লাদাখে কত সৈন্য মোতায়েন করবে ভারত?
লাদাখে কত সৈন্য মোতায়েন করবে ভারত? - ছবি সংগৃহীত
পূর্ব লাদাখের লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) এলাকায় চীনাদের অব্যাহত সেনা সমাগত বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে নিজেদের সৈন্যশক্তি বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। দ্য প্রিন্ট এ তথ্য জানতে পেরেছে।
এর অর্থ হলো সেনাবাহিনী প্রায় ১২,০০০ সেনা পূর্ব লাদাখে নিয়ে যাচ্ছে এবং প্রয়োজনে তাদেরকে মোতায়েন করা হবে। প্রতিরক্ষা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, “চীনাদের শক্তি সমাগম বাড়ছে, আর সে কারণ আমাদের দিক থেকেই সেনাশক্তি বাড়ানোর দরকার পড়েছে। পূর্ব লাদাখে আরেক ডিভিশন সেনা মোতায়েনের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে”।
প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, এটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ চীনারা তাদের শক্তিবৃদ্ধি চালিয়েই যাচ্ছে। তাছাড়া তারা উত্তরপূর্ব এলাকাসহ এলএসিতের বিভিন্ন পয়েন্টে বিভিন্ন ভারী সরঞ্জামাদি এবং দূরপাল্লার অস্ত্রপাতি বসিয়েছে।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, “চীনারা ভারী ক্যালিবারের কামান ও ট্যাঙ্ক নিয়ে এসেছে, যেটা ভারতের ভূখণ্ডের ভেতরে তাদের হামলার সক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে এবং তাদের সেনাদের এটা সহায়তা করবে”।
চীনা পদক্ষেপের অনুকরণ করছে ভারত
গত মাসের শেষের দিকে স্পাঙ্গুর গ্যাপের কাছে ট্যাঙ্ক আর কামান মোতায়েন করে চীনারা। জবাবে দ্রুততার সাথে সেনা আর সরঞ্জাম মোতায়েন করে ভারত।
গত মাসে দ্য প্রিন্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, ভারত-নেপাল-চীন ত্রিদেশীয় সংযোগপয়েন্টের লিপুলেখ পাসের কাছে মানসরোবর লেকের উপকূলে সার্ফেস-টু-এয়ার মিসাইল সাইট এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করছে চীন।
সূত্র জানিয়েছে, চীন এ ছাড়া কিছু দূরপাল্লার মিসাইলও নতুন করে মোতায়েন করেছে।
তবে আরেকটি সূত্র দ্য প্রিন্টকে জানিয়েছে যে, যদিও এলএসি এলাকাতে সেনা সমাগম বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তবে এর সাথে আরেকটি যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেটা হলো লজিস্টিক্স, থাকার জায়গা আর তাদের কাপড় চোপড়ের যোগান দেয়া।
লাদাখের উচ্চ এলাকায় তাপমাত্রা এরই মধ্যে নামতে শুরু করেছে। কঠিন দীর্ঘ শীত মওসুমে সেখানে তাপমাত্রা মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে।
লজিস্টিক্সের বাধা
লজিস্টিক্সের জন্য পরিকল্পনা জুলাইয়ের আগেই শুরু হয়েছে। দ্য প্রিন্ট প্রথম জানায় যে, সেনাবাহিনী কিভাবে অতিরিক্ত সেনা এলএসি এলাকাতে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেখানে তারা হাজার হাজার টন রেশন সামগ্রি, বিশেষ শীতের কাপড় এবং থাকার জন্য আর্কটিক তাবু সরবরাহ করছে।
জুলাইয়ে দ্য প্রিন্টকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সাবেক ১৪ কর্পস কমান্ডার লে জেনারেল পি জে এস পান্না (অব.) বলেছিলেন যে, লাদাখে অতিরিক্ত এক ডিভিশন সেনাকে স্থায়ীভাবে রাখা দরকার। তবে তিনি এটাও বলেন যে, এলএসি পাকিস্তান সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখার মতো হয়ে উঠতে পারে, যেখানে দুই দেশের সেনাদের সারা বছরই চোখে চোখ রেখে অবস্থান নিয়ে থাকতে হয়।
সূত্র : দ্য প্রিন্ট