চোখ লাল হওয়া মানেই কি করোনার সংক্রমণ?

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Jun 20, 2020 08:28 pm
চোখ লাল হওয়া মানেই কি করোনার সংক্রমণ?

চোখ লাল হওয়া মানেই কি করোনার সংক্রমণ? - প্রতীকী ছবি

 

কোভিড ১৯-এর সঙ্কট চলাকালীন বিভিন্ন ধরনের চোখের রোগ দেখা দিতে পারে। অথচ সাধারণ মানুষ এখন ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন। ভাবছেন, হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে যদি করোনা হয়? রোগ পুষে রাখছেন অনেকে। জানবেন, কয়েকটি ক্ষেত্রে চোখের কিছু ব্যাধি নিয়ে সত্যিই বেশি চিন্তা করার দরকার পড়ে না। বাড়িতেই পরিচর্যা করেই কিছু সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

মুশকিল হলো, কীভাবে বুঝবেন কোনটি চোখের সাধারণ সমস্যা, কোনটি জটিল? তাছাড়া বিভিন্ন গবেষণায় ইতিমধ্যেই প্রমাণিত, চোখের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে ষোলো আনা। মোট কথা চোখের কী কী উপসর্গে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি, তা এখন জেনে নেয়া দরকার-

* চোখ লাল : কনজাংটিভাইটিস বছরের যেকোনো সময় হতে পারে। প্রধানত চোখে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের জন্য হয়। প্রধান উপসর্গ চোখ লাল হওয়া। ফলে সাধারণভাবে চোখ লাল হলে সাধারণ মানুষ একে সেভাবে পাত্তা দেন না। অথচ গবেষণা বলছে, করোনা সংক্রমণ হলেও তার অন্যতম লক্ষণই হলো চোখ লাল হওয়া।

* চোখ থেকে কীভাবে করোনা ছড়ায়?

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চোখ পর্যন্ত ভাইরাস চলে যাওয়ার প্রধান কালপ্রিট হল আমাদের হাত। কোনও ফোমাইট অর্থাৎ টেবিল, চেয়ারে, বাসের হাতল অথবা যেখানে ভাইরাসশুদ্ধ ড্রপলেট পড়ে থাকতে পারে, সেখানে হাত দেওয়ার পর চোখ স্পর্শ করলে, চোখে ভাইরাস প্রবেশ ও সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কোনোভাবে চোখের অশ্রুগ্রন্থিতে ভাইরাস পৌঁছলে, তা প্রথমে চলে যায় নেত্রনালীতে। এরপর সেখান থেকে নাকে। নাক থেকে শ্বাসযন্ত্রে। তারপর সারা শরীরে।

অতএব সাধারণ মানুষ যারা চোখ লাল হওয়ার সমস্যায় ভুগছেন, অবশ্যই আগে ফোনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অবস্থা বুঝলে চিকিৎসক রোগীকে হাসপাতালে আসতে বলবেন ও প্রাথমিক পরীক্ষানিরীক্ষার পরে প্রেসক্রিপশনে কোভিড টেস্ট করাতে লিখবেন।

* চোখে সংক্রমণ এড়াতে কী করবেন?
১. বাড়িতে থাকলেও অন্তত আধঘণ্টা চল্লিশ সেকেন্ড পর পর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। হাত থেকে ভাইরাস দূর করতে হলে সাবানের বিকল্প নেই।

২. বাইরে বের হলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে হাত জীবাণুমুক্ত করার পরেই চোখে হাত দেবেন।

৩. বাইরে বেরলে চশমা পরুন। পাওয়ারবিহীন চশমাও ব্যবহার করতে পারেন। বাড়িতে থাকাকালীন কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। চশমা পরুন।

* অন্যান্য সমস্যা
ছানি : যারা ইতিমধ্যে ছানি অপারেশন করাবেন ভেবেছিলেন, অথচ করাতে পারেননি, চিন্তিত হবেন না। খুব সমস্যা না হলে আরো ক’দিন অপেক্ষা করা যাবে।
পাওয়ার : পাওয়ারের চেকআপও ক’দিন পরে করলে খুব সমস্যা হবে না।

আপদকালীন পরিস্থিতি
আঘাত : চোখে যেকোনো আঘাত পেলে দেরি না করে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসুন। বয়স্ক মানুষের চোখে থেকে রক্তপাত হলেও হাসপাতালে আনতে হতে পারে।

ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি : এই সমস্যা থেকেও চোখে রেটিনাল ডিটাচমেন্ট ও রক্তপাতের আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। অতএব ডায়াবেটিকদের জন্য পরামর্শ হলো, সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখুন। কারণ, রেটিনোপ্যাথি ছাড়াও গ্লকোমায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়িয়ে দেয় সুগার।

কী করবেন?
বহু চোখের হাসপাতালই রোগীকে অনলাইনে পরামর্শ দিচ্ছে। অনলাইনে পরামর্শ নিতে পারেন। তবে চোখের রোগে অনলাইনে পরামর্শ নেয়ার কিছু সমস্যা রয়েছে। কারণ, রোগ ভিন্ন হলেও উপসর্গ কিছু ক্ষেত্রে একইরকম হয়। আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়া প্রকৃত অসুখ নির্ণয় করা প্রায় অসম্ভব। তবে কোনটি আপদকালীন পরিস্থিতি, কোনটি নয়, তা চিকিৎসক বুঝতে পারেন। তিনি পরামর্শ দিলে রোগী হাসপাতালে হাজির হবেন বা বাড়িতেই চোখের যত্ন নিয়ে সামান্য সমস্যা দূর করতে পারবেন।

সূত্র : বর্তমান


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us