মহারাজা হর্ষবর্ধন আর হর্ষবর্ধন শ্রিংলা : একটি গভীর পর্যালোচনা
হর্ষবর্ধন শ্রিংলা - ছবি : সংগৃহীত
মহারাজা হর্ষবর্ধন নামটি ভারতবর্ষে খুবই জনপ্রিয়। ৬০৬ থেকে ৬৫৭ সাল পর্যন্ত মোট ৪১ বছরের শাসনামলে তিনি সমগ্র উত্তর ভারত এবং দক্ষিণ ভারতের কিয়দংশজুড়ে যে বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন তা ছিল সুখসম্পদে পরিপূর্ণ। তার রাজ্যে শান্তি ছিল, শৃঙ্খলা ছিল এবং ন্যায়বিচার ছিল। শিক্ষা-দীক্ষা, ধর্ম-কর্ম, দেশী-বিদেশী প-িতদের পদচারণা এবং সর্বোপরি সামরিক শক্তির শ্রেষ্ঠত্বের কারণে ভারতের হাজার হাজার বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে মহারাজা হর্ষবর্ধনের রাজত্বকাল এক কিংবদন্তির অধ্যায় হয়ে রয়েছে। কিন্তু ভারতবাসীর মধ্যে তার জনপ্রিয়তা তার রাজত্বকালের হাজারো শুভ কর্মের জন্য নয়। মূলত দুটো উল্লেখযোগ্য কারণে তিনি ভরতীয় জনগণের মন-মানসে এমনভাবে প্রভাব বিস্তার করে চলেছেন যার ফলে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভারতীয়রা হর্ষবর্ধনের নামে তাদের নবজাতকদের নামকরণ করে চলেছেন।
চলমান করোনা সঙ্কট, বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের টানাপড়েন এবং বাংলাদেশ-চীনের সাম্প্রতিক কৌশলগত বন্ধুত্বের মধুমাসে আমার হঠাৎ করেই ইতিহাস বিখ্যাত মহারাজা হর্ষবর্ধনের কথা মনে এলো মূলত ভারতের বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার কারণে। জনাব শ্রিংলা হঠাৎ করে ঝড়ের গতিতে অনেকটা ঘূর্ণিঝড়ের মতো কোনো আগাম সঙ্কেত না দিয়ে দু’দিনের ঝটিকা সফরে বাংলাদেশ সফর করে গেলেন। তিনি নজিরবিহীনভাবে হঠাৎ করে কেন বাংলাদেশ সফরে এলেন এবং তার সফরের সামনের এবং পেছনের সম্ভাব্য সঙ্কেতগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার আগে আমি ইতিহাস বিখ্যাত মহারাজা হর্ষবর্ধনের জনপ্রিয়তার উল্লেখযোগ্য দুটো কারণ সম্পর্কে বলব। তারপর বলব, কেন আমার মনে হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সাম্প্রতিক ঝটিকা সফরের প্রেক্ষাপটে মহারাজা হর্ষবর্ধনের কথা মনে পড়ল।
ইতিহাসের ছাত্রমাত্রই জানেন, হর্ষবর্ধনের বড় ভাই রাজ্যবর্ধনকে হত্যা করেছিলেন বাংলার কিংবদন্তি শাসক শশাংক। মহামতি শশাংক অবশ্য এর আগে যুদ্ধ করে হর্ষবর্ধন ও রাজ্যবর্ধনের বোন রাজ্যশ্রীর শ্বামী এবং কনৌজ্যের রাজা গৃহবর্মণের রাজ্য আক্রমণ করেন। যুদ্ধে গৃহবর্মণ নিহত হন এবং রাজ্যশ্রী শশাংক কর্তৃক গ্রেফতার হন। শশাংক তার যুদ্ধকালীন মিত্র মালবের রাজার কাছে রাজকুমারী রাজ্যশ্রীকে হস্তান্তর করে বাংলায় ফিরে আসেন। রাজ্যশ্রীর বড়ভাই ১০ হাজার শক্তিশালী অশ্বারোহী বাহিনী নিয়ে মালবের রাজাকে পরাজিত করে প্রিয় বোনকে উদ্ধার করেন। উল্লেখিত খবর বাংলার সম্রাট শশাংকের কাছে পৌঁছলে তিনি পুনরায় যুদ্ধযাত্রা করেন এবং রাজ্যবর্ধনের রাজ্য আক্রমণ করেন। যুদ্ধ ও কূটনীতির জটিল কৌশলে ফেলে শশাংক উত্তর ভারতের শক্তিশালী মহারাজা রাজ্যবর্ধনকে যুদ্ধক্ষেত্রেই হত্যা করেন।
উল্লিখিত ঘটনার পর রাজ্যবর্ধনের ছোট ভাই হর্ষবর্ধন ক্ষমতায় বসেন এবং বাংলার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। কিন্তু শশাংকের জীবৎকালে তিনি সুবিধা করতে পারেননি। হর্ষবর্ধন ক্ষমতায় আরোহণ করেন ৬০৬ সালে। অন্য দিকে, শশাংক মারা যান ৬৩৬ সালে। সুতরাং ৬০৬ থেকে ৬৩৬ সাল অবধি সুদীর্ঘ ৩০ বছর ধরে হর্ষবর্ধন অব্যাহতভাবে বাংলার বিরুদ্ধে যুদ্ধাভিযান পরিচালনা করতে থাকেন এবং বারবার পরাজিত হওয়ার পর তার প্রতিশোধস্পৃহা প্রবল থেকে প্রবলতর হতে থাকে। ফলে শশাংকের মৃত্যুর পর তার দুর্বল উত্তরাধিকারীরা যখন আত্মকলহে ব্যস্ত ছিল তখন হর্ষবর্ধন বাংলা আক্রমণ করে সব কিছু তছনছ করে দেন। সুদীর্ঘ তিন যুগ ধরে হর্ষবর্ধন যে জেদ, প্রত্যয় এবং প্রতিশোধস্পৃহা নিয়ে বৃহত্তর বাংলায় ভারতের কেন্দ্রীয় শাসন প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তা অন্য কোনো উত্তর ভারতীয় সম্রাট পারেননি। এ কারণে ভারতবাসীর কাছে হর্ষবর্ধন নামটি এত জনপ্রিয়।
রাজা হর্ষবর্ধনের জনপ্রিয়তার দ্বিতীয় কারণ হলো, তার মৃত্যুর পর যে দুর্ভোগ দুর্দশা ও অপমান ভারতের ভাগ্যে ঘটেছিল তাও দ্বিতীয়বার ঘটেনি ভারতের ইতিহাসে। আলোচ্য দুর্ঘটনার কারণে ভারতের কেন্দ্রীয় শাসন ভেঙে পড়ে। অসংখ্য ছোট ছোট রাজ্যের সৃষ্টি হয়, যারা পরবর্তী সময়ে কয়েক যুগ ধরে আত্মকলহ, যুদ্ধবিগ্রহ ও মারামারি, কাটাকাটি করে ভারতের সাধারণ জনগণের জীবন দুর্বিষহ করে তোলে। ফলে জনগণ মহারাজা হর্ষবর্ধনের মতো একজন শক্তিশালী, জেদি-প্রতিশোধপরায়ণ এবং ন্যায়পরায়ণ শাসকের অভাব হাড়ে হাড়ে অনুভব করতে থাকেন।
আলোচনার এই পর্যায়ে আমি প্রথমে হর্ষবর্ধন পরবর্তী দুর্ঘটনাটির কাহিনী বলব এবং পরবর্তীতে আজকের শিরোনাম প্রসঙ্গে আলোচনা করে নিবন্ধের ইতি টানব। হর্ষবর্ধনের মৃত্যুর পর তার কোনো উত্তরাধিকারী না থাকায় যশবর্ধন নামক জনৈক বাঁদীপুত্র কনৌজের সিংহাসনে বসেন ৬৪৭ সালে। ক্ষমতা লাভ করার পর তিনি অতিমাত্রায় দাম্ভিক, অত্যাচারী এবং বিবেকহীন অমানুষে পরিণত হন। হর্ষবর্ধন যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন চীনের সাথে ভারতের চমৎকার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল। বিখ্যাত চীনা পর্যটক সুনজাং ভারতবর্ষ সফর করেন এবং হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালের ভূয়সী প্রশংসা করে বই লেখেন। তিনি চীনে ফিরে গিয়ে সেখানকার সম্রাট তাইঝুংয়ের কাছে হর্ষবর্ধন সম্পর্কে এমন সব ভালো ভালো কথা বলেন যা শুনে চীনা সম্রাট মহারাজা হর্ষবর্ধনের সাথে বন্ধুত্ব করার জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
সম্রাট তাইঝুং তাং বংশীয় শাসক ছিলেন, যারা প্রায় ৩০০ বছর ধরে অত্যন্ত প্রতাপ, সুনাম ও সুখ্যাতির সাথে বৃহত্তর চীন শাসন করেছিলেন। পর্যটকের কথায় মুগ্ধ হয়ে চৈনিক স¤্রাট তার অত্যন্ত বিশ্বস্ত সেনাপতি এবং অত্যন্ত সফল কূটনীতিবিদ যার নাম ছিল ওয়াং সুয়ানস, তাকে রাষ্ট্রদূতরূপে হর্ষবর্ধনের রাজদরবারে পাঠান। চীনা রাষ্ট্রদূত যখন হর্ষবর্ধনের রাজধানীতে পৌঁছালেন তখন ভারত সম্রাট আর দুনিয়াতে নেই। বাঁদীপুত্র যশবর্ধন তখন সিংহাসনে। রাষ্ট্রদূত যখন সম্রাট যশবর্ধনের সাথে ৩০ জন সঙ্গীসাথীসহ দেখা করতে গেলেন, তখন সম্রাটের নির্দেশে প্রহরীরা তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন। সঙ্গীরা সবাই নিহত হলেও রাষ্ট্রদূত ওয়াং সুয়ানস অত্যন্ত দক্ষতা ও কৌশল খাটিয়ে রাজদরবার থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
ওয়াং সুয়ানস চীনা সেনাবাহিনীর একজন শীর্ষ জেনারেল ছিলেন। তিনি জানতেন যে, তিনি যদি তাং রাজদরবারে গিয়ে প্রকৃত ঘটনা বলেন তবে সেখানে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠবে। তিনি তার সম্রাট ও রাষ্ট্রকে বিব্রত না করে আপন চেষ্টায় প্রতিশোধ গ্রহণের প্রত্যয় নিয়ে চীন দেশে না গিয়ে তিব্বতে চলে গেলেন। সেখানে তিনি অতি অল্প সময়ের মধ্যে সাত হাজার পাহাড়ি দুর্ধর্ষ নেপালী যোদ্ধাকে সংগঠিত করে ফেললেন। ৬৪৮ সালের ১৬ জুন ওয়াং সুয়ানস সাত হাজার নেপালী যোদ্ধা এবং এক হাজার ২০০ তিব্বতি যোদ্ধা নিয়ে সম্রাট যশবর্ধনের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে পরাজিত এবং বন্দী করেন। এরপর পরাজিত ভারত সম্রাটকে শিকলবন্দী করে চীনে নিয়ে তাং সম্রাট তাইঝুংয়ের দরবারে তাকে হস্তান্তর করেন। এই ঘটনা তৎকালীন চেনাজানা দুনিয়ায় নিদারুণ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। ভারতের সর্বত্র হাহাকার লজ্জা ও অপমানের বীভৎস এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে জনগণ বারবার মহারাজা হর্ষবর্ধনের কীর্তিগাথা স্মরণ করতে বাধ্য হচ্ছিল।
বর্তমান বাস্তবতায় চীন-ভারত সম্পর্ক, নেপাল কর্তৃক বারবার ভারতকে অপদস্থ করার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে ভারতের সীমাহীন দাপট কোন পর্যায়ে রয়েছে তা নিয়ে যারা সন্দেহ প্রকাশ করতেন তারা ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সাম্প্রতিক ঝটিকা সফরের মাধ্যমে অনেক কিছু টের পেয়েছেন। অন্য দিকে, শ্রিংলার পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে নিয়োগ- তারও আগে রাষ্ট্রদূতরূপে বাংলাদেশে তার কার্যকাল এবং বর্তমানে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে তার বহুমুখী তৎপরতার কারণে আমার কেন যে বারবার মহারাজা হর্ষবর্ধনের নাম মনে পড়ছে তা হয়তো সম্মানিত পাঠক ইতোমধ্যে বুঝতে পেরেছেন।
সম্মানিত ভারত সচিব বিশেষ বিমানে করে বাংলাদেশে এসেছেন এবং তিনি যেখানে তার বিমান অবতরণ করিয়েছেন এবং যেভাবে বিমান থেকে সোজা আমাদের রাজধানীতে ঢুকে পড়েছেন তা নজিরবিহীন। স্বাধীনতার আগে বা পরে কোনো বিদেশী মেহমান হর্ষবর্ধন শ্রিংলার মতো নজির স্থাপন করে আমাদের রাজধানীতে আসেননি। তারপর তিনি যেভাবে এ দেশের প্রধানমন্ত্রী, সরকারি হর্তাকর্তাদের সাথে বৈঠক করলেন এবং হোটেলে বসে ভারতদরদি এ দেশীয় বন্ধুবান্ধবদের সাথে একের পর এক বৈঠক করলেন যার কিঞ্চিৎ দৃশ্য অথবা খবর অবগত হওয়ার পর মনের মধ্যে যেসব কথা উদয় হচ্ছে তার লক্ষ ভাগের এক ভাগও মন থেকে জিহবা বা ঠোঁটের ওপর এনে উচ্চারণ করার অবস্থা আমার নেই।
আমি জানি না, আমাদের পররাষ্ট্র সচিব ভারতে গিয়ে কী ধরনের প্রটোকল পান অথবা বন্ধু রাষ্ট্রে গিয়ে কী ধরনের কর্মকা- করার এখতিয়ার রাখেন। তিনি যদি বিশেষ বিমানে করে দিল্লি গিয়ে সোজা সেখানকার বিমানবাহিনীর বেইজ স্টেশনে বিমানখানাকে দাঁড় করাতে পারেন এবং দিল্লির কাস্টমস ইমিগ্রেশন এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের তোয়াক্কা না করে সোজা হোটেলে গিয়ে হাতমুখ ধুয়ে একটু ক্রিম মেখে তারপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে সাক্ষাৎ করতে পারেন তবে আমি বাংলাদেশী হিসেবে ভারতের সাথে বন্ধুত্বের বিষয়ে অবশ্যই আশাবাদী হবো। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব তার ইচ্ছেমতো ভারতের যে কোনো মন্ত্রী তাদের বিদেশ মন্ত্রকের হর্তাকর্তা এবং সুশীল-কুশীলদের মধ্যে গোপনে এবং প্রকাশ্যে বিরাজমান বাংলাদেশ বন্ধুদের সাথে বৈঠক শেষে যদি বাংলাদেশে ফিরতে পারেন তবে তাকে নিয়ে আমরা অবশ্যই গর্ব করতে পারব।
হর্ষবর্ধন শ্রিংলার ঝটিকা সফর নিয়ে সরকারিভাবে ভারত বা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। তবে ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য হিন্দু যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তা থেকে আমরা জানলাম যে, শ্রিংলার বর্তমান সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বহুমুখী তাৎপর্য বহন করছে। বাংলাদেশ দীর্ঘদিন যাবৎ তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তিস্তার বাংলাদেশ অংশে বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চীনা অর্থ এবং প্রযুক্তিতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চলতি বছরের শেষে এই বাঁধের নির্মাণকাজ শুরু হলে ভারতের বারোটা বাজবে। প্রতি বছর বর্ষায় ভারত তিস্তায় প্লাবিত হবে এবং অতীতের মতো বন্যার পানি দিয়ে বাংলাদেশকে ভাসিয়ে দিতে পারবে না। অন্য দিকে, বর্ষা মৌসুমের পানি সংরক্ষণ করে শীতকালের পানির চাহিদা যেভাবে মেটানো হবে তা তিস্তা চুক্তির মাধ্যমেও সম্ভব ছিল না। ফলে উল্লিখিত বাঁধ নির্মাণের খবরে দিল্লিতে রীতিমতো গরম বাতাসের ঘূর্ণিঝড় বইছে।
বাংলাদেশ যদি তিস্তা বাঁধ নির্মাণ করতে পারে এবং পরবর্তীতে অনুরূপভাবে পদ্মা ব্যারাজ নির্মাণ করে তবে ফারাক্কা দিয়ে, তিস্তা দিয়ে আমাদের যে ক্ষতি করা হয়েছে তা সুদে আসলে ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব। অন্য দিকে, করোনা সঙ্কটের সময় করোনাসংক্রান্ত যে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু হয়েছে সেই ব্যবসা কবজা করার জন্যও ভারত রীতিমতো মরিয়া হয়ে উঠেছে। করোনা নির্মূলে চীন যে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে তা বাংলদেশে বাজারজাতকরণের সব ব্যবস্থা ইতোমধ্যে করা হয়েছে। অন্য দিকে, অক্সফোর্ড যে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে তা পাক-ভারতে বিক্রি করার জন্য ভারতীয় ব্যবসায়ীরা লাইসেন্স পেয়েছে। সুতরাং সেই ভ্যাকসিন বাংলাদেশে ঢোকানোর জন্য তারা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এসবের বাইরে যেসব গুপ্ত সামরিক ও বেসামরিক বিষয়াদি রয়েছে- যেসব অতীত গোপন ও প্রকাশ্য কূটনৈতিক ব্যবসায়িক ব্যাপার রয়েছে এবং রাজনীতির ম্যারপ্যাঁচ রয়েছে সেগুলোর হালনাগদ হালখাতার দেনা-পাওনার ভাউচার নিয়ে ধর্ষবর্ধন শ্রিংলা যদি ঝটিকা সফরে এসে থাকেন তবে দিল্লিতে প্রবহমান লু-হাওয়ার তাপ যে ঢাকার বাতাসকে উত্তপ্ত করবে তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য