মোহাম্মদ সা:-এর সৌন্দর্য
মোহাম্মদ সা:-এর সৌন্দর্য - ছবি : সংগৃহীত
মোহাম্মদ সা:-এর শারীরিক গঠন বাহ্যিকভাবে আমাদের মতো। আমাদের যেমন হাত, পা, নাক, চোখ, কান, মাথা, শরীর রয়েছে নবীজীরও তেমন হাত, পা, নাক, চোখ, কান, মাথা শরীর রয়েছে। বাহ্যিকভাবে নবীজীর গঠন আমাদের মতো হলেও তাঁর শারীরিক গঠনের মধ্যে এমন সব বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্য রয়েছে যা দুনিয়ার অন্য কোনো মানুষের নেই। নিচে তার কিছু দৃষ্টান্ত পেশ করা হলো-
আনাস রা: বলেন, রাসূল সা:-এর গায়ের রঙ ছিল উজ্জ্বল সাদা। তাঁর ঘাম যেন মুক্তোদানা। আর যখন তিনি চলতেন তখন ভারসাম্য রক্ষা করে চলতেন। আমি রেশম বা রেশমি কাপড়কেও তাঁর হাতের তালুর মতো মোলায়েম পাইনি। আমি তাঁর দেহে যে সুগন্ধ পেয়েছি, তা মিশক্ বা অন্য কোনো সুগন্ধির মধ্যে পাইনি। (সনদ সহিহ। সহিহ বুখারি : ৩৫৬১)
বারা ইবনু আজিব রা: হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আমাকে জিজ্ঞেস করল, রাসূল সা:-এর চেহারা দেখতে কি তরবারির মতো ছিল? আমি বললাম, না; বরং দেখতে চাঁদের মতো ছিল। (সহিহ বুখাখি : ৩৫৫২)
জাবির ইবনু সামুরাহ রা: বলেন : আমি এক চাঁদনি রাতে রাসূল সা:-কে লাল রঙের এক জোড়া উত্তম মোটা (কিংবা পাতলা) কাপড় পরিহিত অবস্থায় দেখেছি। আমি একবার তাঁর দিকে আরেকবার চাঁদের দিকে তাকাচ্ছিলাম। আর আমার চোখে চাঁদের চেয়ে তাঁকেই বেশি সুন্দর লাগছিল।
আনাস ইবনু মালিক রা: বলেন, আমি রাসূল সা:-এর খেদমত করেছি, কিন্তু তিনি কখনো আমাকে ‘উহ’ শব্দটিও বলেননি (অর্থাৎ আমার কোনো কাজ বা আচরণের প্রতি বিরক্ত হয়ে উহ শব্দটিও উচ্চারণ করেননি)। আর আমি কোনো কিছু করে ফেললে তিনি আমাকে কখনো বলেননি, ‘তুমি অমুক অমুক কাজ কেন করলে?’ অথবা ‘তুমি অমুক অমুক কাজ কেন করলে না?’ তিনি আরো বলেন, আল্লাহর কসম! আমি আমার হাত দিয়ে কখনো রাসূলুল্লাহ সা:-এর হাতের চেয়ে অধিক মোলায়েম কোনো রেশমি কাপড় কিংবা রেশম স্পর্শ করিনি। এছাড়া আমি কখনো রাসূলুল্লাহ সা:-এর (শরীরের) সুগন্ধির চেয়ে অধিক উত্তম কোনো সুগন্ধি বা ঘ্রাণ পাইনি। (সহিহ বুখারি : ৩৫৬১)
ইবনু উমার রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সা:-এর চেয়ে অধিক সাহসী, দানশীল, বীর পুরুষ, উজ্জ্বল ও পরিচ্ছন্ন ও নির্মল (চরিত্রের অধিকারী) কাউকে দেখিনি। (আল কাবীর ২৪/২৭৪ নং ৬৯৬)
জাবির রা: হতে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী সা: যখন কোনো রাস্তা দিয়ে চলেছেন, সেই রাস্তা দিয়ে পরবর্তীতে কোনো ব্যক্তি চললে তাঁর উত্তম সুগন্ধেই, অথবা বলেছেন : তাঁর ঘামের সুগন্ধেই (বর্ণনাকারীর সন্দেহ), সে বুঝতে পারত যে, রাসূল সা: এ রাস্তা দিয়ে গেছেন। (তারিখুল কাবীর, ১/৩৯৯-৪০০)
লেখক : বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক