ভুটান নিয়ে ভারতের চিন্তা বাড়াচ্ছে চীন!
ভুটান নিয়ে ভারতের চিন্তা বাড়াচ্ছে চীন! - ছবি : সংগৃহীত
ভারতের অস্বস্তির কারণ ঘটিয়ে ভুটানের সঙ্গে সীমান্ত আলোচনায় বসার ইংগিত দিয়েছে চীন। থিম্ফুর দাবি করা একটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যকে নিজের দাবি করে চীন তাতে বিশ্ব সংস্থার তহবিল সংস্থানের ব্যাপারে আপত্তি জানানোর পর এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ।
সীমান্ত বিরোধ নিরসনে ভুটান ও চীনের মধ্যে এ যাবত ২৪ দফা আলোচনা হয়েছে। সূত্র জানায়, বেইজিং গত বছরের শেষ দিক থেকেই থিম্ফুকে চাপ দেয়া শুরু করে বিরোধ নিস্পত্তির জন্য। শেষ দফা আলোচনা হয়েছিলো ২০১৬ সালে। এরপর আরো এক দফা আলোচনা হওয়া কথা থাকলেও ভারত ও চীনের মধ্যে দোকলাম অচলাবস্থার পর থেকে তা স্থগিত রয়েছে।
চীন বারবার চাইলেও মূলত ভারতের কারণে ভুটান এতে অগ্রসর হতে পারছে না বলে মনে করা হচ্ছে। দোকলাম ঘটনার পর ভারত বিষয়টিকে সুনজরে দেখছে না।
চীন ও ভুটানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। ভুটানের পররাষ্ট্র বিষয়াদিতে ভারতের খবরদারির কারণে দেশটি ইচ্ছে মতো কোন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারছে না বলে মনে করা হয়। বহুদিন ধরে চীন ভুটানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে গেলেও তাতে সফল হয়নি। ২০ বছর আগে চীন প্রস্তুাব দিয়েছিলো যে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ মিটিয়ে ফেলার পর কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা হবে। ২০১৪ সালে শানঝি আলোচনায় বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নেয়। সে সময়ের জিগমে থিনলে সরকারকে বিতর্কিত এলাকাগুলোতে যৌথ জরিপ চালানোর প্রস্তাব দেয় চীন।
এরপরই ভুটানোর উপর চাপ সৃষ্টির জন্য ভারত দেশটিতে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। ফলে ভুটানে এলপিজির মূল্য আকাশচুম্বি হয়ে পড়ে। সেবারের নির্বাচনে জিগমে থিনলে সরকারের পতন ঘটে। এই সরকার চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিস্পত্তি করতে চাওয়ায় ভারত তাকে শাস্তি দেয়া বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।
নেপাল, চীন সীমান্ত পথ খুলেছে; বাণিজ্য চালু
প্রায় ছয় মাস বন্ধ রাখার পর নেপাল ও চীনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ক্রসিং রাসুয়াগাদি-কেরুং সোমবার খুলে দেয়া হয়েছে।
রাসুয়াগাধি কাস্টমস অফিসের প্রধান পুনিয়া বিক্রম খাড়কা বলেন, আটকা পড়ে থাকা শত শত ট্রাকের প্রথম বহর নেপালে প্রবেশ শুরু করেছে।
গত জানুয়ারি থেকে উত্তর সীমান্তে প্রায় ১,১০০ কার্গো ট্রাক আটকা পড়ে আছে। প্রথমে বরফপাত ও পরে করোনাভাইরাসের কারণে নেপাল সরকার লকডাউন আরোপ করায় ট্রাকগুলো আটকা পড়ে।
খাড়কা বলেন, এই মুহূর্তে শুধু ওয়ানওয়ে ট্রাফিকের জন্য সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেয়া হয়েছে। গত মাসে নেপাল ও চীনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে সই হওয়া চুক্তি অনুযায়ী প্রতিদিন মাত্র চারটি কার্গো ট্রাক বা ১২০ টন মালামাল নেপালে প্রবেশের সুযোগ পাবে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরই ট্রাকগুলোকে নেপালে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হবে।
নেপাল ও চীনের মধ্যে আরেকটি বাণিজ্য পথ তাতোপানি-ঝাংমু গত মার্চে খুলে দেয়া হয়। সেটাও জানুয়ারি থেকে বন্ধ ছিলো।
খাড়কা বলেন, আটকে পড়া পণ্য খালাস করতে কয়েক মাস লেগে যাবে। চীন থেকে মূলত তৈরি পোশাক, ইলেক্ট্রনিক আইটেম এবং বিমানবন্দর ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য নির্মাণ সামগ্রী আমদানি করা হয়েছে।
সূত্র : এসএএম