ভুটান সীমান্তেও সৈন্য সমাবেশ চীনের

মনিশ শুক্লা | Sep 16, 2020 09:18 am
ভুটান সীমান্তেও সৈন্য সমাবেশ চীনের

ভুটান সীমান্তেও সৈন্য সমাবেশ চীনের - ছবি : সংগৃহীত

 

লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ড দখলের উদ্দেশ্যে লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে (এলএসি) চীন সৈন্য মোতায়েনের পাশাপাশি ভূটানি ভূখণ্ডের কিছু অংশ দখলের দিকে নজর দিয়ে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) মোতায়েন করা হয়েছে। সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত কর্মকর্তারা চীনা ষড়যন্ত্র সম্পর্কে ভুটান সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছে।

ভুটানের সাথে সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য চাপ বাড়ানোর লক্ষ্যে চীন পরিকল্পিতভাবে সীমান্ত বিরোধ চাঙ্গা করছে।
২০১৭ সালে দোকলাম বিরোধের পর থেকে ভুটান সীমান্তে রাস্তা, হেলিপ্যাড ও সৈন্য প্রস্তুত করছে চীন। গত কয়েক মাসে পশ্চিমাঞ্চলীয় ভূখণ্ডে চীন ৫ বার অনুপ্রবেশ করেছে, ভুটানের অভ্যন্তরে প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকার ওপর দাবি করেছে।
গত মাসে পিএলএ সাউথ দোকলাম এলাকায় অনুপ্রবেশ করে। গোয়েমোচেন পর্যন্ত সীমান্তে রাজি হওয়ার জন্য ভুটানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে চীন।

কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা এস্টাবলিশমেন্টের সাথে কাজ করা এক অফিসার বলেন, আমরা ইন্দো-চীন ও চীন-ভুটান সীমান্তের সর্বশেষ অবস্থার ওপর তীক্ষ্ণভাবে নজর রাখছি। দোকলাম উত্তেজনার পর পিএলএ আগ্রাসীভাবে ভুটান-চীন সীমান্ত এলাকায় টহল দিচ্ছে, রাস্তা, সামরিক অবকাঠামো, হেলিপ্যাড নির্মাণ করছে।
চীন পশ্চিম সেক্টরে ৩১৮ বর্গ কিলোমিটার ও মধ্য সেক্টরে ৪৯৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা দাবি করছে। সম্প্রতি গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটিতে ভুটানের সাকতেং ওয়াল্ডলাইফ স্যাঙ্কচুয়ারির ওপরও দাবি করে বসে চীন। এই অভয়ারন্যটি ভুটানের সর্বপূর্ব প্রান্তে অবস্থিত। এর সাথে ভারতের অরুনাচল প্রদেশের সীমান্ত রয়েছে।

দোকলাম মালভূমি চীনের কাছে দোংলাং নামে পরিচিত। এ নিয়ে চীন ও ভুটানের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এখানে চীন ও ভুটানের মধ্যে ২০১৭ সালে সীমান্ত বিরোধের জের ধরে ভারতের সাথে চীনের বিরোধ সৃষ্টি হয়। দোকলাম মালভূমি সিলিগুড়ি করিডোরের খুব কাছে অবস্থিত। আর চিকেন নেক নামে পরিচিত এই করিডোরের মাধ্যমেই পূর্ব ভারতের সাথে ভারতের মূল ভূখণ্ডের সংযুক্তি রয়েছে।
চীন দাবি করছে, ১৮৯০ সালে তিব্বতে তার রেসিডেন্টের মাধ্যমে গ্রেট ব্রিটেন ও কিং রাজবংশের মধ্যে যে কনভেনশন হয়, তার আলোকে দোকলাম তাদের।

সূত্র : জি নিউজ

অরুণাচল সীমান্তেও জড়ো হচ্ছে চীনা সৈন্য!

লাদাখের একাধিক জায়গায় ভারতীয় সেনার কাছে ধাক্কা খেয়ে এবার অরুণাচলের দিকে নজর দিয়েছে লাল ফৌজ। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, অরুণাচল প্রদেশে ভারত-চীন সীমান্তের অন্তত চারটি জায়গায় সীমান্ত বরাবর সেনা সমাবেশ করছে চীন।

অরুণাচলের সাফিলা, তুতিং, চ্যাং জে ও ফিসটালি সেক্টরে সীমান্তের ওপারে চীনা ভূখণ্ডে জড়ো হচ্ছে চীনা সেনা। ভারত-চীন সীমানা থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে পিএলএ। আশঙ্কা করা হচ্ছে কিছু পাহাড়ি এলাকার দখল নিতে পারে চীনা সেনা। গত কয়েক দিন ধরেই তারা নিজেদের এলাকায় রাস্তাসহ অন্যান্য পরিকাঠামো তৈরি করতে লেগেছে। চীনা সেনার গতিবিধির কথা মাথায় রেখে এলএসির সব সেক্টরে সতর্ক করা হয়েছে ভারতীয় সেনাকে। ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি, চীনা টহলদারি সেনা আগের থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার অনেক কাছে চলে আসছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এভাবেই ভুটান সীমান্তের ডোকলায় ঘাঁটি গাড়ার চেষ্টা করেছিল চীনা সেনা। ভারতীয় জওয়ানরা রুখে দাঁড়াতেই তারা শেষপর্যন্ত সরে যায়। টানা ৭২ দিন ধরে চলেছিল সেই অচলাবস্থা।
প্রসঙ্গত, লাদাখ উত্তেজনার মধ্যেই পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের দক্ষিণে একাধিক পাহাড়ি এলাকা দখল করে নিয়েছে ভারতীয় সেনারা। পরিস্থিতি এমনই যে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে দু’দেশের সেনা। এ ছাড়াও চুশুলেও একাধিক জায়গায় ঢুকেছে ভারতীয় জওয়ানরা। ফলে চাপে রয়েছে চীনা সেনা।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us