গেহলটের কাছে হেরে গেল বিজেপি!

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Aug 15, 2020 02:45 pm
গেহলট ও শচীন পাইলট

গেহলট ও শচীন পাইলট - ছবি : সংগৃহীত

 

ভারতের রাজস্থান রাজ্যে আস্থা বনাম অনাস্থার লড়াইয়ে জয় হলো কংগ্রেসের। ব্যর্থ হলো বিজেপির ‘অপারেশন লোটাস’-এর ষড়যন্ত্র। সেইসঙ্গে এক ঢিলে অনেকগুলো পাখি মারলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। গোষ্ঠী কোন্দল ও দলের ভাঙন মিটিয়ে নিজের কুর্সি মজবুত করলেন গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজন এই কং নেতা। ‘বুড়ো হাড়ে ভেল্কি’ দেখিয়ে বিজেপি বিরোধী শিবিরের প্রতি বার্তা দিলেন, একজোট হলে মোদি-শাহের রাজ্য দখলের ‘অশ্বমেধে’র ঘোড়াকে আটকে দেয়া সম্ভব।

শচীন পাইলট নেতৃত্বাধীন বিধায়কদের বিদ্রোহ শেষে বিজেপি শিবির চাল বদলায়। বৃহস্পতিবার তারা জানিয়ে দেয়, শুক্রবার গেহলট সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে। পাল্টা কংগ্রেস নেতৃত্ব জানায়, তারা আস্থা ভোটে যাবে। এদিন সকাল ১১টায় মধ্যপ্রদেশের প্রয়াত রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডন এবং ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী অজিত যোগীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হয় অধিবেশন। যদিও প্রবল বৃষ্টির কারণে হোটেলে থাকা বেশ কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক আসতে পারেননি। করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে বিধানসভায় বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সামনের দিক থেকে দ্বিতীয় সারিতে পাইলটের জন্য আসন নির্দিষ্ট করা হয়েছিল।

এদিন রাজস্থানের পরিষদীয়মন্ত্রী শান্তি ধারীওয়াল বিধানসভায় আস্থা প্রস্তাব আনেন। বিতর্কের শুরুতেই মধ্যপ্রদেশ, মণিপুর ও গোয়ার প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরকার ফেলে দেয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি। ধারীওয়াল বলেন, কিন্তু রাজস্থানে সে কাজে বিজেপি সফল হবে না। বিরোধী বিজেপি শিবির পাল্টা অভিযোগ করে, দলের অন্তর্কলহ চাপা দিতেই কেন্দ্র তথা বিজেপির দিকে আঙুল তুলছে কংগ্রেস। যদিও, ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায় আস্থা প্রস্তাব। এরপরেই গেহলট বলেন, ‘আমরা আজ ঐক্যবদ্ধভাবে বিজেপির চক্রান্ত ভণ্ডুল করে দিয়েছি।’ পরে ট্যুইটারে মুখ্যমন্ত্রী আরো লেখেন, রাজস্থানের মানুষ বিজয় অর্জন করেছেন। বিধায়কদের ঐক্য বিজয়ী হয়েছে। সত্যের জয় হয়েছে। সত্যমেব জয়তে।

আর ধারীওয়াল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে মোগল সম্রাট আকবরের তুলনা টেনে বলেন, ‘সাম্রাজ্য বিস্তারের সময় রাজস্থানের মেবারে যুদ্ধে পরাস্ত হয়েছিলেন আকবর। একইভাবে অশোক গেহলট নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারকে ফেলে দেয়ার বিজেপির চক্রান্ত ভেস্তে গেল।’

আস্থাভোটের পরই স্পিকার সি পি যোশি আগামী শুক্রবার পর্যন্ত বিধানসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন। আসন নির্দিষ্ট করা থাকলেও সেখানে বসেননি পাইলট। তাকে দ্বিতীয় সারিতে বিজেপি বিধায়কদের আসন লাগোয়া এক নির্দল বিধায়কের পাশে চেয়ারে দেখা গিয়েছে। এ নিয়ে বিজেপি বিধায়কেরা খোঁচা দিলে রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একদিকে শাসকদল, আর অন্যদিকে বিরোধী। তাহলে কাকে সীমান্তে পাঠানো হবে? শক্তিশালী সেনাকেই সব সময় সীমান্তেই পাঠানো হয়।’ পাশাপাশি, যে কোনও মূল্যে কংগ্রেসকে রক্ষা করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় কংগ্রেসের ১০৭ জন বিধায়ক রয়েছে। সেইসঙ্গে শরিক ও নির্দল বিধায়কদের সমর্থন রয়েছে। গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হলে ১০১ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। গেহলট এদিন ১২৫ জন বিধায়কের সমর্থন পেয়েছেন। অন্যদিকে, বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭২। কংগ্রেসে যোগ দেওয়া ছয় বিধায়ককে আস্থা ভোটে অংশ না নেয়ার জন্য গতকালই হুইপ জারি করেছিল বিএসপি। যদিও সেই নির্দেশ উপেক্ষা করেই তারা ট্রেজারি বেঞ্চে হাজির হয়েছিলেন।

সূত্র ; বর্তমান


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us