ঠিক যেভাবে করোনার সংক্রমণ ঘটে

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Jul 17, 2020 08:37 pm
করোনাভাইরাস

করোনাভাইরাস - ছবি : সংগৃহীত

 

করোনা ভাইরাসের সঙ্গে বসবাসের সাত মাস প্রায় কেটে গেছে। এখনো আমরা বুঝে উঠতে পারিনি, ঠিক কীভাবে সংক্রামিত হচ্ছে মানুষ। গবেষকরা বলছেন, কিছুতে হাত দিয়ে সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি কম। আবার আমি রাস্তা দিয়ে চলেছি। আর একজনও চলেছে, তার মতো। এভাবে করোনা সংক্রমণ হওয়ার সুযোগ কম।
তাহলে?‌ সংক্রমণ তখনই হতে পারে, যখন কারো সামনে দাঁড়িয়ে আমি অন্তত পাঁচ মিনিট কথা বলছি। বা গান গাইছি। যখন কারো সঙ্গে দূরত্ব অনেকটাই কম। যখন একটি ছোট জায়গায় বহু লোক গিজগিজ করছে। সবাই খুব চিৎকার করে কথা বলছে। বা যখন কোনো ভিড় জায়গায় বাতাস চলাচলের তেমন ব্যবস্থা নেই। এসব ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

তা বলে কি ফের লকডাউনের পথে যেতে হবে?‌ নাহ্‌, সম্ভব নয়। বরং দোকান, বাজারে ভালো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা হোক। সকলে মাস্ক পরুন। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলুন। তাহলেও সংক্রমণ কমবে। তবে চিকিৎসা কেন্দ্র আর যে পরিবারে নানা বয়সের বহু সদস্যের বাস, সেখানে ঝুঁকি কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

এবার দেখা যাক, কীভাবে ভাইরাস যাতায়াত করে?‌

* আমরা যখন কাশি, কথা বলি, শ্বাস নিই, তখন মুখ, নাক থেকে বিভিন্ন মাপের ক্ষুদ্র কণা ছিটকে আসে। সেই কণার ঘাড়েই বসে থাকে ভাইরাস।

* একটি ভাইরাস দেহে ঢুকলেই কিন্তু সংক্রমণ হয় না। সংক্রমণ হতে গেলে শরীরে নির্দিষ্ট সংখ্যাক ভাইরাসকে প্রবেশ হবে।

* সেই ভাইরাস তার পর প্রবেশ করে শ্বাসনালীতে। এসিই–২ গ্রাহকের মাধ্যমে তা প্রবেশ করে কোষে। তার পর চলে বংশবৃদ্ধি।

এই পদ্ধতি থেকে স্পষ্ট, কথা বললে এবং কাশলে অনেকটা পরিমাণ বাতাস এবং তাতে ভর করে কণা মুখ, নাক থেকে বেরিয়ে আসে। এই কণাতে থাকতে পারে করোনা ভাইরাস। তার পর তা ছড়িয়ে পড়ে বাতাসে। নাক, মুখ থেকে নিঃসৃত কণা ভারি হয়। তাই অনেক সময়ই মাটিতে পড়ে যায়। কিন্তু দু’‌টো মানুষের মধ্যে দূরত্ব কম হলে তা আর মাটিতে পড়ে না। উল্টা দিকের ব্যক্তির দিকে ধেয়ে যায়। তবে বেশ কিছু গবেষণা বলছে, করোনা ভাইরাস বাতাসে অনায়াসে ভেসে বেড়াতে পারে। সেক্ষেত্র কিন্তু সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি।

তবে বদ্ধ জায়গায় সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক বেশি। বাতাস চলাচল ভালো হয়, এমন জায়গায় কিন্তু ঝুঁকি কম। চীনের গুয়াংঝৌয়ের একটি ঘটনা তার প্রমাণ। সেখানে একটি রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে এক ব্যক্তি আশপাশের টেবিলে পাঁচজনকে সংক্রামিত করে। কারণ রেস্তোরাঁয় বাতাস চলাচলের জায়গা ছিল না। ভাইরাস কণা তাই ওই ছোট জায়গাতেই ঘুরে বেড়িয়েছে আর সকলকে সংক্রামিত করেছে। ঠিক এই কারণেই জিম, পার্লার, থিয়েটার, পানশালা, অনুষ্ঠানে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি।

একটি সমীক্ষা বলছে, ১০ শতাংশ কোভিড রোগী থেকেই ৮০ শতাংশ কোভিড রোগী সংক্রামিত হন। তবে সাবধানে চললে একই বাড়িতে বসবাসকারীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি কম। ৪ শতাংশ থেকে ১৯ শতাংশ ঝুঁকি রয়েছে বলে জানাল সমীক্ষা। সেখানে স্বামীর থেকে স্ত্রী বা স্ত্রী থেকে স্বামীর মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি ২৭.‌৮ শতাংশ।

সূত্র : আজকাল


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us