এন্ড্রু কিশোর : কণ্ঠশ্রমিকের রাজসিক প্রস্থান
এন্ড্রু কিশোর - ছবি : সংগৃহীত
অনেকের মতো রাজা, উজির, রাজপুত্র তো নয়ই, এমনকি সংগীতের সামান্য সৈনিকও হতে চাননি তিনি৷ এন্ড্রু কিশোর নিজেকে ‘কণ্ঠশ্রমিক’ বলে গেছেন আজীবন৷ কণ্ঠশ্রমে অর্জিত সৎ উপার্জনে চেয়েছিলেন এক জীবন বাঁচতে৷ বেঁচেছেনও সেই মহিমায়৷
সাত সকালে তখনো বাংলাদেশের আনাচেকানাচে অনেকের ঘুম ভাঙে নিজের বা পাশের বাড়ির সারেগামাপা-য়, কেউ বেশি কথা বললে গানের গ-ও না জানা বিরক্ত শ্রোতা তখনো হারমোনিয়মের কথা স্মরণ করে বলেন ‘‘বেশি সারমোনি বাজাইয়ো না''; তখনো বরেণ্য সাহিত্যিকেরা গান লিখে, চিত্রনাট্য লিখেও সম্মানিত, পুরস্কৃত, গর্বিত হন; তখনো অনেক মানুষ যে কোনো উৎসবের আনন্দকে পূর্ণতা দেন সপরিবারে হলে গিয়ে, তিন ঘণ্টা ছারপোকার কামড় খেয়ে; হল থেকে ফিরে অনেক মা তখনো আদরের মেয়েকে ‘এমন মজা হয় না, গায়ে সোনার গয়না' কিংবা ছেলেকে ‘খোকন সোনা বলি শোনো, থাকবে না আর দুঃখ কোনো' গেয়ে ঘুম পাড়ান; রূপালি পর্দায় নায়ক আর ভিলেনের যত ঢিসুমঢুসুমই হোক বাস্তবের কোনো ভিলেন যে মানুষ মারতে সিনেমা হলে বোমা মারতে পারে তা তখনো কেউ কল্পনাই করতে পারে না- এন্ড্রু কিশোরের কণ্ঠের সঙ্গে আমার পরিচয় তেমনি এক সময়ে৷
প্রথম শোনা গান ‘সহেলি ও সহেলি, তোমার আমার মাঝে...'৷ না, বেতারে শোনা সেই আধুনিক গান জনপ্রিয় হয়নি, এখন কোথাও সে গান খুঁজেও পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ৷ গানটি শুনে নবাগত শিল্পীর কণ্ঠ তো ভালো লেগেছিলই, নামটাও ভাবিয়েছিল৷ মনে হয়েছিল, সংগীত জগতে এতদিন একজন কিশোরাই (কিশোর কুমার) তো ছিলেন, এ আবার কোন কিশোর!
তখনো জানা ছিল না বাংলাদেশের এক কিশোর সংগীতে তালিম নিয়েছেন দীর্ঘদিন, স্বাধীনতার পর থেকে রাজশাহী বেতারে নজরুল সংগীত, রবীন্দ্র সংগীত, লোক সংগীত ও দেশাত্মবোধক গান গেয়ে গেয়ে নিজেকে আরো বড় আসরের জন্য তৈরি করেছেন৷ ১৯৭৭ সালে ‘মেইলট্রেন' দিয়ে যে চলচ্চিত্রের প্লেব্যাকে তাঁর অভিষেক তা-ও জানা হয়েছে অনেক পরে৷
তখনো সুন্দরী তরুণীরা একা, বেশ নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে হাঁটতে পারেন দেশের প্রায় সব প্রান্তে৷ তাই খুরশিদ আলমের ‘চুমকি চলেছে একা পথে, সঙ্গী হলে দোষ কী তাতে' সবার মুখে মুখে ফেরে৷ কেউ কেউ প্রেম নিবেদন করে ‘‘আজকে না হয় ভালোবাসো আর কোনোদিন নয়'' গেয়ে, প্রেমে মজে কেউ হয়ত গায় ‘এ আকাশকে সাক্ষী রেখে', আবার ছ্যাক খেলেও খুরশিদ আলমের গান ধার করেই গাইতে পারে ‘বন্দি পাখির মতো মনটা কেঁদে মরে'৷ ঢাকাই ছবিতে তখন খুরশিদ আলমের সে কী দাপট!
তবে বেশি ‘দাপুটে', বেশি জনপ্রিয় হলেও তাঁর কপালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ শিল্পীর স্বীকৃতি জুটতো না৷ সেই পুরস্কার কোনো বছর ‘সব সখিরে পার করিতে নেবো আনা আনা' (১৯৭৫) গেয়ে জিতে নিতেন আব্দুল আলীম, কোনো বছর ‘আমি তো আজ ভুলে গেছি সবই' (১৯৭৬) গেয়ে মাহমুদুন নবী বা কখনো ‘আছেন আমার মুক্তার' গেয়ে জিতে নিতেন সৈয়দ আব্দুল হাদী (১৯৭৮)৷ সৈয়দ হাদী জনপ্রিয়তার দৌড়েও সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন টানা আরো দু' বছর এই পুরস্কার জিতে৷ ৭৯-তে ‘কেউ কোনো দিন আমারে তো কথা দিলো না' আর ৮০-তে ‘আমার দোষে দোষী আমি' গেয়ে জাতীয় পুরস্কারের পাশাপাশি লাখো শ্রোতার মনও জিতে নিয়েছিলেন৷
কাছাকাছি সময়ে ছোটদের জন্য তৈরি ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনি' ছবির একটি গানের সুবাদে আরেকজন শিল্পীও চলচ্চিত্রের গানের জগতে আগমন সরবে ঘোষণা করেছিলেন৷ হ্যাঁ, এন্ড্রু কিশোর৷ জার্মান লেখক এরিখ কাস্টনারের লেখা ‘এমিল উন্ড ডিটেকটিভে' অবলম্বনে তৈরি সেই ছবির কথা এখন জার্মানিতে বসে ভাবতে গিয়ে আবেগের নাড়াটা যেন একটু বেশি টের পাচ্ছি৷ কাস্টনারের কিশোর গোয়েন্দা উপন্যাসের চিত্রায়ণ দারুণ করেছিলেন বাদল রহমান৷ তাঁর নির্দেশনাকে সার্থক করে তুলেছিল গোলাম মোস্তফা, এটিএম শামসুজ্জামান, শর্মিলি আহমেদ, সারা যাকেরদের অভিনয়৷ তবে অনেক শিশু-কিশোরকে বেশ কিছুদিন মাতিয়ে রেখেছিল এন্ড্রু কিশোরের গাওয়া ‘আমরা যাবো অভিযানে'৷ তারপর ঢাকাই ছবির গানের সব বয়সের সব রুচির শ্রোতার মনে জায়গা করে নিতে খুব একটা সময় নেননি৷
সৈয়দ আব্দুল হাদীর হ্যাটট্রিক পূর্ণ হবার পরের বছর (১৯৮১) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেয়া হয়নি৷ ৮২-তে আবার পুরস্কার দেয়া হলো এবং তা পেলেন সে বছর মুক্তি পাওয়া মাত্র একটা ছবিতে গান গাওয়া এন্ড্রু কিশোর৷ ছবির নাম ‘বড় ভালো লোক ছিল'৷ খুব ভালো কিছু গানের জন্য স্মর্তব্য এ ছবি সেবার জাতীয় পুরস্কারে ভেসে গিয়েছিল৷ এক ছবিতে ছয়টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার ঢালিউডের ইতিহাসেই বিরল৷
আলম খানের সংগীত পরিচালনায় সৈয়দ শামসুল হকের লেখা ‘হায় রে মানুষ রঙিন ফানুস' গানটা সেই ছবিতেই গেয়েছিলেন এন্ড্রু কিশোর৷ সেই গানের সুবাদেই প্রথম জাতীয় পুরস্কার উঠেছিল বলিষ্ঠ সুকণ্ঠের কণ্ঠশ্রমিকের হাতে৷
মৃত্যুর পর এন্ড্রু কিশোরকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এ গানটির কথা অনেকেই স্মরণ করেছেন৷ জনপ্রিয় আরো অনেক গানের কলি ফেসবুক স্ট্যাটাস হয়েছে৷ ঢাকাই ছবির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গান গেয়েছেন, সবচেয়ে বেশিবার (৮টি) জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন- এসব উল্লেখ করে অনেক প্রতিবেদনে নামের আগে ‘প্লেব্যাক সম্রাট', ‘প্লেব্যাকের যুবরাজ', ‘প্লেব্যাকের রাজা', কিংবদন্তী শিল্পী ইত্যাদি যোগ করা হয়েছে প্রয়াত শিল্পীর অবদান এবং উচ্চতা বোঝাতে৷ কিন্তু তাঁকে যারা চেনেন, নিজের সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়ন যারা শুনেছেন, তারা এ-ও বিলক্ষণ মানবেন যে, ক্যানসারকে হারিয়ে এন্ড্রু কিশোর যদি বেঁচেও যেতেন, এমন উপমার বাহার তাঁকে নিশ্চয়ই বিব্রত করতো!
কারণ, একটা সময় পর্যন্ত ওস্তাদের কাছে ক্লাসিক্যাল শেখা, রেডিওতে নিয়মিত নজরুল সংগীত, রবীন্দ্র সংগীত, লোকসংগীত গাওয়া এন্ড্রু কিশোর যে চার দশক চলচ্চিত্রের গানে ‘রাজত্ব' করেও নিজেকে শিল্পী ভাবতেই লজ্জা পেতেন! ভাবতেন, সেই অর্থে সংগীতের সাধনা তো ছেড়েছেন সেই কবে, ঢাকায় আসার পর থেকে যা করছেন তা স্রেফ টাকা আয়ের জন্য গান গাওয়া, এ তো কোনো শিল্পীর কাজ হতে পারে না, এ নেহায়েত শ্রমিকের কাজ! তাই নিজেকে স্রেফ কণ্ঠশ্রমিক ভাবতেন এবং এই পরিচয়েই নিজেকে তুলে ধরতেন সব জায়গায়৷
ইউটিউবেই এমন সাক্ষাৎকার এখনো পাওয়া যাবে যেখানে নিজেকে স্রেফ কণ্ঠশ্রমিক ভাবার কারণ জানাতে গিয়ে এন্ড্রু কিশোর বলছেন, ‘‘আমার ওস্তাদ চাইতেন আমি খুব বড় ক্লাসিক্যাল সিঙ্গার হবো, খুব ভালো খেয়াল গাইবো৷ কিন্তু যেহেতু আধুনিক গানে, চলচ্চিত্রের গানে চলে এসেছি, লারেলাপ্পা গান গাচ্ছি, পয়সা কামাচ্ছি, হাততালি বাহবা পাচ্ছি; তাই মনে করি, আমি আসলে শিল্পী না৷ আমি একটা কামলা৷ আমি কাম করি, মানে গান করি আর পয়সা কামাই৷ তাহলে আমি নিজেকে শিল্পী কেন বলবো? কেন শিল্পী লিখবো? এটা লেখার যোগ্যতা আমার নেই৷ শিল্পী লিখলে ঔদ্ধত্য দেখানো হবে৷ তাই নিজেকে আমি কণ্ঠশ্রমিক বলি৷''
যুগটা আত্মপ্রচারের৷ নিজের শত সীমাবদ্ধতা, অক্ষমতা, অযোগ্যতা সুকৌশলে আড়াল করে, অন্যকে ঘায়েল করে, পিছনে ফেলে নিজে এগিয়ে থাকার মেকি শ্রেষ্ঠতা জাহিরের৷ ঢাকাই চলচ্চিত্রের বিবর্ণ বর্তমানও এই বাস্তবতার বাইরে কি থাকতে পারছে?
চলচ্চিত্রে যে কী আকাল চলছে তা তো সবারই জানা৷ হল কমছে তো কমছেই৷ ছবিও কমছে পাল্লা দিয়ে৷ ব্যবসাসফল ছবি হয় না বললেই চলে৷ ছবিরই যেখানে এ অবস্থা, ছবির গানের কী হাল তা তো বোঝাই যায়৷ যারা বোঝেন না বা দেখেন না, তাদের জন্য এন্ড্রু কিশোরের একটা গান একেবারে পারফেক্ট- ‘‘তোরা দেখ দেখ দেখরে চাহিয়া, চোখ থাকিতে এমন কানা কেমন করিয়া?''
দুর্দিনটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছিলেন এন্ড্রু কিশোর৷
একটা ঘটনাতেই তা খুব স্পষ্ট বোঝা যাবে৷
জীবনে প্রথম জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন সৈয়দ শামসুল হকের লেখা ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস' গেয়ে৷ ‘বড় ভালো লোক ছিল' ছবির ‘তোরা দেখ দেখ দেখরে চাহিয়া' এবং ‘আমি চক্ষু দিয়া দেখতেছিলাম জগৎ রঙ্গিলা'-ও বিপুল জনপ্রিয়তা দিয়েছিল তাঁকে৷ এই দুটোও সৈয়দ হকের লেখা৷ সব্যসাচী লেখকের আরো কিছু গান এন্ড্রু কিশোরের কণ্ঠে শ্রোতামহলের ভালোবাসা জয় করেছে৷ দুটো তো এখনো জনপ্রিয়৷ ‘কারে বলে ভালোবাসা কারে বলে প্রেম' আর ‘চাঁদের সাথে আমি দেবো না তোমার তুলনা' সব শ্রোতারই ভালো লাগার মতো৷
তো তার এত এত ভালো গানের লেখক যখন মৃত্যুশয্যায়, কৃতজ্ঞ এন্ড্রু কিশোর হাসপাতালে গিয়েছিলেন দেখা করতে৷ সৈয়দ হক যেন এমন সময়ের অপেক্ষাতেই ছিলেন, প্রিয় শিল্পীকে বলেছিলেন, ‘‘আরো কিছু গান লিখে রেখেছি৷ তুমি গেয়ে দিয়ো৷ আলম সাহেবকে (আলম খান) বলো সুর করে দিতে৷''
ঘটনাক্রমে সেই গানগুলোর বদলে সৈয়দ হকের একটা অপ্রকাশিত কবিতাকে গান হিসেবে বেছে নিতে হয়েছিল৷ আলম খানের ভীষণ পছন্দ হয়েছিল কবিতাটা৷
কিন্তু সেই কবিতা গান হিসেবে প্রকাশের উদ্যোগ নিতে গিয়ে এন্ড্রু কিশোর পড়লেন মহাবিপদে৷ স্পন্সরই পাচ্ছিলেন না৷ যাদের টাকা আছে, তাদের অনেক সময় ভালো কাজের কদর করার সাধ্য থাকে না৷ এক্ষেত্রেও তাই হলো৷ এন্ড্রু কিশোর যার কাছেই যান, তিনিই বলেন, ‘‘এই গান বাজারে চলবে না৷''
‘তুমি আসবে বলে কাছে ডাকবে বলে' (ছবি: সুতরাং, শিল্পী: আঞ্জুমান আরা বেগম, ১৯৬১), ‘নদী বাঁকা জানি' (ছবি: সুতরাং, শিল্পী: ফেরদৌসি রহমান ও মোস্তফা জামান আব্বাসী), ‘এই যে আকাশ এই যে বাতাস' (ছবি: সুতরাং, শিল্পী: আব্দুল আলীম ও কাজী আনোয়ার হোসেন), ‘এমন মজা হয় না গায়ে সোনার গয়না' (ছবি: সুতরাং, শিল্পী: আলেয়া শরাফী), ‘যার ছায়া পড়েছে মনের আয়নাতে' (ছবি: আয়না ও অবশিষ্ট, শিল্পী: ফেরদৌসি রহমান), ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস' (ছবি: বড় ভালো লোক ছিল, শিল্পী: এন্ড্রু কিশোর), ‘আমি চক্ষু দিয়া দেখতেছিলাম' (ছবি: বড় ভালো লোক ছিল, শিল্পী: এন্ড্রু কিশোর), ‘তোরা দেখ দেখ দেখরে চাহিয়া' (ছবি: বড় ভালো লোক ছিল, শিল্পী: এন্ড্রু কিশোর), ‘চাম্বেলিরও তেল দিয়া কেশ বান্ধিয়া' (ছবি: বড় ভালো লোক ছিল, শিল্পী: রুনা লায়লা ও বিপুল ভট্টাচার্য), ‘অনেক সাধের ময়না আমার বাঁধন কেটে যায়' (ছবি: ময়নামতি, শিল্পী: বশির আহমেদ), ‘কারে বলে ভালোবাসা কারে বলে প্রেম' (ছবি: মানসম্মান, শিল্পী: এন্ড্রু কিশোর), ‘চাঁদের সাথে আমি দেবো না তোমার তুলনা' (ছবি : আশীর্ব্বাদ, শিল্পী:রুনা লায়লা ও এন্ড্রু কিশোর)- এমন সব গান যিনি লিখেছেন সেই সৈয়দ শামসুল হকের লেখা গান কিছু লোক বাতিল করে দিচ্ছিলেন ‘‘চলবে না'' বলে!
একটা সময় সৈয়দ হকের লেখা নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘোরা আর ঠিক মনে হয়নি এন্ড্রু কিশোরের৷ ঠিক করলেন নিজের খরচেই করবেন কাজটা৷ তা-ই করেছিলেন৷ আর কেউ না শুনলে সেই গান ঘরে বসে একা একা শুনবেন- এমন সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছিলেন আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন অভিমানী কণ্ঠশ্রমিক৷
‘ফুলের গন্ধের মতো থেকে যাবো তোমার রুমালে' গানটি অবশ্য বেঁচে থাকতেই একটা চলচ্চিত্রে ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে পেরেছিলেন এন্ড্রু কিশোর৷ তবে ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে'-র শিল্পী দয়ালের ডাক আসার অনেক আগেই হয়ত জেনে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের সংগীত ভুবনে তার মতো কণ্ঠশ্রমিকদের কদর ফুরাতে বেশি বাকি নেই৷
সূত্র : ডয়চে ভেলে