ভারত সীমান্তে অত্যাধুনিক চীনা ক্ষেপণাস্ত্র!
ভারত সীমান্তে অত্যাধুনিক চীনা ক্ষেপণাস্ত্র! - ছবি : সংগৃহীত
বিরোধপূর্ণ লিপুলেখ গিরিপথের কাছে ভারত-নেপাল-চীন ত্রিসংযোগে অবস্থিত মানসরোবর হ্রদের তীরে চীনা সেনাবাহিনী একটি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (স্যাম) স্থাপনা ও অন্যান্য অবকাঠামো গড়ে তুলছে বলে খবর পাওয়া গেছে। স্যাটেলাইট থেকে তোলা নতুন ছবিতে এই নির্মাণকাজ দৃশ্যমান।
এক অজ্ঞাত স্যাটেলাইট ছবির বিশ্লেষকের শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়, সেখানকার একটি গ্রামে নতুন পথঘাট তৈরি করা হচ্ছে এবং থাকার জন্য সন্দেহজনক লাল রঙ্গের তাবু টানানো হয়েছে। @detresfa_ শীর্ষক এক টুইটার একাউন্টে এসব ছবি শেয়ার করা হয়।
ছবিতে মানসরোবরের তীরে একটি স্যাম সাইট দৃশ্যমান। হিন্দু ধর্মে মানসরোবরকে পবিত্র হিসেবে গণ্য করা হয়। মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, উত্তরখণ্ডের লিপুলেখ পাসের কাছে পিপলস লিবারেশন আর্মির এক ব্যাটালিয়ন সেনা জড় করা হয়েছে।
গত জুনে এএনআই-এর এক রিপোর্টে বলা হয় যে ভারতীয় সেনাবাহিনী লদাখের পূর্বাঞ্চলে অত্যাধুনিক কুইক-রিঅ্যাকশন স্যাম ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করেছে।
গত মে মাসে ভারত লিপুলেখ অঞ্চলে একটি সড়ক উদ্বোধন করলে তা নিয়ে নেপালের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়। ওই এলাকাটি নিজের বলে দাবি করে নেপাল। ফলে নেপাল তার মানচিত্র সংশোধন করে এলাকাটি তাতে অন্তর্ভুক্ত করে।
এই পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে @destresfa টুইটারকারী বলেন, স্যাম সাইট একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। এর মানে হলো এখানে আকাশপথে কোন হুমকি তৈরি হলে তা মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে চীন।
বিশ্লেষক বলেন, গত কয়েক মাস ধরে সংগ্রহ করা জিওসপ্যাশিয়াল উপাত্তে স্যাম সাইটটি নির্মিত হতে দেখা যায়। পাশের এলাকায় সেনাদের থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে মনে হয়। আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে স্থাপনাটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে বিশ্লেষক উল্লেখ করেন।
আরো যেসব জায়গায় স্যাম সাইট নির্মাণ বা আপগ্রেড করা হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে রুটক কাউন্টি (প্যাংগং সো’র কাছে) নাগারি গুনসা এয়ারপোর্ট, শিগাজি এয়ারপোর্ট, লাসা গুনজার এয়ারপোর্ট ও নাইংচি এয়ারপোর্ট। এর সবগুলোই তিব্বতে।
প্রতিরক্ষা সূত্রগুলো জানায়, সাধারণত কোনো গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও স্থাপনা সুরক্ষার জন্য স্যাম ব্যবহার করা হয়। চীন কেন এসব স্থাপনা নির্মাণ করছে সেটা পরিষ্কার নয়।
রিপোর্টে বলা হয়, পিএলএ বিমান বাহিনীর হাতে এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় দূর-পাল্লার স্যাম সিস্টেমের ভাণ্ডার রয়েছে। এগুলো রাশিয়া থেকে আমদানি করা এসএ-২০ ও নিজস্ব তৈরি সিএসএ-৯ ব্যাটালিয়নের সংগে যুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে পাওয়া স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা গেছে যে তিব্বত অঞ্চলে চীন বিপুল সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে। সেখানে সরঞ্জাম জড় করার জন্য সম্ভাব্য সুরঙ্গ পথ ব্যবহার করা হয়েছে।
গালওয়ান উপত্যকায় চীনের শক্তি বৃদ্ধির বিষয়টিও স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে।
লাদাখের পূর্বাঞ্চলে এই এলাকায় গত কয়েক মাস ধরে চীন ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। উভয় পক্ষই সেখানে শক্তি বৃদ্ধি করছে।
সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর