টি পদাতিক যুদ্ধ যান ও সাঁজোয়া যান, ২০০ আর্টিলারি সিস্টেম ও মাল্টিপল রকেট লঞ্চ সিস্টেম।
এর আগে ভারত রাশিয়ার এই বহুজাতিক যুদ্ধমহড়ায় থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়। এর কারণ হিসেবে করোনা মহামারীর কথা উল্লেখ করে নয়া দিল্লী। তবে স্থানীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয় যে ভারতের প্রত্যাহারের পেছনে আসল কারণ হলো এতে চীন ও পাকিস্তানের অংশ গ্রহণ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলেন, বহু দশক ধরে রাশিয়া ও ভারত পরস্পরের নির্ভরযোগ্য মিত্র। অন্যদিকে ভারতের তিন শত্রু: পাকিস্তান, চীন ও তুরস্ক এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।
ভারত নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে রাশিয়াকে এসব আঞ্চলিক শত্রুদের ব্যাপারে একটি বার্তা দিলো ঠিকই কিন্তু একই সঙ্গে নয়া দিল্লী এসব দেশের কাছে তার কৌশলগত স্থানটিও ছেড়ে দিলো। বিশেষ করে রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে দূরত্ব তৈরির জন্য পাকিস্তান মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে। নয়া দিল্লীর কৌশলগত চিন্তাবিদদের বিষয়টি ভাবা উচিত।
সূত্র : ইউরেশিয়ান টাইমস/এসএএম
তেহরান-মস্কো সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না মার্কিন নিষেধাজ্ঞা : রাশিয়া
রয়টার্স
ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা তেহরানের সাথে মস্কোর পারস্পরিক সহযোগিতায় কোনো ধরনের রাজনৈতিক কিংবা বাস্তবিক প্রভাব ফেলতে পারবে না। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ এ কথা বলেছেন। তেহরানের বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের সব নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্র পুনর্বহালের ঘোষণা দেয়ার পর নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম শক্তিধর ইউরোপীয় মিত্রদের পাশাপাশি রাশিয়া এবং চীন ভেটো দেয়।
নিষেধাজ্ঞা আরোপের এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় সোমবার ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচির সাথে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বলেছেন, নিউ স্টার্ট চুক্তির ব্যাপারে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে এখন পর্যন্ত নতুন কোনো সময়সীমা বেঁধে দেয়নি রাশিয়া। তবে এই চুক্তির সময়ও দ্রুত ফুরিয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
২০১৫ সালে ইরানের সাথে ছয় বিশ্বশক্তির পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ২০১৮ সালে এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে গিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয়। চুক্তির তিন ইউরোপীয় অংশীদার ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং জার্মানি রোববার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরোধিতা করে।