১৭ মিলিয়ন মানুষের উপর গবেষণা : করোনা সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Jul 09, 2020 10:27 pm
১৭ মিলিয়ন মানুষের উপর গবেষণা : করোনা সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য

১৭ মিলিয়ন মানুষের উপর গবেষণা : করোনা সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য - ছবি : সংগৃহীত

 

বুধবার নেচার পত্রিকায় একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে, যাতে ইংল্যান্ডে ১৭ মিলিয়ন মানুষ (ইংল্যান্ডের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ)-এর কোভিড-১৯ মৃত্যুর ক্লিনিক্যাল ঝুঁকির বিষয়টি বিবৃত হয়েছে। গবেষণায় দাবি করা হয়েছে আজ পর্যন্ত যেকোনো দেশে এত বড় কোহর্ট স্টাডি আর হয়নি।

কী বলা হয়েছে গবেষণায়?

এই গবেষণায় গবেষকরা ১৭ মিলিয়নের বেশি প্রাপ্তবয়স্কের তথ্যের সঙ্গে এই রোগে মৃত ১০ হাজার জনের তথ্য মিলিয়ে দেখেছেন। তারা দেখেছেন এই মৃত্যুগুলোর সঙ্গে পুরুষ হওয়া, বেশি বয়স, বঞ্চনা, ডায়াবেটিস, কঠিন অ্যাজমার মতো বিষয় যুক্ত।

তারা আরো বলেছেন এই রোগের ক্ষেত্রে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গ ও দক্ষিণ এশিয়দের ঝুঁকি বেশি। এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ১৭ মিলিয়নের মধ্যে ১১ শতাংশ অশ্বেতাঙ্গ গোষ্ঠীভুক্ত।

গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি তারা দেখেছেন তা হল, অধিক বয়স্কদের ঝুঁকি অতিরিক্ত, যাদের বয়স ৮০ বা তার বেশি তাঁদের ঝুঁকি ৫০-৫৯ বয়ঃগোষ্ঠীর চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। এঁদের মধ্যে যাঁদের হৃদযন্ত্রের সমস্যা, ডায়াবেটিস, শ্বাসজনিত রোগ, স্থূলতা, ক্যান্সার, কিডনি, লিভার, নিউরোলজিক্যাল বা অটোইমিউনিটির সমস্যা রয়েছে তাঁদের ঝুঁকি আরও বেশি।

তবে এই গবেষণার সীমাবদ্ধতা হলো এই গবেষকরা কোভিড-১৯ এ সন্দেহভাজনদের, ল্যাবরেটরি কর্তৃক সংক্রমণের নিশ্চয়তা ব্যতিরেকেই গবেষণার অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এর ফলে কয়েকজন এমন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে যারা কোভিড-১৯ পজিটিভ নন।

গবেষণায় কী দেখা গিয়েছে?

বয়স্ক ও অন্যান্য রোগে আক্রান্তরা এই রোগের ক্ষেত্রে যে অতিরিক্ত ঝুঁকি প্রবণ তা আগে থেকেই জানা। এই গবেষণায় সেই কথাটাই ফের একবার প্রমাণিত হয়েছে যা সারা বিশ্বের কোভিড-১৯ রোগীদের ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ করা যাচ্ছে।

ফলে এই গবেষণার ফলের প্রকৃতি ছাড়াও এর ব্যাপ্তির ফলে গবেষকরা আরো নিখুঁত ভাবে বিরল এক্সপোজার, একাধিক রিস্ক ফ্যাক্টর এবং গুরুত্বপূর্ণ সংকেতের দ্রুত সনাক্তিকরণ করতে পেরেছেন। রোগের ধরনের এই বৃহত্তর পরিসংখ্যান গবেষকদের কম জানা রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো আরো ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে সাহায্য করেছে।

উল্লেখ্য, আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। তারপর রয়েছে ব্রাজিল। এবং তিন নম্বরে উঠে এসেছে ভারত।

নানা দেশে বর্তমানে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুনরায় লকডাউন করতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। তবে তাতে মানুষের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সার্বিয়ার শহর বেলগ্রেডে নয়া লকডাউনের প্রতিবাদ করে মানুষ তুমুল বিক্ষোভ দেখায়। বুধবার পার্লামেন্টের সামনে প্রায় হাজার খানেক লোকজন জড়ো হয়ে প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুচিচের ইস্তফা দাবি করেন।

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়াতেও আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে ব্রিটেনের মতো আরও অনেক দেশ আবার করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি কী হবে, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে। করোনার জেরে ব্রিটেনের অর্থনীতি চরম সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে। ব্রিটেনের মতো বিশ্বে করোনা বিধ্বস্ত সব দেশই অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। ভবিষ্যতে সেই পরিস্থিতি কাটাতে আরো কত সময় লেগে যাবে এটাই এখন সবথেকে বড় চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে নানা দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের।

সূত্র : দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও বর্তমান


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us