বাংলাদেশ-মিয়ানমার : কার সামরিক শক্তি কতটুকু

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Sep 22, 2020 04:24 pm
বাংলাদেশ-মিয়ানমার : কার সামরিক শক্তি কতটুকু

বাংলাদেশ-মিয়ানমার : কার সামরিক শক্তি কতটুকু - ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ সীমান্তে সামরিক শক্তি জড়ো করেছে মিয়ানমার। রাখাইনে অস্বাভাবিক হারে সৈন্য সমাবেশ এবং বাংলাদেশ সীমান্তে সন্দেহজনক গতিবিধির সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি মিয়ানমার। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে এর কারণ জানতে চায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় জানতে চেয়েছিল, রাখাইনে বিপুল পরিমাণ সেনা মোতায়েনের কারণ কী? নাফ নদীতে বেসামরিক নৌযানে সেনা চলাচল করছে কেন? এবং রাখাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিচালিত অভিযানে গোলোন্দাজ বাহিনী (আর্টিলারি), হেলিকপ্টার বা যুদ্ধ বিমান কেন ব্যবহার করতে হচ্ছে? এসব প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে মিয়ানমার জানিয়েছে, রাখাইনে পুরনো সৈন্যদের সরিয়ে নতুন সৈন্য মোতায়েন করা হচ্ছে। এ কারণে সাময়িকভাবে সৈন্য সমাবেশ বেড়ে গেছে। তবে সৈন্যদের এই মুভমেন্টের জন্য বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। তবে বেসামরিক নৌযানে সৈন্যদের চলাচল বা রাখাইনে পরিচালিত অভিযানে আর্টিলারি, হেলিকপ্টার বা যুদ্ধবিমানের ব্যবহার নিয়ে বাংলাদেশের প্রশ্নের সন্তোষজনক কোনো জবাব মিয়ানমার দেয়নি।

বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে কখনো সরাসরি যুদ্ধ না হয়নি। তবে পুশ ব্যাক-পুশ ইন, জেলে আটক, রোহিঙ্গা নির্যাতন ইত্যাদি ইস্যুতে সীমান্তে বিরোধ রয়েছে দুই দেশের৷ গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্য অনুযায়ী দেখুন দেশ দুটির সামরিক শক্তির তথ্য৷

ব়্যাংকিং
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্য অনুযায়ী সামরিক শক্তির এই ব়্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে মিয়ানমার৷ ১৩৮ দেশের তালিকায় ৩৫ নাম্বারে মিয়ানমার, আর বাংলাদেশ রয়েছে ৪৬ নাম্বারে৷ এই তালিকায় প্রথম পাঁচটি অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ভারত ও জাপান৷

সক্রিয় সেনাসদস্য
মিয়ানমারের চেয়ে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় তিন গুণ হলেও সেনাসদস্যের সংখ্যায় মিয়ানমার অনেক এগিয়ে৷ মিয়ানমারের সক্রিয় সেনাসদস্যের সংখ্যা মোট চার লাখ ছয় হাজার, বাংলাদেশের রয়েছে মোট এক লাখ ৬০ হাজার সক্রিয় সেনাসদস্য৷ দুই দেশের কোনোটিরই রিজার্ভ সেনাসদস্য নেই৷

প্রতিরক্ষা বাজেট
প্রতিরক্ষা বাজেটের দিক থেকে অবশ্য মিয়ানমারের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ৷ মিয়ানমারের বার্ষিক প্রতিরক্ষা বাজেট ২৬৫ কোটি মার্কিন ডলার, বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাজেট ৩৮০ কোটি ডলারের৷

এয়ারক্রাফট
এখানেও এগিয়ে মিয়ানমার৷ বাংলাদেশের ১৭৭টির বিপরীতে মিয়ানমারের রয়েছে ২৭৬টি এয়ারক্রাফট

নৌবহর
মিয়ানমার নৌশক্তিতেও বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে৷ মিয়ানমারের রয়েছে ১৮৭টি জাহাজ, বাংলাদেশের রয়েছে ১১২টি৷

যুদ্ধবিমান
বাংলাদেশের কমব্যাট এয়ারক্রাফট বা যুদ্ধবিমান রয়েছে ৪৪টি, মিয়ানমারের রয়েছে ৫৯টি৷

হেলিকপ্টার
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬৭টি হেলিকপ্টারের বিপরীতে মিয়ানমারের রয়েছে ৮৬টি হেলিকপ্টার৷

ট্যাঙ্ক
বাংলাদেশের কমব্যাট ট্যাঙ্ক রয়েছে ২৭৬টি, মিয়ানমারের রয়েছে ৪৩৪টি৷

সাঁজোয়া যান
বাংলাদেশের সাঁজোয়া যানের সংখ্যা ১২৩০টি, মিয়ানমারের ১৩০০টি৷

স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি
স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারিতে অনেক এগিয়ে মিয়ানমার৷ দেশটির স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারির সংখ্যা ১০৮টি, বাংলাদেশের মাত্র ১৮টি৷

ফিল্ড আর্টিলারি
ফিল্ড আর্টিলারিতেও মিয়ানমার কয়েকগুণ এগিয়ে আছে৷ মিয়ানমারের ১৬১২টি ফিল্ড আর্টিলারির বিপরীতে বাংলাদেশের রয়েছে কেবল ৪১৯টি ফিল্ড আর্টিলারি৷

রকেট প্রজেক্টর
বাংলাদেশের ৭২টি রকেট প্রজেক্টরের বিপরীতে মিয়ানমারের রয়েছে ৮৪টি রকেট প্রজেক্টর৷

সাবমেরিন
সাবমেরিনের ক্ষেত্রে মিয়ানমারের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে বাংলাদেশ৷ মিয়ানমারের একটি সাবমেরিনের বদলে বাংলাদেশের রয়েছে দুটি৷

বিমানবাহী জাহাজ
বাংলাদেশ বা মিয়ানমার কোনো দেশেরই বিমানবাহী জাহাজ নেই৷

ডেস্ট্রয়ার
দেশ দুটির কোনোটিরই ডেস্ট্রয়ার নেই৷

ফ্রিগেট
এক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়ে বাংলাদেশ৷ দেশটির রয়েছে আটটি ফ্রিগেট, অন্যদিকে মিয়ানমারের রয়েছে পাঁচটি৷

করভেট
বাংলাদেশের করভেটের সংখ্যা মিয়ানমারের দ্বিগুণ৷ মিয়ানমারের তিনটির বদলে বাংলাদেশের আছে ছয়টি৷

উপকূলে পেট্রোল
উপকূলে টহল দেয়ার জন্য মিয়ানমারের রয়েছে ১১৭টি নৌযান৷ বাংলাদেশের রয়েছে ৩০টি৷

বিমানবন্দর
মিয়ানমারে ৬৪টি বিমানবন্দর রয়েছে৷ বাংলাদেশে রয়েছে ১৮টি৷

নৌবন্দর ও টার্মিনাল
এক্ষেত্রে দুদেশেরই সমান সমান৷ দুই দেশেরই তিনটি নৌবন্দর ও টার্মিনাল রয়েছে৷

সূত্র : ডয়চে ভেলে


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us