ভারতের সামরিক ঘাঁটিগুলো চীনের নজরদারিতে!
ভারতের সামরিক ঘাঁটিগুলো চীনের নজরদারিতে! - ছবি : সংগৃহীত
চীন তীক্ষ্ণভাবে আসামের তেজপুর এয়ারবেইজ ও উড়িষ্যা উপকূলে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা স্থাপনা ড. আবদুল কালাম আইল্যান্ডের ওপর নজর রাখছে। ভারতের কৌশলগত ও সামরিক সক্ষমতার জন্য উভয় স্থানই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইন্ডিয়া টুডের ওএসআইএনটি দল স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে ইঙ্গিত পেয়েছে যে চীন কিভাবে মিয়ানমার সমিান্তের ইয়ানান প্রদেশের রুইলি কাউন্টি থেকে এসব অবস্থানের ওপর তীক্ষ্ণ নজরদারি চালাচ্ছে। রাডার ও মনিটরিং স্থাপনা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ভারতের দিকে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তাক করতে মিয়ানমারের আকাশসীমা ব্যবহার করতে ইতস্তত করবে না চীন।
আগে হুইলার আইল্যান্ড নামে পরিচিত ড. আবদুল কালাম আইল্যান্ড হলো ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রধান ক্ষেত্র।
ভারতের প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি ড. এপিজে আবদুল কালামের নামে নামকরণ করা এই দ্বীপটিতে রয়েছে ভারতের প্রধান ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্চ ক্ষেপণাস্ত্র স্থঅপন। এখানেই ভারত পরমাণু সক্ষমতাপূর্ণ দূরপাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি ৪ ও স্বল্পপাল্লার পরমাণু সক্ষমতার ব্যালাস্টিক অগ্নি ১ পরীক্ষা করেছে।
তেজপুর বিমানবন্দর, এটি স্যালোনিবারি বিমানবন্দর নামেও পরিচিত, সামরিক ও বেসামরিক উভয় কাজেই ব্যবহৃত হয়। এখানে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সুখোই জঙ্গি বিমান সু-৩০এমকেআইয়ের ২ ও ১০৬ নম্বর স্কোয়াড্রন মোতায়েন রয়েছে।
ভারতীয় বিমান বাহিনী সম্প্রতি জানিয়েছে, সীমান্ত থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিমানবন্দরটি যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত।
ভারত-চীন-ভুটানের মধ্যবর্তী দোকলামে ২০১৭ সালে ৭৩ দিনের অচলাবস্থার পর ২০১৮ সালের মার্চে নতুন একটি রাডার স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে।
রাডারটি মিয়ানমার সীমান্ত থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার ভেতরে স্থাপন করা হয়েছে। এতে বোঝঅ যাচ্ছে, চীন এর পাল্লার সর্বোচ্চ সুবিধাটি গ্রহণ করতে চায়।
স্যাটেলাইট চিত্রে স্পষ্টভাবে রাডারটিকে ড. আবদুল কালাম আইল্যান্ডের দিকে তাক করা থাকতে দেখা যাচ্ছে। রাডারটি থেকে আইল্যান্ডের দূরত্ব ১,১৫০ কিলোমিটার।
আর রাডারটি থেকে তেজপুর এয়ারবেজের দূলত্ব ৫৭৫ কিলোমিটার। এতে বোঝা যাচ্ছে, এর মাধ্যমে ভারতীয় বিমানের ওঠানামার ওপর নজরদারি করছে চীন।
এই রাডারটি ২০১৮ সালে ঝুহুই এয়ার শোতে প্রদর্শিত টাইপ-৬০৯ রাডারের চেয়ে সামান্য বড়।
চায়না ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি গ্রুপ করপোরেশন টাইপ ৬০৯ গোয়েন্দা রাডার তৈরী করেছে। এগুলো স্টিলথ বিমানের পাশাপাশি খুব নিচু দিয়ে আসা ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও শনাক্ত করতে পারে।
নতুন রাডার দিয়ে ভারতের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আড়াই কিলোমিটার ওপরেও কিছু ঘটলে তা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব।
এছাড়া মধ্য চনের গানসু প্রদেশের জুয়াঘুউ শহরের কাছে রাডার পর্যবেক্ষণের একটি ট্রায়াল শুরু হয়েছে।
স্যাটেলাইট চিত্রে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্চে, রাডারটি চীনের ক্ষেপণাস্ত্র ও হাইপারসোনিক গ্লাইড ভ্যাহিকেল ডব্লিউইউ-১৪ পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করছে।
ইন্ডিয়া টুডে