রাফালের জবাব দিতে পাকিস্তানে জে১০!

শ্রিঞ্জয় চৌধুরী | Sep 07, 2020 09:12 pm
জে১০

জে১০ - ছবি : সংগৃহীত

 

ফ্রান্সের কাছ থেকে ভারতের দুই স্কোয়াড্রন রাফাল জঙ্গিবিমান কেনা একটি গেম চেঞ্জার হবে বুঝতে পেরেছে পাকিস্তান। ফলে তারাও মরিয়া হয়ে চীনের কাছ থেকে ৩০টি জে-১০সিই জঙ্গিবিমান ও বিমানবাহিনীর অত্যাধুনিক এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল কিনতে চাচ্ছে।

২০০৯ সালে পাকিস্তান প্রথম জেএ-১০ কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে। কিন্তু পাকিস্তানের সঙ্গে চীন যৌথভাবে জেএফ-১৭ তৈরির কাজে হাত দিলে জেএ-১০ কেনার বিষয়টি আড়ালে পড়ে যায়। এখন ভারত রাফাল কেনায় চীন ও পাকিস্তান আবারো আলোচনা শুরু করেছে বলে বলে উচ্চ পর্যায়ের সরকারি সূত্রে জানা গেছে। জে-১০সিই ছাড়াও পাকিস্তান পিএল-১০ ও পিএল-১৫, যথাক্রমে স্বল্প ও দূর পাল্লার এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল চেয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ক্রমেই ভারতের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠায় পাকিস্তানের অত্যাধুনিক অস্ত্র সংগ্রহের একমাত্র উৎস হয়ে উঠেছে চীন। জে-১০সিই হলো পিপলস লিবারেশন আর্মির ব্যবহার করা জে-১০ জঙ্গিবিমানের রফতানি সংস্করণ। এতে এইএসএ রাডার, ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম ও ইনফ্রারেড প্রযুক্তি রয়েছে।

পাকিস্তান বিমান বাহিনী শুধু রাফালে থাকা মেটেওর এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল নিয়েই উদ্বিগ্ন নয়, মিকা মিসাইল নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে তাদের। কারণ মিকাও বিমান থেকে ছোঁড়া যায। পিএএফ জঙ্গিবিমানের জন্য বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করবে এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা মাঝারিপাল্লার সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম।

পিএএফের হাতে ১২৪টি জেএফ-১৭ ফাইটার রয়েছে। এছাড়া আছে ৭০টির মতো এফ-১৬ ও মিরেজ ৩এ।

তবে পাকিস্তান মিসাইলসহ জে-১০সিই হাতে পেলে তা ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য আরেকটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

পাক-চীন সমন্বিত পদক্ষেপের আশঙ্কা ভারতের সামরিক প্রধানের
হিন্দুস্তান টাইমস

ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বা সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলেছেন, লাদাখে চলমান চীন-ভারত উত্তেজনার সুযোগ নিতে পারে পাকিস্তান। গত বৃহস্পতিবার এক সেমিনারে তিনি বেইজিং-ইসলামাবাদ যৌথ পদক্ষেপের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তেমন কিছু ঘটলে ভারত কঠোর জবাব দিতে প্রস্তুত বলে হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভারত-মার্কিন নয়া চ্যালেঞ্জ সম্পর্কিত একটি সেমিনারে বক্তব্য দেন বিপিন রাওয়াত। সে সময় ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ও চীনের ‘সমন্বিত পদক্ষেপের’ আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, দু’মুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম ভারতীয় সেনা। এ-সংক্রান্ত রণনীতি কি হবে তাও বলেন জেনারেল রাওয়াত। জানান, প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি ফ্রন্ট নির্ধারণ করা হবে। প্রসঙ্গত, এ দিনই সেনাপ্রধান নারাভানে দুই দিনের সফরে লে-তে গেছেন লাদাখ পরিস্থিতির রিভিড করতে।

বিপিন রাওয়াত বলেন, ‘উত্তর সীমান্তে যদি কোনো হুমকি তৈরি হয়, পাকিস্তান তার সুযোগ নিতে পারে এবং আমোদের জন্য সঙ্কট সৃষ্টি করতে পারে। তবে আমরা প্রস্তুত রয়েছি, যেন পাকিস্তান কোনোভাবেই এমন অপতৎপরতা না চালাতে পারে তা হলে চরম জবাব দিতে প্রস্তুত ভারত। পাকিস্তান সেই চেষ্টা করলে ইসলামাবাদের কপালে চরম দুর্ভোগ রয়েছে।’ বৃহস্পতিবার ভারতের সেনাপ্রধান নারাভানেও লাদাখ পরিদর্শন করে সেখানকার উত্তপ্ত পরিস্থিতির কথা জানান। তিনি বলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পরিস্থিতি বর্তমানে ‘সামান্য উত্তপ্ত’। তবে জওয়ানরা যেকোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us