করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ : ৪ প্রধান হাতিয়ার

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Jul 19, 2020 07:30 am
করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ

করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ - ছবি : সংগৃহীত

 

করোনাভাইরাস থেকে হয়তো আর কখনোই মুক্তি পাওয়া যাবে না, এমনই এক অনিশ্চয়তাকে মাথায় রেখে দিন গুজরান বিশ্বের সকল মানুষের। কিন্তু বাঁচতে তো হবেই, তাই আতঙ্কের মাঝে বেঁচে থাকতে ভ্যাকসিনের দিকে চেয়ে বসে আছেন সবাই। কবে আবিষ্কার হবে করোনার ভ্যাকসিন? কবেই বা পৃথিবী মুক্তি পাবে এই মারণ ভাইরাস থেকে? এই সমস্ত প্রশ্ন বারবার মানুষের মনে কড়া নাড়ছে।করোনা সংক্রমণ এড়াতে বিশ্বের প্রায় সব দেশই লকডাউনের পথে হেঁটেছে। তবে এতকিছুর পরেও কোভিড-১৯ সংক্রমণ পুরোপুরি ঠেকাতে পারছে না বেশির ভাগ দেশই।

ইতিমধ্যে আবার ৩২টি দেশের ২৯৩ জন বিজ্ঞানী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে একটি খোলা চিঠি দিয়ে দাবি করেছেন যে, কেবলমাত্র ড্রপলেটস্-এর মাধ্যমেই নয়, বাতাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস। পরবর্তীকালে গবেষকদের এই তথ্য খতিয়ে দেখার পর তাদের ধারণাকে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যার ফলে আরো চিন্তিত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা ভাইরাস রুখতে সচেতনতাই সব থেকে জরুরি। কারণ, কোভিড-১৯ কে অবহেলা করলে কী মারাত্মক ফল হতে পারে, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ইতালি, আমেরিকা।
তাই এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে চার মূল চাবিকাঠির অত্যন্ত প্রয়োজন বলে নিজস্ব মত প্রকাশ করছেন বহু চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ। তাহলে জেনে নিন এই চার মূল চাবিকাঠি বলতে আসলে কী কী।

১) মাস্ক

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে মাস্ক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি অস্ত্র। চিকিৎসকদের মতে, বাড়ির বাইরে পা রাখলে মাস্ক পরতেই হবে। তবে শুধু পরলেই হবে না, সঠিক নিয়ম মেনেই তা পরতে হবে। পরার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে নাক ও মুখ ঢেকে থাকে। আর এই মাস্কটি যেন হয় থ্রি লেয়ারের। বাইরে পরার পাশাপাশি বাড়িতে যদি কোনো অসুস্থ মানুষ থেকে থাকেন, তবে তার কাছে যাওয়ার আগেও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা আরো জানিয়েছেন, মাস্ক পরার পর তা সঠিক নিয়ম মেনে পরিষ্কার করতে হবে। কোনো ভাবেই একটি মাস্ক এক দিনের বেশি পরিষ্কার না করে পরা চলবে না।

২) সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স

মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স বা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা আবশ্যক। এক ব্যক্তির থেকে আরেক ব্যক্তির মধ্যে কমপক্ষে ছয় ফুটের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এরই সাথে, এক জায়গায় অনেকে মিলে জড়ো হবেন না। ভিড় জায়গা সর্বদাই এড়িয়ে চলবেন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোনো বন্ধ করতে হবে।

৩) হাত ধোওয়া বা স্যানিটাইজ করা

করোনা ভাইরাস রুখতে মাস্ক পরার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা হাত ধোওয়ার উপরও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সঠিকভাবে হাত ধুলে বা স্যানিটাইজ করলে সংক্রমণ অনেকটাই রুখে দেয়া যাবে। তাই বারবার হার ধোওয়ার উপর জোর দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাইরের থেকে ফিরলে, খাবারের আগে এমনকী কর্মক্ষেত্রে থাকাকালীনও ঘন ঘন হাত স্যানিটাইজ করার উপদেশ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। হাত না ধুয়ে কোনো অবস্থাতেই টি জোন অর্থাৎ চোখে, মুখে ও নাকে হাত না দেয়ার দিকেও বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে।

৪) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

বিশেষজ্ঞদের মতে, যার ইমিউনিটি পাওয়ার যত বেশি, তার করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা ততই সহজ। তাই এই সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে বিশেষ নজর দেয়া দরকার। এছাড়াও মেনে চলতে হবে পারসোনাল হাইজিন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সুষম আহার অর্থাৎ ভিটামিন, মিনারেলস্, প্রোটিন ও ফ্যাট যুক্ত খাবার খেতে হবে। পাশাপাশি খান হেলথ ড্রিঙ্ক, শরীরচর্চা, সময় অনুযায়ী ঘুমোনো, ইত্যাদি মেনে চলুন।

বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এই চার মূল চাবিকাঠির মাধ্যমেই ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে পারেন আপনিও। সঠিক নিয়ম অনুযায়ী এগুলো মেনে চললে আপনি সুস্থ থাকার পাশাপাশি সুস্থ থাকবে আপনার পরিবারও। এভাবেই হয়তো আমরা একদিন করোনার চেইন-কে ভেঙে ফেলতে পারব।

সূত্র : বোল্ডস্কাই


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us