আল্লাহর রহমত
আল্লাহর রহমত - ছবি সংগৃহীত
কুরআন-হাদিস পড়লে বান্দার প্রতি আল্লাহর দয়া-অনুগ্রহ উপলব্ধি করা যায়। তাঁর দয়া-অনুগ্রহের কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। তবে বুঝতে হবে, তাঁর এই দয়া দুনিয়ার জীবনে সব মানুষের প্রতি কিন্তু আখিরাতে কাফিরদের (অমান্যকারী) প্রতি তিনি হবেন অত্যন্ত কঠোর। তাই দুনিয়াতেই তাঁর দয়া-অনুগ্রহ ও ক্ষমা লাভের চেষ্টা করতে হবে।
শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। সে মানুষকে প্ররোচনা দেয়, এত গুনাহ করেছিস তোর কোনো ক্ষমা নেই, তাই বেশি বেশি করে দুনিয়াটা ভোগ করে নে বা বলে, সময় আছে পরে তাওবা করে ভালো হয়ে যাস। দু’টিই ভুল। গুনাহ যত বড়ই হোক তাওবা করলে ক্ষমার সুযোগ রয়েছে। আর মৃত্যু অনিশ্চিত। প্রতিনিয়তই মৃত্যু লক্ষ করছি। তাই শয়তানের ধোঁকা দূরে ফেলে দিয়ে এখনই তাওবা করে আল্লাহর প্রিয়ভাজন হতে হবে।
জীবনে নামাজ পড়েননি, রোজা রাখেননি বা নানাভাবে নিজের প্রতি জুলুম করেছেন (আল্লাহর হক), তাতে কী? তাওবা করে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে নেন, অতীতের সব গুনাহ (আল্লাহর হক) আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন। কারণ তিনি ক্ষমাশীল ও দয়াময়।
বান্দার হক নষ্ট করলে সম্ভবমতো ফেরত দিয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান। খুবই আশাপ্রদ আল্লাহর উক্তি, ‘যারা ঈমানদার নর ও নারীকে কষ্ট দেয় অতঃপর তাওবা করে না তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আজাব, আছে ভস্ম হওয়ার শাস্তি।’ ‘অতঃপর তাওবা করে না’-এই কথার মধ্যে ক্ষমাপ্রাপ্তির একটি সুযোগ রয়ে গেছে। আল্লাহ নিজেও তাঁর বান্দাদের তাঁর রহমত থেকে নিরাশ হতে নিষেধ করেছেন।
ঈমানদার বান্দাদের প্রতি জুলুম-নির্যাতনের যদি ক্ষমার সুযোগ থাকে তাহলে আশা করা যায় সব ধরনের গুনাহের ক্ষমা পাওয়া সম্ভব। তাই অনুতপ্ত হয়ে তাওবা করার পর যদি দেখা যায় সে তার জীবন ও সম্পদ সবই আল্লাহর পথে উৎসর্গ করে দিয়েছে, তখন আর সে ঈমানদারদের শত্রু থাকে না বরং হয়ে পড়ে বন্ধু। তাই গুনাহ যে ধরন ও প্রকারের হোক না কেন আল্লাহর ভয় ও উপলব্ধি আসার সাথে সাথে বান্দার উচিত তাওবা করে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে নেয়া।
হে পরোয়ারদেগার! তুমি আমাদেরকে তোমার রহমত থেকে নিরাশ করো না। তোমার অনুগত বান্দাহ হয়ে চলার তাওফিক দান করো।
হে রব! তুমি আমাদেরকে তোমার নেক বান্দাদের দলভুক্ত করো ও নাফরমানদের থেকে দূরে রেখ। আমিন।
লেখক : উপাধ্যক্ষ (অব:), কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ।
জীবন গড়ার টিপস
মুফতি মেন্ক
এক. আপনি কি ক্লান্ত এবং নিরুৎসাহিত বোধ করছেন? খাত থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আপনার মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। ইতিবাচক চিন্তাভাবনা অবলম্বন করুন। বিশ্বাস করুন যে, সর্বশক্তিমান আপনার মঙ্গল চান। তিনি আপনাকে সমস্যা কাটিয়ে ওঠার শক্তি ও ক্ষমতা দেবেন। তাঁর দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করুন। এই প্রক্রিয়ায় আস্থা রাখুন এবং পার্থক্যটা অনুভব করুন।
দুই. মনে রাখবেন জীবন কোনো স্প্রিন্ট বা পূর্ণবেগে দৌড়ানো নয়, এটি হলো ম্যারাথন, ধীরে সুস্থে গন্তব্যে পৌঁছানো। প্রতিযোগিতাটি সবচেয়ে দ্রুত বা শক্তিশালী নয় যা তার পেশিগুলোকে নমন করতে পারে তবে যারা শেষ অবধি স্থিরগতিতে পরম সহিষ্ণুতা এবং ধৈর্যসহকারে দৌড়াবেন তারা গন্তব্যে পৌঁছাবেন। এটি হলো আপনার বিশ্বাসের চূড়ান্ত পরীক্ষা। আপনার কি এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণের ক্ষমতা আছে?
তিন. আপনি যখন সর্বশক্তিমানের কাছে কিছু চাইবেন, তখন আত্মবিশ্বাসের সাথে চান। ইতিবাচকতার সাথে চান। তিনি সর্বদা শোনেন এবং জানেন যে আপনার পক্ষে কোনটি ভালো। তিনি আপনাকে যা দিয়েছেন তা যদি আপনার অনুরোধের ক্ষেত্রে অকারণ মনে হয় তবে বুঝে নিন যে তাঁর কাছে আপনার জন্য আরো ভালো কিছু রয়েছে। আপনার যা আছে তার সাথেই আলিঙ্গন করুন এবং সামনের দিকে তাকান!