মারাত্মক বিপদের শঙ্কায় ভারতীয় বাহিনী!
মারাত্মক বিপদের শঙ্কায় ভারতীয় বাহিনী! - ছবি : সংগৃহীত
চীনের সঙ্গে উত্তেজনা নিয়ে নতুন বিশ্লেষণে দেপসাং সমতলে চীনা সেনাদের গতিবিধি ভারতের জন্য নতুন বিপদ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
সূত্রগুলো ওয়ানইন্ডিয়াকে জানায় যে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) বটলনেক নামক এলাকার কাছাকাছি পৌছে গেছে। এটা হলো রাক্কি নাল্লা ও জিওয়ান নাল্লা। ২০১৩ সালে এখানেও একবার ভারত ও চীনা সেনাদের মধ্যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিলো।
সূত্র জানায়, পিএলএ সেনারা আরো পশ্চিমে অগ্রসর হলে দাবরুক-শাইয়ক-ডিবিআই সড়ক এবং ডিবিও (দৌলত বেগ ওলদি) এয়ারফিল্ড বিপদে পড়বে। এছাড়া দেখা গেছে যে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেপসাং সমতলে অতিরিক্ত পিএলএ সেনার আগমণ ঘটেছে। তারা গালোয়ান উপত্যকার আরো উত্তরে কারাকোরাম গিরিপথের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। চীনা পোস্ট থেকে ডিবিও থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় উদ্বেগ আরো বেড়েছে।
এদিকে, ভারতীয় সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে এলএসি’র পরিস্থিতি নিয়ে শীর্ষ নেতাদের ব্রিফ করবেন বলে জানা গেছে।
লাদাখ অঞ্চলে দুই দিনের সফর শেষে ভারতীয় সেনাপ্রধান নয়া দিল্লি ফিরেছেন। তিনি ১৫ জুন চীনা বাহিনীর আক্রমণে আহত সেনাদের দেখতে যান এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
সেনাপ্রধান যে মূল্যায়ন পেশ করবেন তা ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে দেশের রাজনৈতিক নেতাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এলএসি-তে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করার কারণেও এই মূল্যায়ন গুরুত্বপূর্ণ। যদিও ১৫ জুনের পর আর কোন ঘটনা সেখানে ঘটেনি।
সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং বিমান ও নৌবাহিনী প্রধানের সঙ্গেও সেনাপ্রধান আলাপ করবেন বলে কথা রয়েছে। মাঠের পরিস্থিতি সামলানোর জন্য কি পরিমাণ সেনা প্রয়োজন সে বিষয়ে তাদেরকে ব্রিফ করা হবে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন সিডিএস নিজে।
জেনারেল নারাভানে মাঠের পরিস্থিতি সম্পর্কে রাজনৈতিক নেতাদেরও অবহিত করবেন।
নতুন স্যাটেলাইট ইমেজে গালোয়ান উপত্যকায় চীনাদের শক্তিবৃদ্ধির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
২২ জুন তোলা এসব ছবিতে দেখা যায়, ভারতীয়রা চীনাদের যেসব পর্যবেক্ষণ চৌকি ভেঙ্গে দিয়েছিলো সেগুলো আবার পুনর্নিমাণ করা হয়েছে।
স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাটেজিক পলিসি ইন্সটিটিউটের গবেষক নাথান রুশের বলেন, এসব মানচিত্রে ২২ মে ও ২২ জুনের বিস্তারিত চিত্র রয়েছে। এতে দেখা যায় ভারত ও চীন দুই পক্ষই শক্তি বৃদ্ধি করেছে। তবে চীনারা অনেক এগিয়ে।
রুশের আরো বলেন, ২২ জুনের ছবি দেখার পর সরকারের উচিত হবে না ‘ডিজএনগেজমেন্ট’ শব্দটি ব্যবহার করা। এতে দেখা যায় যে ছোট্ট আউটপোস্ট থেকে ১৫ জুনের ঘটনার সূত্রপাত সেটা এখন বিশাল আকার ধারণ করছে। ভারতীয় সেনাদের পক্ষে সেটা ভেঙ্গে ফেলা সম্ভব হবে না।
এই গবেষক আরো বলেন, এলএসি’র এক কিলোমিটারে মধ্যে চীনা অবকাঠামো/তাবু ও যানবাহন সংখ্যা ৩ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৪৬টিতে দাঁড়িয়েছে (১,৫০০০ গুণ বৃদ্ধি)। অন্যদিকে মে মাসে ভারতীয় কাঠামো যেখানে ৮৪ ছিলো এখন তা কমে হয়েছে ১৭টি (৮০% কমেছে)।
সূত্র : এসএএম