যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য অবসানে চীন-পাকিস্তান জোট!
যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য অবসানে চীন-পাকিস্তান জোট! - ছবি : সংগৃহীত
পাকিস্তান সামরিক ও বেসমারিক উভয় উদ্দেশে চীনের নিজস্বভাবে তৈরী নেভিগেশন সিস্টেম বেইদু ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমের (জিপিএস) ওপর থেকে পাকিস্তানের নির্ভরশীলতার অবসান ঘটবে। ভারতীয় নিরাপত্তা এস্টাবলিশমেন্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তান ও চীনের প্রতিরক্ষা ও কৌশলগত সহযোগিতার অংশ হিসেবেই এটা করা হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে। ওই সূত্র আরো জানায়, চীন চায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জিপিএস আধিপত্যের অবসান ঘটাতে এবং প্রথমে এশিয়া অঞ্চলে তার নিজস্বভাবে তৈরী নেভিগেশন সিস্টেম চালু করতে।
চায়নিস স্যাটেলাইট নেভিগেশন অফিস (সিএসএনও) পাকিস্তানে বেইদুর সক্ষমতার কনটিউনিয়াস অপারাটিং রাডার স্টেশন (সিওআরএস) নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠায় রাজি হয়েছে।
এই নেটওয়ার্কের ফলে পাকিস্তান বিশেষ করে জরিপ ও মানচিত্র প্রণয়ন, নির্মাণ ও বৈজ্ঞানিক গবেষণার মতো ক্ষেত্রগুলোতে নিখুঁত ভৌগোলিক অবস্থান নির্ধারণ করতে পারবে।
চীন বেইদু গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম (জিএনএসএস) পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নের জন্য তার স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশনে একটি মনিটরিং স্টেশন প্রতিষ্ঠা করেছে। সিস্টেমটি ৩ আগস্ট সম্পূর্ণ হয়।
একটি সূত্র জানায়, চীন ৩ আগস্ট তার নেভিগেশন সিস্টেম প্রকল্প সমাপ্তির কথা ঘোষণা করে। তারা এখন প্রথমে এশিয়া অঞ্চলে এই নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে।
পাকিস্তান এখন চীনা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় করতে থাকায় বেইদুর সাথে পুরোপুরি একীভূত হয়ে যাবে।
সূত্রটি জানায়, পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী ক্রমান্বয়ে তার সব গুরুত্বপূর্ণ সামরিক প্লাটফর্ম বেইদু নেভিগেশন সিস্টেমের আওতায় নিয়ে আসবে।
পাক্সিতান জম্মু ও কাশ্মির অঞ্চলের লাইন অব কন্ট্রোলজুড়ে চীন থেকে কেনা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম মোতায়েন করছে। সাজোয়া, বিমান প্রতিরক্ষা, আর্টিলারি, ইউএভি, জাহাজ, সাবমেরিন, হালকা বিমান- যাই হোক না কেন, সবাই পাকিস্তান কিনছে চীনের কাছ থেকে।
আইএএনএস
জম্মু-কাশ্মির থেকে ১০ হাজার সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত
নিউজ ১৮
জম্মু ও কাশ্মির থেকে প্রায় ১০ হাজার আধা সামরিক সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। গত বুধবার সন্ধ্যায় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। গত বছর আগস্টে ৩৭০ ধারা বাতিলের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সেখানে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানো হয়েছিল। তার পর এই প্রথম একসাথে এই বিপুলসংখ্যক সেনাকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
জম্মু ও কাশ্মিরের সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং সেখানে কী পরিমাণ সশস্ত্র আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য প্রয়োজন, তা পর্যালোচনা করার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেয়া নতুন নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘জম্মু ও কাশ্মির থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সিএপিএফের সেনা প্রত্যাহার করে তাদের নিজ নিজ জায়গায় ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
একটি সিএপিএফ কোম্পানিতে প্রায় ১০০ জন সেনা থাকেন। গত মে মাসে জম্মু-কাশ্মির থেকে ১০ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তারও আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে আরো ৭২ কোম্পানি বাহিনীকে ফেরানো হয়েছিল। সবশেষ নির্দেশিকা অনুযায়ী, নতুন সিআরপিএফের ৪০ কোম্পানি, সিআইএসএফের ২০ কোম্পানি, বিএসএফের ২০ কোম্পানি এবং সশস্ত্র সীমা বল বা এসএসবির ২০ কোম্পানিকে প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে। বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই সে সময় সিএপিএফ সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেখানে সব ধরনের বড় সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, বন্ধ করা হয় ফোন ও ইন্টারনেট সেবা। আটক করা হয় কয়েক শ’ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকেও।
তবে কয়েক মাস ধরেই জম্মু ও কাশ্মিরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে ধীরে ধীরে নিরাপত্তার কড়াকড়ি শিথিল করা হচ্ছে।