মুখ ঢাকা কি পর্দার অংশ?
মুখ ঢাকা কি পর্দার অংশ? - ছবি : সংগৃহীত
সুমাইয়া আখতার : মুখ ঢাকা কি পর্দার অংশ?
মাওলানা লিয়াকত আলী : মুসলিম স্কলারদের বৃহত্তর অংশের অভিমত হলো- মুখ ঢাকা পর্দার অংশ। কেননা, মহিলাদের মুখমণ্ডল আকর্ষণীয় অঙ্গ। সুতরাং তা আবরণীয় বলে বিবেচিত হবে। যেহেতু মুসলিম স্কলারদের কারো কারো অভিমত রয়েছে মুখ অনাবৃত রাখার পক্ষে, এ জন্য প্রশ্নে উল্লিখিত বিভিন্ন দেশের মুসলিম নারীদের অনেককে মুখ না ঢাকতে দেখা যায়। কিন্তু বেশির ভাগ মুসলিম মনীষীর অভিমত অনুসরণ করাই সতর্কতার দাবি। বিশেষ করে বর্তমানে নৈতিকতা ও শিষ্টাচারের যে অবনতি হয়েছে, তাতে মুসলিম নারীর সম্ভ্রম রক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য মুখ ঢাকা আরো বেশি যুক্তিসঙ্গত। আর এটাই যে, তাকওয়ার উন্নততর স্তর, তাতে সন্দেহ নেই।
গোলাম রহমান ইয়াসিন : কোরবানির গোশত কি অমুসলিমকে দেয়া যাবে?
মাওলানা লিয়াকত আলী : কোরবানির গোশত অমুসলিমদের দিতে বাধা নেই। কারণ কোরবানির গোশত অন্যান্য দান সদকা থেকে ভিন্ন। এটা উপহার ও সৌজন্যের অংশ। এ জন্যই এই গোশত নিজেরা যেমন ভোগ করা যায়, তেমনি ধনী ও অতি নিকটজন, যাদের জাকাত-ফিতরা দেয়া যায় না, তাদেরও দেয়া যায়। জাকাত, সদাকাতুল ফিতর, কাফফারা, মান্নত ইত্যাদি ফরজ-ওয়াজিব দান অমুসলিমদের দেয়া যায় না। এ ছাড়া সৌজন্য ও সদাচারের অংশ হিসেবে তারা আর্থিক সহায়তা, উপহার, আপ্যায়ন ইত্যাদি পাওয়ার যোগ্য। প্রতিবেশীর প্রতি যেসব কর্তব্য রয়েছে, যেমন তাদের জীবন-সম্পদ-সম্মান রক্ষা করা ও হানি না করা, এসব কর্তব্য মুসলিমদের মতো অমুসলিমদের প্রতিও শুধু পালনীয় নয়, ঈমানের দাবি।
প্রশ্ন : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরি বৈধ কি না আর এ ধরনের চাকরিতে বেতনের একটা নির্দিষ্ট অংশ প্রভিডেন্ট ফান্ডে কেটে রাখা হয় এবং একজন কর্মচারীর অবসর গ্রহণের পর তার ওই কেটে রাখা সমুদয় টাকা এবং তার ওপর সুদ যোগ করে কর্মচারীকে পেনশন হিসেবে দেয়া হয়। সরকারি চাকরিতে ওই সুদ গ্রহণ করা বা না করার দুটো সুযোগই কর্মচারীর আছে। এখন আমার প্রশ্ন হলো প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদের টাকা হালাল নাকি হারাম? অনুগ্রহ করে দলিলসহ জানালে ভীষণ উপকৃত হবো।
উত্তর : প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা সরকার বাধ্যতামূলকভাবে রেখে দেয়। ইচ্ছা করলেও টাকার মূল মালিকের সেটা নেয়ার উপায় নেই। যখন সেই টাকা ব্যবহারের সুযোগ নেই তখন সেটা তার মালিকানায় নেই বলে ধর্তব্য হবে। সুতরাং সেই টাকার সুদের ভার চাকরিজীবীর ওপর বর্তাবে না। চাকরি শেষে সরকার যত টাকা দেবে পুরো টাকার অধিকারী চাকরিজীবী হবে, তার জন্য সুদ হিসেবে গণ্য হবে না।
ফতোয়া বিভাগ, আস সুন্নাহ ট্রাস্ট