ভারতের হেলিকপ্টার চালাবে মালদ্বীপের পাইলটেরা!
ভারতের হেলিকপ্টার চালাবে মালদ্বীপের পাইলটেরা! - ছবি : সংগৃহীত
মালদ্বীপের প্রতিরক্ষাপ্রধান মেজর জেনারেল আবদুল্লাহ শামাল বলেছেন, বিদেশী দেশগুলো মালদ্বীপকে যেসব হেলিকপ্টা ও অন্যান্য সামরিক আকাশযান দিয়েছে, সেগুলো শিগগিরই স্থানীয় পাইলটেরা চালানো শুরু করবে।
ভারত সরকারের দান করা দুটি হেলিকপ্টার সামরিক প্রয়োজন ছাড়াও জরুরি রোগী পরিবহনে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
হেলিকপ্টার দুটি ভারতের সামরিক সদস্যরা চালিয়ে থাকে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা এর প্রবল বিরোধিতা করছে। তারা বলছে, মালদ্বীপে ভারতীয় সামরিক সদস্যদের উপস্থিতি জাতির সার্বভৌমত্বের খেলাফ।
স্থানীয় পাইলট থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় পাইলটদের দিয়ে হেলিকপ্টারগুলো পরিচালনা করা নিয়ে জনসাধারণেরমধ্যে উদ্বেগ ক্রমাগত বাড়ছে। মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোপূর্বে বলেছিল যে ভারতীয় সামরিক সদস্যদের মালদ্বীপে উপস্থিতি দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি নয়।
মেজর জেনারেল শামাল বলেন, এসব হেলিকপ্টার বা অন্যান্য আকাশযান ব্যবহারের যে চুক্তি রয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যে স্থঅনীয়রা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এসব যান চালাতে পারবে। অবশ্য হেলিকপ্টার চালানোর মতো প্রয়োজনীয় স্থানীয় পাইলট না থাকায় কাজটি কঠিনই হতে পারে।
মেজর জেনারেল শামাল বলেন, আমাদের প্রায় ছয়জন পাইলট আছে। তারা বিভিন্ন বিমানের জন্য কয়েকটি দেশ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে। তারা ঠিক এসব হেলিকপ্টার চালানোর প্রশিক্ষণ নেয়নি।
তিনি বলেন, বাণিজ্যিক বিমানের পাইলটদের বিপুল চাহিদা থাকায় পরিস্থিতি বেশ কঠিন হচ্ছে। সামরিক ও বাণিজ্যিক বিমানের পাইলটের মধ্যে বেতনের ব্যবধান অনেক থাকায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হিমশিম খাচ্ছে।
তিনি বলেন, পাইলটেরা ছয় থেকে আট লাখ এমভিআর আয় করছে। পাইলট হিসেবে কর্মরত সামরিক অফিসারদের ওই বেতন দিলে অন্যান্য ক্ষেত্রেও বেতন বাড়াতে হবে।
আবার ডোর্নিয়ারের পাইলট ও বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করা অন্যান্য বিদেশীদের অবস্থান নিয়েও আলোচনা হচ্ছে।
মালদ্বীপে দুটি হেলিকপ্টার পরিচালনা ও কারিগরি বিষয়গুলো তদারকির জন্য প্রায় ৫০ জন ভারতীয় নাগরিক মালদ্বীপে অবস্থান করছে। হেলিকপ্টার দুটি দান করা হয়েছিল ২০১০ সালে। দুটি হেলিকপ্টারের একটি মোতায়েন রয়েছে আদ্দু সিটিতে, অপরটি এল জানে।
সান.এমভি
চীনের নিয়ন্ত্রণে লাদাখের ১০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা
দ্য হিন্দু
বিরোধপূর্ণ লাদাখ সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) আশপাশে প্রায় এক হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা এখন চীনের নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করছে ভারত। সে দেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থা কেন্দ্রীয় সরকারকে এই তথ্য জানিয়েছে। সূত্র জানায়, চলতি বছরের এপ্রিল-মে থেকেই চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার আশপাশে সৈন্য সমাবেশ এবং সামরিক উপস্থিতির মাধ্যমে শক্তি মজবুত করছে। গত ১৫ জুন লাদাখের পূর্বাঞ্চলের গালওয়ান উপত্যকায় চীনের পিপলস লিবারেল আর্মির (পিএলএ) সৈন্যদের সাথে সহিংস সঙ্ঘাতে অন্তত ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়।
দেশটির সরকারি এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, দেপসাং সমতল এলাকা থেকে চুশুল পর্যন্ত অমীমাংসিত সীমান্তে পরিকল্পিতভাবে সেনা-সমাবেশ করেছে চীন। ওই কর্মকর্তা বলেন, দেপসাং সমভূমির টহল পয়েন্ট ১০ থেকে ১৩ পর্যন্ত এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে চীন। ওই এলাকার পরিমাণ প্রায় ৯০০ বর্গকিলোমিটার হতে পারে বলে ধারণা করছে ভারত। ওই কর্মকর্তা বলেন, গালওয়ান উপত্যকায় প্রায় ২০ বর্গকিলোমিটার এবং হট স্প্রিংস এলাকায় ১২ বর্গকিলোমিটার এলাকা চীনের দখলে আছে। প্যাংগং সো লেকের কাছে ৬৫ বর্গকিলোমিটার এবং চুশুলে ২০ বর্গ কিলোমিটার চীনের নিয়ন্ত্রণে আছে।
প্যাংগং সো লেকের কাছে ফিঙ্গার ৪ থেকে ৮ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে চীনের সামরিক বাহিনী।