চীনের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর হবে ভারতের রাফাল?
রাফাল - ছবি : সংগৃহীত
চীনের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক অবস্থান গ্রহণে রাফাল জঙ্গিবিমান অনেক বেশি ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করলেও বাস্তবে এগুলো তেমন কিছু করতে পারবে না।
ভারত ইতোমধ্যেই পরমাণু সক্ষমতাপূর্ণ স্বল্প, মাঝারি ও আন্তঃমহাদেশীয় পাল্লার ব্যালাস্টিক ও ক্রুইজ ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ করেছে। এগুলো স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডের (এসএফসি) অধীনে রাখা হয়েছে। এসব অস্ত্র দিয়ে এসএফসি চীন ও পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডের টার্গেটগুলোতে হামলা চালাতে সক্ষম।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, অগ্নি-৩ ভারতের উত্তর-পূর্ব এলাকা থেকে নিক্ষেপ করা হলে চীনের মূল ভূমিতে আঘাত করতে পারবে। অগ্নি-৫ দিয়ে ভারত আরো ভেতর থেকে আক্রমণ চালাতে পারবে।
রাফাল চুক্তির রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ
সামরিক মাত্রা ছাড়াও রাফাল চুক্তির রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ রয়েছে। ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসসহ অনেকে অভিযোগ করছে যে ৯.৪ বিলিয়ন ডলারের ফরাসি রাফাল চুক্তিটি স্বচ্ছ নয়, ভারত অতিরিক্ত অর্থ দিচ্ছে।
পাকিস্তান-ভারত অস্ত্র প্রতিযোগিতা
ভারতের সাথে সামরিক ভারসাম্য রক্ষা করতে গিযে পাকিস্তান হিমশিমখাচ্ছে। ২৮ এপ্রিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী আল-খালিদ-১ মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্ক তার আর্মার্ড কোর রেজিমেন্টে অন্তর্ভুক্ত করে। চীন ও ইউক্রেনের সহযোগিতায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন হেভি ইন্ড্রাট্রিজ তক্ষিলা এটি নির্মাণ করে।
আল-খালিদ-১ মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্কের বৈশিষ্ট্য
এই ট্যাঙ্কটির দুর্দান্ত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বিশেষ করে এর আক্রমণ করার ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি। এতে মাজল রেফারেন্স সিস্টেম, সলিড স্টেট অটোলোডার, ইমপ্রুভড রেডিয়েশন ডিটেক্টর রয়েছে। পরমাণু পরিবেশেও এটি কাজ করতে সক্ষম। এটি উচ্চতর কৌশলগত চলমানতা রয়েছে। নগর যুদ্ধেও এটি সক্ষম।
আল-খালিদ-১ মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্ককে যুদ্ধক্ষেত্রে রাজা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভারতের কোল্ড স্ট্রার্ট ডকট্রিনের মোকাবেলায় এটি অত্যন্ত কার্যকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অনস্বীকার্য যে উত্তপ্ত ও জটিল আঞ্চলিক কৌশলগত পরিবেশে ভারত ও পাকিস্তানের প্রয়োজন তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়ন করা। কিন্তু অস্ত্র প্রতিযোগিতা সবসময়ই ক্ষমতার পরিবর্তন করে, ভুল ধারণার সৃষ্টি করে। আর তা সঙ্ঘাতময় দলগুলোকে স্থিতিশীলতার বদলে প্রতিরোধমূলক যুদ্ধ কৌশল গ্রহণে উৎসাহিত করে।
সংক্ষেপে বলা যায়, ব্যাপক সমরসজ্জা ভারত ও পাকিস্তানের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য বিপজ্জনক। আর তা দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত স্থিতিশীলতার জন্যও হুমকি সৃষ্টি করে।
জিভিএস