পাকিস্তানে চীনা ড্রোন, টার্গেট ভারতীয় জাহাজ

অভিনন্দন মিশ্র | Aug 10, 2020 09:46 am
পাকিস্তানে চীনা ড্রোন, টার্গেট ভারতীয় জাহাজ

পাকিস্তানে চীনা ড্রোন, টার্গেট ভারতীয় জাহাজ - ছবি : সংগৃহীত

 

ভারতকে সামরিক ও কূটনৈতিকভাবে ব্যস্ত রাখার লক্ষ্যে চীন গোপনে পাকিস্তানে গুরুত্বপূর্ণ নজরদারি সরঞ্জাম সরবরাহ করা বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এতে ফুটে ওঠেছে কিভাবে ভারতকে মোকাবেলা করার জন্য দেশ দুটি একে অপরকে সহযোগিতা করছে।

সাম্প্রতিক এক ঘটনায়, চীন অন্তত ১০০টি ডিজেআই নজরদারি ড্রোন দিয়েছে পাকিস্তানকে। পাকিস্তান সামরিক বাহিনী এগুলোকে তার নৌস্থাপনায় মোতায়েন করবে শত্রু (ভারতীয়) জাহাজ চলাচল নজরদারি করার জন্য।
গুয়ানদং, শেনজেনভিত্তিক দা-জিয়াং ইনোভেশন্স বা ডিজিআই উচ্চ মানসম্পন্ন নজরদারি ড্রোন তৈরীর জন্য সুপরিচিত।

সূত্র জানায়, চীনা নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে নিজের শক্তি প্রদর্শন করার জন্য ভারত মহাসাগরে নিজেদের ইস্টার্ন ও ওয়েস্টার্ন কমান্ডের স্থাপনাগুলোর মোতায়েন বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। এই প্রেক্ষাপটেই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য পাকিস্তানকে ড্রোন দিচ্ছে চীন।
সূত্র জানায়, এসব ড্রোনে তোলা ছবি পাকিস্তান নৌবাহিনীর চেয়ে চীনা নৌবাহিনীর জন্য বেশি উপযোগী বিবেচিত হবে। ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তান নৌবাহিনী তাদের তোলা ছবিগুলো চীনের কাছে পাঠিয়ে দেবে। অতীতেও ড্রোন সরবরাহ করা হয়েছে। তবে তা ছিল অনেক কম সংখ্যায়। এবার অনেক বেশি সংখ্যায় ড্রোন পাঠানোর বিষয়টি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। চীনের উদ্দেশ্য এতে বোঝা যাচ্ছে এবং ভারতের ব্যাপারে চীনা অবস্থাও এতে বোঝা যাচ্ছে।

চীন ২০১৫ সালে ৫টি লুং-১ ড্রোন দিয়েছিল পাকিস্তানকে।
সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক ভারত-চীন উত্তেজনার আগে বেইজিংয়ে অন্তত দুজন আইএসআই কর্মকর্তা বেইজিংয়ে মোতায়েন ছিলেন। চীনা সামরিক কৌশলগবিদদের প্রয়াস বাড়ানোর জন্য গত কয়েক মাসে তাদের সংখ্যা বেড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সানডে গার্ডিয়ান লাইভ

শতাধিক অস্ত্র-সরঞ্জাম আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
রয়টার্স
দেশে প্রতিরক্ষাসামগ্রী তৈরিতে জোরারোপের অংশ হিসেবে ১০১ ধরনের সামরিক সরঞ্জাম আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত। আগামী চার বছরে ক্রমেই তা বাস্তবায়ন করা হবে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গতকাল রোববার এ ঘোষণা দিয়েছেন।

ভারত বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ অস্ত্র আমদানিকারক দেশ। দেশটি বেশির ভাগ অস্ত্র আমদানি করে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল থেকে। গত জুনে লাদাখ সীমান্তে চীনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় ২০ সেনা জওয়ান নিহত হওয়ার পর প্রতিরক্ষা নিয়ে তটস্থ হয় ভারত। এরপর সামরিক ক্রয়ের পরিমাণ বাড়ানো হয়। ওই ঘটনার পরপরই জুলাইয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার ৩৩টি রাশিয়ান যুদ্ধবিমান ক্রয় ছাড়াও ৫৯টি যুদ্ধবিমান আধুনিকায়নের অনুমোদন দেয়।

ভারত ও চীনের মধ্যে এখন কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক সামরিক উত্তেজনা চলছে। বিতর্কিত লাদাখ সীমান্তের বেশ কয়েকটি এলাকায় মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে দুই দেশের সেনারা। এ নিয়ে গত দুই মাসের বেশি ধরে কয়েক দফায় উভয়ে দেশের সামরিক পর্যায়ের বৈঠক হলেও উত্তেজনা কমেনি। সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে প্রতিরক্ষা খাতে কম তহবিল বরাদ্দ দেয়ায় যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার ও পদাতিক বাহিনীর ব্যবহৃত অস্ত্র-সরঞ্জামের সঙ্কট রয়েছে ভারতের।

রাজনাথ সিং এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরশীলতার লক্ষ্য বাস্তবায়নে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলো। তিনি বলেন, ‘অস্ত্র-সরঞ্জাম আমদানিতে এই নিষেধাজ্ঞা ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ক্রমেই বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য সশস্ত্র বাহিনীর প্রত্যাশিত প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ভারতীয় প্রতিরক্ষা শিল্পকে অবহিত করা, যাতে তারা লক্ষ্য উপলব্ধি করে আরো ভালোভাবে প্রস্তুত হয়।’

ঐতিহ্যগতভাবে ভারত রাশিয়ার থেকে সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করে। কিন্তু দেশটি এখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল থেকে আমদানি বাড়িয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের প্রতিরক্ষার জন্য ব্যয়বহুল অস্ত্র আমদানি বন্ধ করার কথা বলে আসছিলেন। আর এমন পদক্ষেপ তার ওই আহ্বানের ফল।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us