চীন-পাকিস্তানসহ ৬ দেশকে নিয়ে রাশিয়ার বিশাল মহড়া, কেন?

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Sep 14, 2020 07:43 pm
চীন-পাকিস্তানসহ ৬ দেশকে নিয়ে রাশিয়ার বিশাল মহড়া, কেন?

চীন-পাকিস্তানসহ ৬ দেশকে নিয়ে রাশিয়ার বিশাল মহড়া, কেন? - ছবি : সংগৃহীত

 

ককেশাস-২০২০ সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে ছয়টি দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে রাশিয়া। মহড়া চলবে ২১ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরান, চীন, পাকিস্তান, বেলারুশ, আর্মেনিয়া ও মিয়ানমারকে মহড়ায় অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এছাড়া আজারবাইজান, কাজাখস্তান ও তাজিকিস্তানসহ আরো ছয়টি দেশের প্রতিনিধিরা পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত থাকবে। রাশিয়ার নেতৃত্বে এই যৌথ মহড়ায় ৮০ হাজার সেনা অংশ নেবে।

রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সংক্রান্ত বিষয়গুলো এ মহড়ায় গুরুত্ব পাবে বলে জানা গেছে।

এর আগে চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যৌথ মহড়ায় প্রতিরক্ষা কৌশল রপ্ত করার ওপর বিশেষ জোর দেয়া হবে। এছাড়া শত্রুপক্ষকে ঘেরাও করে যুদ্ধক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ ও কমান্ড পরিচালনার বিষয়গুলোও গুরুত্ব পাবে।

সূত্র : পার্স টুডে

আশ্বস্ত না হওয়া পর্যন্ত লাদাখ থেকে সৈনা সরাবে না ভারত
আনন্দবাজার

সীমান্ত উত্তেজনা হ্রাস, সৈন্য প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফায় চীনের সাথে সমঝোতা হওয়ার এক দিন পরই ভারত তা থেকে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। ফলে লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের উদ্যোগটি ভণ্ডুল হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কলকাতাভিত্তিক আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, চীনের সাথে সীমান্ত বিতর্ক নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে মস্কোয় কূটনৈতিক স্তরে কথা শুরুর পরের দিনই লাদাখ সীমান্তের বাস্তব চিত্রটি বুঝতে শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

দুই দেশ পাঁচটি বিষয়ে একমত হলেও অতীতের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লাদাখে কোনোভাবেই সেনা প্রস্তুতিতে ঢিল দেয়ার পক্ষপাতী নয় নরেন্দ্র মোদি সরকার। সূত্রের মতে, চীনের পক্ষ থেকে আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ না করা পর্যন্ত ভারত নিজের অবস্থান থেকে এক পা-ও পিছিয়ে আসবে না। খবরে বলা হয়, শুক্রবার দুপুরে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়ত, সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নরবণে, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আর কে এস ভাদৌরিয়া, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল কর্মবীর সিংয়ের সাথে বৈঠকে বসেন রাজনাথ।

প্রতিরক্ষা সূত্রে বলা হয়েছে, সম্প্রতি প্যাংগং লেকের দক্ষিণে ভারতীয় চৌকি দখলের চেষ্টায় চীনা সেনা যে গুলি চালিয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই আজকের বৈঠকটি হয়। এই মুহূর্তে লাদাখের পরিস্থিতি ঠিক কী অবস্থায় রয়েছে, দুই দেশের সেনা কোথায়, কী অবস্থানে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন সেনাপ্রধান। ভারতীয় সেনা কতটা প্রস্তুত রয়েছে তা যেমন শুক্রবার আলোচনা হয়েছে বৈঠকে, তেমনই চীন যদি অনমনীয় মনোভাব আগামী দিনেও চালিয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে আসন্ন শীতে কিভাবে সীমান্তের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা সম্ভব, তা নিয়েও প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে জানান নরবণে। সূত্রের মতে, রাজনাথকে জানানো হয়, প্রয়োজনে সিয়াচিনের মতো এখানেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাজুড়ে সেনা সমাবেশ করে রাখার প্রস্তুতি শুরু করে দেয়া হয়েছে।

সূত্রের মতে, ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহার করে সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর প্রশ্নে বৃহস্পতিবার একমত হয়েছে দুই দেশ। কিন্তু শুক্রবার রাজনাথদের বৈঠকের মূল নির্যাস হলোÑ চীনের পক্ষ থেকে যত দিন না কোনো ভরসাযোগ্য আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ করা হবে, তত দিন ভারতও সীমান্ত থেকে সেনা সরাবে না। সেনা সূত্রের মতে, চীনকে কোনোভাবেই ভরসা করা যায় না। কারণ বিশ্বাস করেই প্যাংগং লেকের কাছে পাঁচ থেকে আট নম্বর গিরিশিখর খুইয়েছে ভারত।

এই পরিস্থিতিতে লাদাখে সীমান্ত সংলগ্ন যে কৌশলগত সুবিধাজনক অবস্থানগুলোতে ভারতীয় সেনা এখন রয়েছে, তা ছিনিয়ে নেয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছে চীন। সে কারণেই গত সপ্তাহে একটি চৌকি দখলে আক্রমণ শানাতে এসেছিল চীনা সেনা। ভারতীয় সেনা সতর্ক থাকায় প্রতিপক্ষ ফিরে যেতে বাধ্য হয়। তবে সীমান্তে দুই দেশের কম্যান্ডার পর্যায়ে যে বৈঠক বন্ধ রয়েছে, উত্তেজনা কমাতে তা ফের শুরু করার প্রশ্নে বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছেন রাজনাথসহ প্রতিরক্ষা কর্তারা।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us