কোরবানি : যেভাবে চিনবেন আসল গরু

মো: বশিরুল ইসলাম | Jul 28, 2020 09:32 pm
কোরবানি : যেভাবে চিনবেন আসল গরু

কোরবানি : যেভাবে চিনবেন আসল গরু - ছবি : সংগৃহীত

 

ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ আসন্ন। ফলে দেশজুড়ে কোরবানি দাতাদের মধ্যে পশু কেনার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। ঢাকাসহ সারা দেশে কোরবানির পশুহাট বসতে শুরু করেছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার কোরবানির পশুহাটের চিত্র ভিন্ন।

কোরবানির ঈদের আনন্দ মানেই হাটে গিয়ে গরু কেনা। মূলত কোরবানির পশুহাটে কেউ গরু কিনতে যান, কেউ বিক্রি করতে যান আবার কেউ হাটের হালচাল দেখতে যান। এ নিয়ে আমাদের প্রত্যেকেরই রয়েছে বিভিন্ন স্মৃতি। কিন্তু সময় আজ সত্যিই অনেক বদলে গেছে। খোলা আকাশের নিচে গরু কেনার জায়গাগুলো দিন কে দিন যেন আরো অসহনীয় হয়ে উঠছে। করোনার কারণে হাটে এবার যেতে ভয় পাচ্ছে অনেকেই। আর সে জন্যই প্রতি বছরের মতো এ বছর বেশি মানুষ অনলাইন থেকে গরু কেনায় আগ্রহী হয়ে উঠছে। ফেসবুকেও পিছিয়ে নেই এই কেনাবেচা। কোরবানির পশু বিক্রির জন্য খোলা হয়েছে ওয়েবসাইট। যতটা শঙ্কা ছিল, সাড়া তার চেয়েও বেশি বলে জানা যাচ্ছে। খামারিদের প্রত্যাশা, ঈদের আগে প্রতিদিনই এসব ওয়েব পোর্টাল, অ্যাপ ও ফেসবুক শপের পরিচিতি বাড়বে।

আমাদের দেশে কোরবানির সময় হাটগুলোতে দেশীয় পশুর পাশাপাশি বাইরের অনেক পশু থাকে। বিশেষ করে ভারত ও মিয়ানমার থেকে আসা পশুর সাথে অনেক সময় সংক্রামক রোগ চলে আসতে পারে। অনেক দূর থেকে আসে বলে পশুগুলো অনেক ক্লান্ত থাকে বলে কোরবানির পশু অসুস্থ কি না, তা সঠিকভাবে বোঝা যায় না। তাই ভালো পশু নির্বাচনে আমাদের কিছু ব্যাপার মনে রাখা খুব প্রয়োজন।

পশুহাটে গিয়ে প্রথমে দেখতে হবে পশুটি সুস্থ ও সবল কি না। সুস্থ ও সবল পশু সাধারণত চঞ্চল, চোখ বড় ও উজ্জ্বল। লেজ দিয়ে মাছি তাড়াবে। কান নাড়বে। অবসরে পান চিবানোর মতো সব সময় জাবর কাটবে। বিরক্ত করলে সহজেই রেগে যাবে। চামড়া আঁটসাঁট থাকবে। সুস্থ পশুর পিঠের কুঁজ মোটা ও টানটান। এ পশু পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রতি খুব সংবেদনশীল এবং সজাগ থাকবে। পায়খানা-প্রস্রাব স্বাভাবিক থাকবে। পাতলা পায়খানা করবে না। আর মুখের সামনে খাবার ধরলে যদি জিহ্বা দিয়ে টেনে নেয় এবং নাকের ওপরটা ভেজা ভেজা থাকে, তা হলে বুঝতে হবে গরু সুস্থ। কারণ অসুস্থ গরু খাবার খেতে চায় না।

হাটের যে চকচকে চামড়ার গরু নজর কাড়ছে সেই গরু ‘ট্যাবলেট প্রয়োগ করা’ গরু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মানুষের শরীরের কোনো অংশ ফুলে গেলে বা পানি জমলে সে অংশের ত্বক যেমন চকচক করে, ট্যাবলেট খাইয়ে মোটা করা গরুগুলোও তেমনি চকচকে। অতিরিক্ত হরমোনের কারণে পুরো শরীরে পানি জমে মোটা দেখায়। আঙুল দিয়ে গরুর শরীরে চাপ দিলে দেবে গিয়ে গর্ত হয়ে থাকবে। গরুর পা ও মুখ ফোলা, শরীর থলথলে, অধিকাংশ সময় গরু ঝিমাবে, সহজে নড়াচড়া করবে না। এসব গরু অসুস্থতার কারণে সব সময় নীরব থাকে। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে না। খাবারও খেতে চায় না। এসব পশু কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। মুখে ক্ষত থাকলে, খাদ্যের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হলে মুখ দিয়ে লালা পড়ে, মাথা নিচের দিকে রেখে ঝিমায় এবং কান নিচের দিকে ঝুলে থাকে।

তবে সব গরুই অবৈধভাবে মোটাতাজা করা নয়। গরু মোটাতাজা করার বৈজ্ঞানিক ও বৈধ পদ্ধতিও আছে। তা হচ্ছে ‘ইউরিয়া মোলাসেস’ পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে গরু প্রাকৃতিকভাবেই মোটাতাজা হয়ে ওঠে। অনেক খামারিই এ পদ্ধতি অবলম্বন করছেন। আপনি যদি স্টেরয়েড ট্যাবলেট খাওয়ানো বা ইনজেকশন দেয়া গরুর দিকে তাকান তা হলে দেখবেন এরা খুবই শান্ত প্রকৃতির। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারবে না। পশুর ঊরুতে অনেক গোশত মনে হবে। এবার প্রশ্ন হলো গরুকে ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হবেন কিভাবে? এ জন্য গরুর শ্বাস-প্রশ্বাস দেখতে হবে। ট্যাবলেট খাওয়ানো গরুর শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়, মনে হয় যেন হাঁপাচ্ছে আর প্রচণ্ড ক্লান্ত দেখাবে এটিকে।

কোরবানির গরুর বয়স দুই বছর এবং ছাগলের বয়স এক বছর হতে হবে। দাঁত দেখে এ বয়স নির্ণয় করা যায়। পশুর জন্মের পর যখন দাঁত ওঠে তখন তাকে ‘দুধদাঁত’ বলা হয়। দুধদাঁত আকারে খুব ছোট থাকে। গরুর দুই থেকে আড়াই বছর বয়সে প্রথম এক জোড়া দুধদাঁত (মাঝখানের) পড়ে যায় এবং সে স্থানে বড় আকৃতির এক জোড়া স্থায়ী ‘কর্তন দাঁত’ ওঠে; যার আকার দুধদাঁতের প্রায় দুই থেকে তিন গুণ। তা দেখলে সহজেই গরুর বয়স বোঝা যায়। এভাবে গরুর বয়স বাড়তে থাকে এবং স্থায়ী দাঁতের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। আর ছাগলের ১২ মাস থেকে ১৫ মাস বয়সে প্রথম এক জোড়া কর্তন দুধদাঁত (মাঝখানের) পড়ে যায় এবং সে স্থানে বড় আকৃতির এক জোড়া স্থায়ী কর্তন দাঁত ওঠে। এর আকার দুধদাঁতের প্রায় তিন গুণ বড়, যা দেখে ছাগলের বয়স নির্ণয় করা হয়।

খামারিরা অনেক দূর থেকে পশুহাটে নিয়ে আসেন। ট্রাক বা ট্রলারে গরু এমনভাবে বাঁধা হয় যাতে নড়তে বা বসতে না পারে। তা ছাড়া হাটেও গরুকে সব সময় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ফলে হাট থেকে গরু কিনে বাড়ি নেয়ার পর বেশির ভাগ গরু একবার বসলে আর দাঁড়াতে চায় না অথবা কোনো কিছু খেতে চায় না। তখন অনেকেই মনে করে, পশুটি অসুস্থ। প্রকৃত অর্থে পশুটি তখন বেশ ক্লান্ত। তাই তাকে বিরক্ত না করে অথবা খাবার খাওয়ানোর জন্য জোর না করে ৮-১০ ঘণ্টা বিশ্রাম দিতে হবে। এ সময় পশুর সামনে ঘাস ও পানি রাখা যেতে পারে। নিজের প্রয়োজনে পশু সেটি খাবে। তবে পশু কেনার সময় বিক্রেতার কাছ থেকে পশুর পছন্দের খাবার সম্পর্কে জেনে নেয়া যেতে পারে। বাড়িতে পশু রাখার জায়গাটি হতে হবে শুকনা। কোরবানির ১২ ঘণ্টা আগে পশুকে শুধু পানি ছাড়া অন্য কোনোই খাদ্য না দেয়া ভালো।হ১ আগস্ট শনিবার বাংলাদেশে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। ফলে দেশজুড়ে কোরবানি দাতাদের মধ্যে পশু কেনার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। ঢাকাসহ সারা দেশে কোরবানির পশুহাট বসতে শুরু করেছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার কোরবানির পশুহাটের চিত্র ভিন্ন।

কোরবানির ঈদের আনন্দ মানেই হাটে গিয়ে গরু কেনা। মূলত কোরবানির পশুহাটে কেউ গরু কিনতে যান, কেউ বিক্রি করতে যান আবার কেউ হাটের হালচাল দেখতে যান। এ নিয়ে আমাদের প্রত্যেকেরই রয়েছে বিভিন্ন স্মৃতি। কিন্তু সময় আজ সত্যিই অনেক বদলে গেছে। খোলা আকাশের নিচে গরু কেনার জায়গাগুলো দিন কে দিন যেন আরো অসহনীয় হয়ে উঠছে। করোনার কারণে হাটে এবার যেতে ভয় পাচ্ছে অনেকেই। আর সে জন্যই প্রতি বছরের মতো এ বছর বেশি মানুষ অনলাইন থেকে গরু কেনায় আগ্রহী হয়ে উঠছে। ফেসবুকেও পিছিয়ে নেই এই কেনাবেচা। কোরবানির পশু বিক্রির জন্য খোলা হয়েছে ওয়েবসাইট। যতটা শঙ্কা ছিল, সাড়া তার চেয়েও বেশি বলে জানা যাচ্ছে। খামারিদের প্রত্যাশা, ঈদের আগে প্রতিদিনই এসব ওয়েব পোর্টাল, অ্যাপ ও ফেসবুক শপের পরিচিতি বাড়বে।

আমাদের দেশে কোরবানির সময় হাটগুলোতে দেশীয় পশুর পাশাপাশি বাইরের অনেক পশু থাকে। বিশেষ করে ভারত ও মিয়ানমার থেকে আসা পশুর সাথে অনেক সময় সংক্রামক রোগ চলে আসতে পারে। অনেক দূর থেকে আসে বলে পশুগুলো অনেক ক্লান্ত থাকে বলে কোরবানির পশু অসুস্থ কি না, তা সঠিকভাবে বোঝা যায় না। তাই ভালো পশু নির্বাচনে আমাদের কিছু ব্যাপার মনে রাখা খুব প্রয়োজন।

পশুহাটে গিয়ে প্রথমে দেখতে হবে পশুটি সুস্থ ও সবল কি না। সুস্থ ও সবল পশু সাধারণত চঞ্চল, চোখ বড় ও উজ্জ্বল। লেজ দিয়ে মাছি তাড়াবে। কান নাড়বে। অবসরে পান চিবানোর মতো সব সময় জাবর কাটবে। বিরক্ত করলে সহজেই রেগে যাবে। চামড়া আঁটসাঁট থাকবে। সুস্থ পশুর পিঠের কুঁজ মোটা ও টানটান। এ পশু পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রতি খুব সংবেদনশীল এবং সজাগ থাকবে। পায়খানা-প্রস্রাব স্বাভাবিক থাকবে। পাতলা পায়খানা করবে না। আর মুখের সামনে খাবার ধরলে যদি জিহ্বা দিয়ে টেনে নেয় এবং নাকের ওপরটা ভেজা ভেজা থাকে, তা হলে বুঝতে হবে গরু সুস্থ। কারণ অসুস্থ গরু খাবার খেতে চায় না।

হাটের যে চকচকে চামড়ার গরু নজর কাড়ছে সেই গরু ‘ট্যাবলেট প্রয়োগ করা’ গরু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মানুষের শরীরের কোনো অংশ ফুলে গেলে বা পানি জমলে সে অংশের ত্বক যেমন চকচক করে, ট্যাবলেট খাইয়ে মোটা করা গরুগুলোও তেমনি চকচকে। অতিরিক্ত হরমোনের কারণে পুরো শরীরে পানি জমে মোটা দেখায়। আঙুল দিয়ে গরুর শরীরে চাপ দিলে দেবে গিয়ে গর্ত হয়ে থাকবে। গরুর পা ও মুখ ফোলা, শরীর থলথলে, অধিকাংশ সময় গরু ঝিমাবে, সহজে নড়াচড়া করবে না। এসব গরু অসুস্থতার কারণে সব সময় নীরব থাকে। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে না। খাবারও খেতে চায় না। এসব পশু কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। মুখে ক্ষত থাকলে, খাদ্যের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হলে মুখ দিয়ে লালা পড়ে, মাথা নিচের দিকে রেখে ঝিমায় এবং কান নিচের দিকে ঝুলে থাকে।

তবে সব গরুই অবৈধভাবে মোটাতাজা করা নয়। গরু মোটাতাজা করার বৈজ্ঞানিক ও বৈধ পদ্ধতিও আছে। তা হচ্ছে ‘ইউরিয়া মোলাসেস’ পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে গরু প্রাকৃতিকভাবেই মোটাতাজা হয়ে ওঠে। অনেক খামারিই এ পদ্ধতি অবলম্বন করছেন। আপনি যদি স্টেরয়েড ট্যাবলেট খাওয়ানো বা ইনজেকশন দেয়া গরুর দিকে তাকান তা হলে দেখবেন এরা খুবই শান্ত প্রকৃতির। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারবে না। পশুর ঊরুতে অনেক গোশত মনে হবে। এবার প্রশ্ন হলো গরুকে ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হবেন কিভাবে? এ জন্য গরুর শ্বাস-প্রশ্বাস দেখতে হবে। ট্যাবলেট খাওয়ানো গরুর শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়, মনে হয় যেন হাঁপাচ্ছে আর প্রচণ্ড ক্লান্ত দেখাবে এটিকে।

কোরবানির গরুর বয়স দুই বছর এবং ছাগলের বয়স এক বছর হতে হবে। দাঁত দেখে এ বয়স নির্ণয় করা যায়। পশুর জন্মের পর যখন দাঁত ওঠে তখন তাকে ‘দুধদাঁত’ বলা হয়। দুধদাঁত আকারে খুব ছোট থাকে। গরুর দুই থেকে আড়াই বছর বয়সে প্রথম এক জোড়া দুধদাঁত (মাঝখানের) পড়ে যায় এবং সে স্থানে বড় আকৃতির এক জোড়া স্থায়ী ‘কর্তন দাঁত’ ওঠে; যার আকার দুধদাঁতের প্রায় দুই থেকে তিন গুণ। তা দেখলে সহজেই গরুর বয়স বোঝা যায়। এভাবে গরুর বয়স বাড়তে থাকে এবং স্থায়ী দাঁতের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। আর ছাগলের ১২ মাস থেকে ১৫ মাস বয়সে প্রথম এক জোড়া কর্তন দুধদাঁত (মাঝখানের) পড়ে যায় এবং সে স্থানে বড় আকৃতির এক জোড়া স্থায়ী কর্তন দাঁত ওঠে। এর আকার দুধদাঁতের প্রায় তিন গুণ বড়, যা দেখে ছাগলের বয়স নির্ণয় করা হয়।

খামারিরা অনেক দূর থেকে পশুহাটে নিয়ে আসেন। ট্রাক বা ট্রলারে গরু এমনভাবে বাঁধা হয় যাতে নড়তে বা বসতে না পারে। তা ছাড়া হাটেও গরুকে সব সময় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ফলে হাট থেকে গরু কিনে বাড়ি নেয়ার পর বেশির ভাগ গরু একবার বসলে আর দাঁড়াতে চায় না অথবা কোনো কিছু খেতে চায় না। তখন অনেকেই মনে করে, পশুটি অসুস্থ। প্রকৃত অর্থে পশুটি তখন বেশ ক্লান্ত। তাই তাকে বিরক্ত না করে অথবা খাবার খাওয়ানোর জন্য জোর না করে ৮-১০ ঘণ্টা বিশ্রাম দিতে হবে। এ সময় পশুর সামনে ঘাস ও পানি রাখা যেতে পারে। নিজের প্রয়োজনে পশু সেটি খাবে। তবে পশু কেনার সময় বিক্রেতার কাছ থেকে পশুর পছন্দের খাবার সম্পর্কে জেনে নেয়া যেতে পারে। বাড়িতে পশু রাখার জায়গাটি হতে হবে শুকনা। কোরবানির ১২ ঘণ্টা আগে পশুকে শুধু পানি ছাড়া অন্য কোনোই খাদ্য না দেয়া ভালো।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us