কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সহজ উপায়!
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সহজ উপায়! - ছবি : সংগৃহীত
সকালে ঠিকভাবে পেট পরিষ্কার হয় না অনেকেরই। আর তাই নিয়ে দিনভর মেজাজ হয়ে থাকে খারাপ। কাজেও মন বসে না। পেট ফুলে থাকে। হজমেরও নানা সমস্যা দেখা যায়। তবে এই সমস্যার খুব সহজ সমাধান রয়েছে ঘরের মধ্যেই। দেখে নেয়া যাক সেগুলো কী কী—
মনাক্কা বা কিসমিস : প্রতিদিন রাতে ৮ থেকে ১০টি কিসমিস খেয়ে নিন। সকালে প্রাতঃকৃত্যের পর আর কোনও অভিযোগ থাকবে না নিশ্চিত। মনাক্কা থেঁতো করেও খেতে পারেন, আবার গোটাও খেতে পারেন। যারা দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে কিসমিস ধন্বন্তরির মতো কাজ করবে।
আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, মনাক্কা যে কেউ খেতে পারেন। শরীরে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে না। বাচ্চাদেরও মনাক্কা খাওয়ানো যায়।
শসা ও দই : যারা প্রায়ই কোষ্ঠবদ্ধতার সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য উপযোগী সমাধান হলো টক দই ও শসাকুচি একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া। একটি গোটা শসাকে কুচি কুচি করে কেটে ১০০ গ্রাম টক দইয়ের মধ্যে মিশিয়ে প্রতিদিন দুপুরে খাওয়ার পরে খান। কোষ্ঠবদ্ধতার সমস্যা দূর হবে। তাছাড়া দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক বা উপকারী ব্যাকটেরিয়া হজমের বিবিধ সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে। আবার দইয়ে থাকা ক্যালশিয়াম হাড়ের জোরও বাড়ায়। এমনকী টক দইয়ে থাকে প্রচুর ভিটামিন। ফলে ছোট থেকে বড় সকলেই শসা-দই খেতে পারেন। তবে মাছ-মাংসের মতো খাদ্য খাওয়ার অন্তত ঘণ্টা দু’য়েক পরে শসা-দই খাওয়া উচিত।
আমলকী-হরীতকী-বহেড়া বা ত্রিফলা : আজকাল বাজারে ত্রিফলা মিলছে চূর্ণ, ট্যাবলেট এবং সিরাপ হিসেবে। নিয়মিত রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আধঘণ্টা আগে ত্রিফলা চূর্ণ তিন গ্রাম পরিমাণ নিয়ে ঈষদুষ্ণ জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। সিরাপ নিলে ১৫ থেকে ২০ এমএল পান করবেন। ট্যাবলেট খেলে দু’টি ট্যাবলেট সেবন করাই বিধেয়। তবে এই উপাচার শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ছোটদের আমলকী-হরীতকী-বহেড়া দিতে হলে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মনে রাখবেন, বড়দের ক্ষেত্রে কনস্টিপেশন হওয়া নির্ভর করে ছয়টি বিষয়ের উপর। ১. গভীর রাত্রি পর্যন্ত জেগে থাকা। ২. মাছ-গোশতের মতো খাদ্য বেশি পরিমাণে খাওয়া। ৩. খাবারে শাক-সব্জি না রাখা। ৪. পর্যাপ্ত পানিপানের অভাব। ৫. কায়িক শ্রমের অভাব। ৬. কোনো দীর্ঘদিনের শারীরিক অসুস্থতা।
অতএব কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে হলে বা পেট পরিষ্কার রাখতে হলে, ঘরোয়া বিধান পালনের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও খুব জরুরি বিষয়।
সূত্র : বর্তমান